সরকারের মত্স্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট ছায়েদুল হকের উপস্থিতিতে এবং মন্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতাদের উস্কানীতে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও বাড়ী-ঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিনি এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাই দায়ী।
তাই এ দায় স্বীকার করে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং মত্স্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট ছায়েদুল হককে অবিলম্বে পদত্যাগ করার জন্য আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ৫ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “এ ঘটনার দায়-দায়িত্ব স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং মত্স্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট ছায়েদুল হক কিছুতেই এড়াতে পারেন না।
ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও বাড়ী-ঘরে ১ম দফা হামলা এবং ভাংচুরের পরে গত ৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর বেস্টনীর মধ্যে যখন দ্বিতীয় দফায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও বাড়ী-ঘরে হামলা করা হয় তখন মন্ত্রী ছায়েদুল হক নাসিরনগরে অবস্থান করছিলেন। এতে মত্স্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রীর এবং স্থানীয় প্রশাসনের চরম ব্যর্থতাই প্রমাণিত হয়েছে।
মন্ত্রী ও প্রশাসনের এ প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকায় জনগণ বিক্ষুব্ধ। উপরন্তু তিনি হিন্দু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে উস্কানীমূলক ও আপত্তিকর মন্তব্য ছুঁড়ে দিয়ে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিয়েছেন। মত্স্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রীর রহস্যজনক ভূমিকা এবং আওয়ামী লীগের স্থানীয় তিনজন নেতাকে দল থেকে বহিস্কারের ঘটনার দ্বারা অকাট্যভাবে প্রামাণিত হয়েছে যে, ব্রাহ্মণবাড়ীর নাসিরনগরের এ ঘটনা পরিকল্পিতভাবে সরকারী দলের লোকেরাই ঘটিয়েছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকগণ মনে করেন যে, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগরের ঘটনার পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও বাড়ী-ঘরে হামলা এবং ভাংচুরের ঘটনার পেছনে সরকারের কোন রাজনৈতিক দূরভিসন্ধি আছে। এ সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন থেকে সাম্প্রায়িক সন্ত্রাসী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি দখলকারী ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আমরা দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
এ ঘটনার দায় স্বীকার করে অবিলম্বে পদত্যাগ করার জন্য আমি সরকারের মত্স্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট ছায়েদুল হকের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। সেই সাথে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগরসহ বিভিন্ন জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও বাড়ী-ঘরে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে ঐ সব ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আবারও আহবান জানাচ্ছি।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন