বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভির স্টাফ রিপোর্টার নাজিব ফারায়েজীকে রাজধানীর পান্থপথ মোড়ে দায়িত্বরত দুই ট্রাফিক পুলিশ সদস্য পিটিয়েছেন। আহত সাংবাদিককে গ্রিনরোডের কমফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত নাজিবের ভাষ্য, তিনি কমফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক আত্মীয়কে দেখে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কারওয়ানবাজারের অফিসে ফিরছিলেন। পান্থপথের মোড়ে এসে তাঁর অটোরিকশা পুলিশবক্সের বামপাশ দিয়ে ঢুকে ডানে আসার চেষ্টা করে। পুলিশবক্সের বামপাশ দিয়ে ঢুকে ডানে মোড় নিতেই তাঁকে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের অভিযোগে আটকান ট্রাফিক কনস্টেবল জাকির।
অটোরিকশার চালক ফজলুর রহমান বলেন, কনস্টেবল জাকির অটোরিকশা থামিয়েই লাঠি দিয়ে বাড়ি দিয়ে তাঁর অটোরিকশার গ্লাস ভেঙে ফেলেন। ভাঙা কাঁচের টুকরো গায়ে লাগলে নাজিব ওই কনস্টেবলকে গ্লাসে লাঠিপেটা করার কারণ জানতে চান। এ সময় তাঁদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। তখন জাকির এবং এএসআই দেলোয়ার দুজন মিলে নাজিবকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে পুলিশ বক্সের মধ্যে এনে মারধর করেন।
নাজিব অভিযোগ করেন, কনস্টেবল জাকির তাঁকে বুকে লাথি দিয়ে ফেলে মারধর করেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নাজিব সাংবাদিক পরিচয় দিলে জাকির বলেন, ‘আমার বাড়ি গোপালগঞ্জ। মান্নার মতো রিমান্ডে নিয়ে তোকে পিটাবো।’
ঘটনার পর পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) হাসান মোস্তফা উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আমার কনস্টেবলের ফল্ট পেয়েছি। তাঁকে অলরেডি ক্লোজড্ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন