অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে একের পর এক ব্যর্থ হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওপর সব মহলের অনাস্থা বাড়ছে। এমনকি শাসক দল আওয়ামী লীগসহ তাদের শরিকরাও এখন বিব্রত। কেউ কেউ ইসির পারফরম্যান্স নিয়ে কঠোর সমালোচনা করছেন। এ ছাড়া সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, মাঠের বিরোধী দল বিএনপিসহ বাম প্রগতিশীল ঘরানার কমবেশি প্রায় সব রাজনৈতিক দলই ইসির ভূমিকায় চরমভাবে ক্ষুব্ধ ও হতাশ।
তারা মনে করেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন এই ইসির অধীনে না হলেও যত দ্রুত সম্ভব বিতর্কিত নির্বাচন কমিশনকে বিদায় করা প্রয়োজন। তা না হলে দেশের দীর্ঘদিনের নির্বাচনী সংস্কৃতি একেবারে ধ্বংস হয়ে যাবে। এ জন্য তারা চান, বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগে বাধ্য করার পাশাপাশি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় এমন একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা। কেননা নির্বাচন কমিশন কার্যত সোজা হয়ে দাঁড়াতে চাইলে সরকার তাকে বাঁকা করতে পারে না। পার্শ^বর্তী দেশ ভারতসহ উন্নত দেশের দিকে তাকালে এমন নজির পাওয়া যাবে।
রাজনীতিবিদদের এ দাবির সঙ্গে শতভাগ একমত পোষণ করে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ, শীর্ষ আইনজীবী, রাষ্ট্র ও সমাজবিজ্ঞানীসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও দ্রুত ইসির খোলনলচে পাল্টাতে বলছেন। কেননা তারা মনে করেন, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও অবাধভাবে করা না যায় তাহলে একপর্যায়ে দেশের কোথাও গণতন্ত্রের লেশমাত্র খুঁজে পাওয়া যাবে না।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ শনিবার যুগান্তরকে বলেন, মেরুদণ্ডহীন এই ইসির আর স্বপদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই। দ্রুত বিদায় নিতে হবে। এ কমিশনের প্রতি মানুষের কোনো আস্থাও নেই।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে প্রখ্যাত আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ‘এ নির্বাচন কমিশন আজ্ঞাবাহী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এদের দিয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।’
আরেক শীর্ষ আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, “অনেক হয়েছে আর না। যত দ্রুত সম্ভব এ নির্বাচন কমিশনকে ‘না’ বলার সময় এসেছে।”
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এখন একটি বিবৃতিনির্ভর প্রতিষ্ঠান, যা হওয়ার হয়ে যাচ্ছে। এরপর সন্ধ্যার সময় একটা বিবৃতি দিয়ে তারা তাদের দায়িত্ব সারছে।’
যদিও ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার আগাম সতর্কবার্তা দিয়েছিল তিনটি গোয়েন্দা সংস্থা। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপরিশও করা হয়। কিন্তু অধিকাংশ সুপারিশই আমলে নেয়নি ইসি। সুপারিশ কার্যকর করতে তেমন ব্যবস্থাও নেয়া হয়নি। ফলে গত দুই ধাপের নির্বাচনেই ইচ্ছেমতো তাণ্ডব চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। গুলি, বোমা, সংঘর্ষ, ব্যালট ছিনতাই, জাল ভোটের ঘটনা ঘটেছে ব্যাপক হারে। এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শত শত মানুষ। তৃণমূলের এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উৎসবের আবহ তৈরি হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে এটি আতংক ও এক শোকগাথায় পরিণত হয়েছে।
সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে।’ সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের ৪ ধারায় বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবেন এবং কেবলই সংবিধান ও আইনের অধীন হইবেন।’ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসিকে সাংবিধানিকভাবেই অনেক ক্ষমতা দেয়া হলেও তার ব্যবহার দেখা যায় না। আর এ কারণে প্রাণহানি বাড়ছে। বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতি। প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে ভোট। জনগণের আস্থা হারাচ্ছে ইসি। তবুও তারা নির্বিকার। ব্যর্থতার দায়ভার নিতেও নারাজ ইসি।
উল্টো তাদের (ইসি) দাবি, সহিংসতার দায় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর। সংঘাত-সহিংসতার দায় তারা নেবেন না। অথচ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহণের সব ক্ষমতা রয়েছে ইসির। প্রার্থীদের অনেকেই নানা অনিয়মের অভিযোগ ইসিকে অবহিত করলেও তারা তা আমলে নেননি। সংশ্লিষ্টদের মতে, কমিশনের হাতে ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কঠোর না হওয়ার ফলে সহিংসতা এবং অনিয়ম বাড়ছে। ইসি তার ক্ষমতা ব্যবহার করলে ভোট গ্রহণ আরও অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু হতো। সংঘাত-সহিংসতাও এড়ানো যেত। যদিও ইসি কর্মকর্তাদের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, তাদের কোনো দায় নেই।
দলীয় প্রতীকে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রথম ধাপে ব্যাপক সহিংসতা ও কারচুপির অভিযোগ উত্থাপিত হয়। গত ২২ মার্চ ৭১২টি ইউপির ভোটকে কেন্দ্র করে নিহত হন ২৭ জন। আহত হন দুই সহস্রাধিক। গত ৩১ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে ৬৩৯টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ ধাপের নির্বচনী সহিংসতায় এখন পর্যন্ত শিশুসহ নিহত হয়েছেন ১৩ জন। আহত কয়েকশ’।
এদিকে সংঘাত-সহিংসতা ও ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে পরবর্তী ধাপের ভোট বর্জনের হুমকি দিয়েছে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। তা সত্ত্বেও ইসির দাবি, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোট অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
ইসির এ দাবি হাস্যকর মন্তব্য করেছেন খোদ শাসক দল আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা। প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও বর্তমান ইসির ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দেয়া বক্তব্যই যথেষ্ট।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ নিয়ে কোনো রাখঢাক রাখেননি। মোটেও পিছপা হননি সত্য কথা বলতে। শুক্রবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি ইসিকে তুলোধুনো করেন। সুরঞ্জিত বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর নির্বাচন কমিশন। কমিশন ইচ্ছা করলে নির্বাচন বাতিলও করতে পারে, ইচ্ছা করলে নির্বাচন গ্রহণও করতে পারে। যে কারও চাকরি খেতে পারে। ‘কিন্তু এ কেমন কমিশন, লড়েও না, চড়েও না। আগায়ও না, পিছায়ও না। একটা কিছু ক গোলাপি, একটা কিছু ক। আপনাদের তো কিছু বলতে হবে।’ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আরও বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নয়জন মারা গেল। এখানে তুমি-আমি চক্ষু বুজে রাখতে পারি না।’ নির্বাচনী সহিংসতার বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘এতগুলো মানুষ মারা গেল। তাও যদি এটা থাকত যে বিচার হয়। বিচার করেন না, বিচার করার জায়গায় কথা বলেন না। বলার সাহস রাখেন না। ইনিয়ে-বিনিয়ে অন্যভাবে বলার চেষ্টা করেন যে, এটা করাই ঠিক হইছে।’
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন নির্বাচনী সহিংসতায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে যুগান্তরকে বলেন, ‘এ দেশের জনগণ তৃণমূলে ভোট প্রয়োগ ও ভোটের অধিকারকে নিশ্চিত করতে চায়। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সাধারণ মানুষের কাছে উৎসব। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনগণের সেই আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটছে না। সহিংসতা ও আতংক, কারচুপি ভোটের ন্যায্যতাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আইনশৃংখলা রক্ষাসহ নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করা।’
ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা এবং প্রাণহানিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ৫ জানুয়ারির প্রার্থী ও ভোটারবিহীন ‘নির্বাচনের’ মধ্য দিয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে কফিনে ঢোকানো হয়েছিল। আর এবারের সহিংসতা এবং ভোট ডাকাতি ইউপি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থার কফিনে শেষ পেরেকটি মারতে উদ্যত হয়েছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা শনিবার এক সভায় বলেন, ইউপি নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের পক্ষে ব্যালটে সিল মেরে ভোট বাক্সে ঢুকানো, ব্যাপক সন্ত্রাস, অনিয়ম ও আচরণ বিধি ভঙ্গের মহোৎসব স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার তৃণমূল পর্যায়ে এই প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনকে কলুষিত করেছে।’ তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে সহিংসতার দায় পুলিশ প্রশাসনের ওপর চাপিয়ে তাদের দায় এড়াতে চাইছেন, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। নির্বাচনী ব্যবস্থায় এই হাল অব্যাহত থাকলে জনগণ অচিরেই ভোটের ওপর আস্থা হারাবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক যুগান্তরকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অর্থহীন ও রাষ্ট্রীয় অর্থের বেহুদা অপচয় হিসেবে পর্যবসিত হয়েছে। নির্বাচনের নামে এই গণতামাশার সঙ্গে তৃণমূলে ইউনিয়ন পরিষদকে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি পরবর্তী ধাপের নির্বাচন স্থগিত করার পাশাপাশি ব্যর্থতার দায়ভার কাঁধে নিয়ে ইসির স্বেচ্ছায় পদত্যাগের দাবি জানান।
বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গণি শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সাধারণ মানুষের কাছে উৎসব। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনগণের সেই আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটছে না। সহিংসতা ও আতংক, কারচুপি নির্বাচনের ন্যায্যতাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তিনি ইসির পদত্যাগ দাবি করেন।
রাজনীতিকদের পাশাপাশি ইউপি নির্বাচনে ইসির ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা। এ প্রসঙ্গে ড. তোফায়েল আহমদ বলেন, ভোট সুষ্ঠু করার মূল দায়িত্ব ইসির। অন্য কারও ওপর দায় চাপিয়ে লাভ হবে না। নির্বাচনের সময় যাবতীয় অঘটনের দায় ইসিকেই নিতে হবে।
ইউপি নির্বাচনকে ‘বিকৃত’ নির্বাচন বলে মনে করেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন চরম ব্যর্থ হয়েছে। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও এই কমিশন আস্থা হারিয়েছে। তাই যৌক্তিকভাবেই তিনি এখন ইসির পদত্যাগ দাবি করতে পারেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপিসহ বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের মধ্যে কোনো গণতন্ত্র নেই। দলের মালিকানা তাদের পরিবারের হাতে। তাই নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করতে কোনো রাজনৈতিক দলই তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারেনি।
এ বিষয়ে একাধিক নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রত্যেকের নিজস্ব অবস্থান রয়েছে, তাদের অবস্থান থেকে এসব দাবি এসেছে। কেমন ভোট হয়েছে সবাই দেখেছে। প্রযুক্তিনির্ভর সময়ে কোনো কিছু লুকানোর নেই। নির্বাচন কমিশন আইন ও বিধি অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা করছি।’
নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা চলমান ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে নয়। এর আগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনসহ পৌরসভা নির্বাচনেও তারা যে পারফম্যান্স দেখিয়েছেন তাতে সাধারণ ভোটাদের মধ্যে ইসির প্রতি অনাস্থার বীজ বপন তখনই হয়েছিল। তবু অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, হয়ত তৃণমূলের ইউপি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে সত্যিই কঠোর হবে। কিন্তু শেষ হওয়া দুটি নির্বাচনের চেহারা আরও একবার প্রমাণ করে দিয়েছে ইসি শুধু এখন একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এছাড়া দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট আগেই ইসির প্রতি তাদের অনাস্থা জানিয়েছিল। তা সত্ত্বেও বিএনপি নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখার প্রশ্নে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। কিন্তু ব্যাপক ভোট কারচুপির কারণে গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা দুপুরের মধ্যে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন