ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৬

হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় মন্ত্রীকে পদত্যাগের আহবান জামায়াতের

সরকারের মত্স্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট ছায়েদুল হকের উপস্থিতিতে এবং মন্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতাদের উস্কানীতে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও বাড়ী-ঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিনি এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাই দায়ী।
তাই এ দায় স্বীকার করে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং মত্স্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট ছায়েদুল হককে অবিলম্বে পদত্যাগ করার জন্য আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ৫ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “এ ঘটনার দায়-দায়িত্ব স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং মত্স্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট ছায়েদুল হক কিছুতেই এড়াতে পারেন না।
ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও বাড়ী-ঘরে ১ম দফা হামলা এবং ভাংচুরের পরে গত ৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর বেস্টনীর মধ্যে যখন দ্বিতীয় দফায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও বাড়ী-ঘরে হামলা করা হয় তখন মন্ত্রী ছায়েদুল হক নাসিরনগরে অবস্থান করছিলেন। এতে মত্স্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রীর এবং স্থানীয় প্রশাসনের চরম ব্যর্থতাই প্রমাণিত হয়েছে।
মন্ত্রী ও প্রশাসনের এ প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকায় জনগণ বিক্ষুব্ধ। উপরন্তু তিনি হিন্দু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে উস্কানীমূলক ও আপত্তিকর মন্তব্য ছুঁড়ে দিয়ে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিয়েছেন। মত্স্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রীর রহস্যজনক ভূমিকা এবং আওয়ামী লীগের স্থানীয় তিনজন নেতাকে দল থেকে বহিস্কারের ঘটনার দ্বারা অকাট্যভাবে প্রামাণিত হয়েছে যে, ব্রাহ্মণবাড়ীর নাসিরনগরের এ ঘটনা পরিকল্পিতভাবে সরকারী দলের লোকেরাই ঘটিয়েছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকগণ মনে করেন যে, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগরের ঘটনার পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও বাড়ী-ঘরে হামলা এবং ভাংচুরের ঘটনার পেছনে সরকারের কোন রাজনৈতিক দূরভিসন্ধি আছে। এ সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন থেকে সাম্প্রায়িক সন্ত্রাসী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি দখলকারী ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আমরা দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
এ ঘটনার দায় স্বীকার করে অবিলম্বে পদত্যাগ করার জন্য আমি সরকারের মত্স্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট ছায়েদুল হকের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। সেই সাথে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগরসহ বিভিন্ন জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও বাড়ী-ঘরে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে ঐ সব ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আবারও আহবান জানাচ্ছি।”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন