পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেয়ার একদিন অতিবাহিত হলেও এখনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের । গতকাল রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের গেট থেকে নম্বর বিহীন একটি কালো রংয়ের মাইক্রোবাসে তাকে তুলে নেয়া হয়। ড. মাসুদের খোঁজ না পাওয়ায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও শঙ্কাW রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
ড. মাসুদের বৃদ্ধ বাবা অধ্যাপক সিরাজুদ্দিন খান ও মা কানিজ ফাতেমা জানান, সবগুলো মামলা থেকে মাসুদ জামিন পেয়েছে। তারপর এর সঙ্গে ‘নো এরেস্ট ও নো হ্যারেজ’ নামে হাইকোর্টের একটি আদেশও রয়েছে। এরপরও মুক্তির পর তাকে কারাফটক থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখনো সন্ধান না পাওয়ায় তার জীবন নিয়ে আমরা শঙ্কিত।
তারা বলেন, সরকারের কাছে অনুরোধ আমাদের সন্তানকে আদালতে হাজির করা হোক। আমাদের সন্তানের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হলে এর সম্পূর্ণ দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।
এদিকে ড. মাসুদকে গ্রেফতারের ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র উপ-পুলিশ কমিশনার (জনসংযোগ) মারুফ হাসান সরদার শীর্ষ নিউজকে বলেন, তাকে কারা ধরে নিয়েছে, তা আমার জানা নেই।
প্রসঙ্গত, জামায়াত নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদকে দীর্ঘ ১৯ মাস কারাভোগের পর তাকে রোববার মুক্তি দেয়া হয়। রাত সোয়া ৮ টার দিকে তার আইনজীবী, আত্মীয়-স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ পরিচয়ে নম্বরবিহীন একটি কালো মাইক্রোবাসে টেনেহিচড়ে তুলে নেয়া হয় তাকে। কিন্তু ডিবি কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেফতার বা আটকের ব্যাপারে অস্বীকার করা হচ্ছে। তাকে কোথায় রাখা হয়েছে তা জানতে পারছে না তার পরিবার।
এদিকে কারাফটক থেকে ড. মাসুদকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর শাখা। রোববার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এ নিন্দা জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন