বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষায় দীর্ঘ দিন থেকে বৈষম্য বিরাজ করছে । বিশেষ করে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নানা বৈষম্যয়ের শিকার হচ্ছে । বিগত একযুগ ধরে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারীগণ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল এবং পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে না । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারীগণ উচ্চশিক্ষায় ভর্তির সুযোগ পেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পাবে না? প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি টিচার্স ফোরাম এবং আরো অনেকেই উচ্চশিক্ষায় চবি’র বৈষম্যমূলক এহেন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করলেও সরকার আজ পর্যন্ত এর কোন প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি ।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো, বর্তমান সরকার ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের বাজেটে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির উপর সাড়ে ৭ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করেছে । এর পর থেকেই এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। ভ্যাটের এই বাড়তি বোঝা শিক্ষার্থীদেরই বহন করতে হবে। এই সিদ্ধান্ত অন্যায়, অযৌক্তিক এবং অমানবিক । তাই বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর দাবীর সাথে আমি একাত্মতা পোষণ করছি এবং এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করছি ।
আমি মনে করি, এই ভ্যাট আরোপ উচ্চশিক্ষাকে নিরুৎসাহিত করবে এবং বেসরকারী শিক্ষায় বাণিজ্যকে উৎসাহিত করবে । আমার জানা মতে, অনেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারী মেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে । সরকারের উচিত বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের অনিয়মগুলো খুঁজে বের করা এবং শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা । আমি আশা করি, সার্বিক বিবেচনায় সরকার উচ্চশিক্ষায় ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন