রাবি শিক্ষক হত্যার সাথে জড়িয়ে জটিল রোগে আক্রান্ত শিবির কর্মীকে গ্রেপ্তার ও কিছু গণমাধ্যমে ভিত্তিহীন খবর প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, রাবি শিক্ষক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যায় প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে জটিল রোগে আক্রান্ত (থ্যালাসেমিয়া) শিবির কর্মী হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের এই দায়িত্বহীন কাজ অত্যান্ত অমানবিক। কাউকে খুন করা ত দূরে থাক সে স্বাভাবিক চলাফেরাই করতে পারেনা। প্রতি তিন মাস পর পর তার শরীরের রক্ত পরিবর্তন করতে হয়। আর কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়াই একজন গুরতর অসুস্থ ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা কোন দায়িত্বশীল কাজ হতে পারেনা। পুলিশ শুধুমাত্র সন্দেহের বশবর্তী হয়ে ও নিজেদের ব্যার্থতাকে আড়াল করতেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে। যা অত্যন্ত দুঃখ জনক। আমরা দৃঢভাবে বলতে চাই, ছাত্রশিবির একটি নিয়মতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্বশীল ছাত্র সংগঠন। শিবির কোন প্রকার হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা।
শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, অতীতেও কোন ঘটনা ঘটলেই তার সাথে শিবিরকে সম্পৃক্ত করার অপচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তিতে তা সবই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। পাবনার ফাদার লুক সরকার হত্যাচেষ্টা, গাবতলিতে পুলিশের এস আই হত্যা ও শিয়া ধর্মাবলম্বীদের তাজিয়া মিছিলে হামলার ঘটনা তার প্রকৃত উদাহরণ।
ছাত্রশিবির বরাবরই এমন বর্বর হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানায়। ঘটনার পরই ছাত্রশিবির রাবি ও মহানগরী শাখার পক্ষ থেকে খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করা হয়েছে। এর পরও ছাত্রশিবিরকে উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে জড়ানো হয়েছে। আমরা অবিলম্বে বিষয়টিকে নিয়ে রাজনীতি না করে প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবী জানাচ্ছি। একই সাথে অবিলম্বে অসুস্থ শিবির কর্মীকে মুক্তি দেয়ার আহবান জানাচ্ছি। জটিল রোগে আক্রান্ত শিবির কর্মী হাফিজুর রহমানের যদি কোন ক্ষতি হয় তাহলে পুলিশ প্রশাসন তার দায় এড়াতে পারবেনা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন