চট্টগ্রামে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী সন্দেহে একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও ছাত্রসহ ২২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকার প্রবাহ কোচিং সেন্টার থেকে তাদের আটক করা হয়। পটিয়া থানার এসআই শাহ আলম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের যাচাই-বাছাই চলছে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শিবিরের প্রতিবাদ-১৪ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘পটিয়ায় গোপন বৈঠকের সময় শিবিরের ২২ নেতাকর্মী আটক’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি জাওয়াদ মাহমুদ ও সেক্রেটারি আলী আদনান। প্রতিবাদ লিপিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৪ সেপ্টেম্বর পটিয়ায় শিবিরের কোন প্রকার প্রোগ্রাম ছিল না। আর কোন নেতাকর্মীও গ্রেফতার হয়নি। কিন্তু চ্যানেল ২৪ সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় পটিয়ায় গোপন বৈঠক থেকে শিবিরের নেতাকর্মী গ্রেফতারের খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পুলিশের বিবৃতির নামে আদর্শিক এই সংগঠনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক।
উল্লেখ্য, একটি স্বনামধন্য কলেজের অফিস ও আবাসিক এবং কোচিং সেন্টার থেকে কিছু শিক্ষক, কর্মচারী ও নিরীহ ছাত্রদের গ্রেফতার করে শিবিরের নেতাকর্মী বলে প্রচার করে প্রশাসন। উল্লেখিত কলেজ ও কোচিং সেন্টারগুলোতে শিবিরের নামে প্রোগ্রাম করার প্রশ্নই আসে না। সারা দেশে সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে। এ লক্ষ্যে কোচিং ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুলিশের নগ্ন অভিযান চালাচ্ছে। তেমনি চট্টগ্রাম জেলার শিক্ষাজোন খ্যাত পটিয়া উপজেলাকে শিক্ষা বিমুখ করতে একের পর এক নিরীহ ছাত্রদের গ্রেফতার করে যাচ্ছে। অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নিরীহ শিক্ষক ও ছাত্রদের মুক্তি দাবি করেন নেতৃবৃন্দ। নিরীহ ছাত্র-শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াতে সকল ছাত্রসংগঠনসহ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে এগিয়ে আসার জন্যও আহ্বান জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন