ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৬

ভারতে ১ টাকায় ৫ কেজি পেঁয়াজ! আর্থিক ক্ষতির মুখে কৃষকরা

ভারতে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন পেঁয়াজ চাষিরা। এক সময় পেঁয়াজের দাম ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় চাপের মুখে পড়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি গত বছর সাধারণ মানুষকে কার্যত কাঁদিয়ে ছেড়েছে। যদিও এ বছর দাম না থাকায় পেঁয়াজ উৎপাদক চাষিদেরকেই কাঁদতে হচ্ছে।
 পরিস্থিতি এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে, পেঁয়াজ উৎপাদনের খরচ তো দূরের কথা থেকে মাঠ থেকে ফসল তুলে বাজারে নিয়ে যাওয়ার খরচই উঠছে না চাষিদের। ভারতের মধ্য প্রদেশের বাজারে এখন ২০ পয়সা থেকে ৩০ পয়সা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ! গত বছরে এক কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। পাইকারি এবং খুচরা বিক্রিতে এই দাম স্থানভেদে কম বেশিও হয়েছে।
 পেঁয়াজের দাম পড়ে যাওয়ায় কৃষক নেতা এবং সংসদ সদস্য রাজু শেট্টি সরকারি নীতিকে কার্যত দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য বাড়িয়ে টন প্রতি ৭০০ ডলার করার ফলে পেঁয়াজ রফতানি থেমে যায়। এরফলে বাজারে পেঁয়াজের মূল্য ধীরে ধীরে কমে আসে। বাজারে পেঁয়াজ আমদানি বেড়ে যাওয়ায় গত ১৫ নভেম্বর থেকে পাইকারি মূল্য দ্রুত পড়ে যায়। তা সত্ত্বেও সরকার ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিতে অনেক দেরি করেছে। তার মতে, অনেক আগেই সরকারকে ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য হঠাতে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত ছিল।
 পেঁয়াজ চাষি রাজেন্দ্র গুপ্তা বলেন, পেঁয়াজ রাখার জন্য পর্যাপ্ত হিমঘর না থাকার জন্য চাষিরা এত কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা এই দুর্বলতার সুযোগে ফায়দা তুলতে চাষিদের কাছ থেকে কম দামে পেঁয়াজ খরিদ করছে। সংরক্ষণ করে রাখা সেই সব পেঁয়াজ পরবর্তীতে যখন বাজারে চাহিদা বাড়বে তখন বেশি দামে বিক্রি হবে।
 দিল্লির পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বাবুলাল গুপ্তার মতে গত বছর অক্টোবর থেকে পেঁয়াজের দাম কমে এসেছে। গত বছর জানুয়ারিতে ন্যাশনাল হর্টিকালচার রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদনের অনুমান করেছিল। তা সত্ত্বেও সরকার গত মাসে ১৫ হাজার টন পেঁয়াজ সুরক্ষিত মজুদের সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারি নীতির কারণেই আজ পাইকারি বাজারে ২০ পয়সা থেকে ৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
 দিল্লিতে শুক্রবার পাইকারি বাজারে ৫ টাকা থেকে ১১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। গত বছর দিল্লিতে ৮০ টাকার বেশি কেজিতে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ।
 গত শুক্রবার পর্যন্ত বাংলাদেশের ঢাকায় অবশ্য দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় কেজি প্রতি ৪০ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৩০ টাকায়।
 ভারতের মধ্যপ্রদেশের ডিকেন গ্রামের কৃষক দয়ারাম পাটিদার এ বছর ২ একর পেঁয়াজ চাষ করেছিলেন। ভালো দাম পেলে এ বছর তিনি জমিতে একটি নলকূপ বসানোর কথা ভেবেছিলেন। যদিও নীমচ মান্ডিতে যখন তার ফসল বিক্রির জন্য নিয়ে যান তখন তিনি অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েন। চলতি সপ্তাহে নীমচ বাজারে ২০ থেকে ৩০ পয়সা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।
 দয়ারাম বলেন, আমরা এত পরিশ্রম করে ফসল উৎপাদন করে এখন ২০ পয়সা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করে খরচের পয়সাই উঠছে না।
 রাহুল নামে এক কৃষক বলেন, গ্রাম থেকে বাজারে আনার খরচের পয়সাও উঠছে না পেঁয়াজ বিক্রি করে। এজন্য আমরা বাজারে পেঁয়াজ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে যাচ্ছি।
 পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সত্যেন্দ্র লাঠির মতে বাম্পার ফলনের জন্য পেঁয়াজের দাম পড়ে গেছে।
 পেঁয়াজের দাম আকাশ ছোঁয়া হলে অবশ্য রাজনৈতিক নেতারা বাকযুদ্ধ শুরু করে দেন। সরকার এবং বিরোধী পক্ষের মধ্যে চলে নানা পাল্টাপাল্টি যুক্তি। যদিও কৃষকরা যখন খরচের দামই তুলতে পারছে না তা নিয়ে কেউ তাদের জিজ্ঞাসাও করছে না বলে কোনো কোনো মহল থেকে আক্ষেপ করা হয়েছে।RT
Courtesy  by dhakar news

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন