ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৬

সীমা ছাড়িয়েছে ‘পৈশাচিকতা’ !

“এক পাটি জুতা, তার ১৫ থেকে ২০ গজ দূরে পড়ে আছে মোবাইলটা। আর একটু এগিয়েই দেথতে পায় মেয়ের রক্তাক্ত লাশ। পুরো মুখে রক্ত আর আঁচড়ের দাগ। মাথার নিচটা থেঁতলে গেছে। গাছের তলায় ওর মাথা দক্ষিণ দিকে আর পা পড়ে আছে উত্তর দিকে। একটু উঁচু জায়গা জঙ্গল ও গাছগাছালির মধ্যে পাওয়া গেলো তনুর লাশ।” কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর লাশ নিয়ে বাবা ইয়ার হোসেনের জবানবন্দী এটি। গত ২০ মার্চ রাতে পৈশাচিক আর বর্বরতাকে চরমভাবে হার মানায় তনুর নির্মম হত্যার ঘটনা। 
কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী ইয়ার হোসেন কাজ সেরে সবেমাত্র বাড়ি ফিরেছেন। এত রাতেও মেয়েটা ফেরেনি। কখনো এমন হয় না। ইয়ার হোসেন খুঁজতে বেরুলেন। মেয়েকে খুঁজতে তাকে বেশিদূর যেতে হয়নি। বাড়ির কাছেই কালভার্টের কাছেই দেখতে পান মেয়ের ওপর পৈশাচিক নির্যাতনের নির্মম চিত্র। ধর্ষণের পর খুন হওয়া তনুর হত্যাকা- নিয়ে এখন উত্তাল সারা দেশ।
তনু হত্যার মতো সারা দেশে একের পর এক ঘটে চলছে পৈশাচিক হত্যার ঘটনা। এছাড়া রেকর্ড ছাড়িয়েছে ধর্ষণ শিশু হত্যা। প্রতিদিনই কোন না কোন স্থানে নির্মম হত্যার ঘটনা ঘটে চলেছে। লাশ পাওয়া যাচ্ছে বন জঙ্গলে। হত্যা ধর্ষণসহ অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাওয়া সর্বত্র দেখা দিয়েছে আতংক। মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা। মানবাধিকার সংগঠনগুলো দেশের অপরাধ প্রবণতার পরিসংখ্যানে আতংকে উঠার মতো তথ্য দিচ্ছেন।
মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার মতে, গত তিন মাসে খুন, নারী নির্যাতন, সামাজিক ও রাজনৈতিক সহিংসতা, শিশু হত্যার ঘটনা আশংকাজনক হারে বেড়েছে। এছাড়া ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ হারিয়েছে এ পর্যন্ত ২০ জন এর মধ্যে নির্মমভাবে মারা গেছে কোমলমতি শিশু। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে অপরাধ প্রবণতার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছেন। 
আসক জানায়, গত ৩ মাসে ১৫২ শিশু হত্যার শিকার হয়েছেন। এছাড়া নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩৭০ শিশু। এই তিনমাসে ২৮০টি রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। যেসব সংঘাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩৫ কর্মী নিহত ও আহত হয়েছেন ৩৮৭৮ জন। এ সময় ২৮টি হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ ও ১৫টি মূর্তি ও মন্দির ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এছাড়া গত তিন মাসে ৩৩ জন সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন।
সংগঠনটি বলছে, গত ৩ মাসে সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলীতে ৪ জন নিহত, ৮ জন আহত ও অপহরণের শিকার হয়েছেন ১৩ বাংলাদেশী। কারা হেফাজতে ১৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন ১০ নারী। এছাড়া ১৮ গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, এ সময় ১০ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। 
ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৪৬ নারী, ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়েছে ১০ নারীকে। এ সময় ২ ধর্ষিতা আত্মহত্যা করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ৩২ জন নিহত হয়েছেন। আসক জানায়, কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহতদের মধ্যে ১৫ জন র‌্যাবের গুলীতে, ৮ জন পুলিশের গুলীতে, ৪ জন ডিবি পুলিশের গুলীতে নিহত হয়েছেন। এ সময় ১৬ জনকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে গেছে। পরে তাদের মধ্যে ৩ জনের লাশ পাওয়া গেছে। তবে, আইনশৃঙ্খলা তাদের আটকের কথা অস্বীকার করেছে। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বলছে, চলতি মাসে সারা দেশে হত্যাকা- ঘটছে ২০২টি। তবে সংগঠনটি ৩১ মার্চ এ রিপোর্ট প্রকাশ করলেও ঐদিনই নির্বাচনী সহিংসতায় মারা গেছে আরো ৯ জন। 
সূত্র বলছে, চলতি মাসে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয় ৮ জনকে। পারিবারিক সহিসংতায় ১৭ জন, সামাজিক সহিসংতায় ৬৫ জন, রাজনৈতিক হত্যা ১০ জন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ৫ জন, বিএসএফের হাতে ৪ জন, চিকিৎসা অবহেলায় ৩ জন, গুপ্ত হত্যা ৮ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৭২ জন, অপরহরণ ও ধর্ষণের পর হত্যা ৯ জন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন