বাংলাদেশ বার্তা: এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, দেশে গণমাধ্যমের উপর ফ্যাসিবাদের নগ্ন থাবা বিস্তার করেছে সরকার। যারাই সরকারের দেশ ও গণতন্ত্র বিরোধী ষড়যন্ত্র নিয়ে কথা বলছে তাদের উপরই নেমে এসেছে জুলুম নির্যাতন। আজ অন্যায় ভাবে বাংলাদেশের প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে একটি হাস্যকর মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। সাংবাদিক নির্যাতনে সরকার অতিতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। দীর্ঘদিন থেকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে আমারদেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ অনেক সাংবাদিককে। ইতমধ্যে দমন নিপিড়ণের কারণে বহু সাংবাদিক দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে এ নিয়ে উদ্বেগ জনালেও সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না। বরং তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সত্য প্রচার করায় অনেক টিভি চ্যানেল ও পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এসব ঘৃণ্য অপকর্মের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার সরকারের সাংবাদিক নির্যাতনের এক নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সত্যকে মোকাবেলা না করে সংবাদ কর্মীদের গ্রেপ্তার নির্যাতন কাপুরুষতা এবং স্বৈরাচারী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু নয়। এর পরিণতি শুভ হবেনা। অবিলম্বে শফিক রেহমানসহ সকল সাংবাদিককে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার আদায়ে ছাত্রসমাজ সাংবাদিক সমাজের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে রাজপথে নেমে আসবে।
নেতৃবন্দ অবিলম্বে শফিক রেহমানসহ সকল সাংবাদিকদের মুক্তি এবং বন্ধ গণমাধ্যম গুলোকে খুলে দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন