নাসিক নির্বাচনে আ.লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ স্থানীয় নেতাদের নিয়ে সরকারি বাড়িতে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান।
বিএনপির প্রার্থী মনোনীত হওয়ার পর বুধবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ অভিযোগ তোলেন বিএনপির এই প্রার্থী।
মনোনয়ন জমার শেষ হওয়ার আগের দিন বুধবার দুপুরে সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম ও মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন সাখাওয়াত।
এর আগে, মঙ্গলবার গণভবনে নারায়ণগঞ্জের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে আইভীকে মেয়র পদে বিজয়ী করতে শেখ হাসিনা নির্দেশ দেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সাখাওয়াত বলেন, ‘যদিও তিনি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত না, তারপরও তিনি দেশের অর্থাৎ সকলের প্রধানমন্ত্রী। গণভবন একটি সরকারি বাসভবন। সেখানে একজন প্রধানমন্ত্রী সুর্নিদিষ্ট দলীয় প্রার্থী নিয়ে কোনো সভা করতে পারেন না। এটা নির্বাচনী আচরণবিধির পর্যায়ে পড়ে না’।
তিনি বলেন, ‘আমরা নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু ভোট আশা করি। ভোটাররা নির্বাচনে গণতন্ত্রের যে অধিকার সেই অধিকার থেকে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত।
‘সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সাধারণ জনগণ নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ এবং পছন্দের প্রার্থীকে যেন ভোট দিতে পারে’।
এই নির্বাচন কমিশনার ও সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু এটা এই কমিশনার সর্বশেষ নির্বাচন তাই আমরা অত্যন্ত আশা নিয়ে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি’।
সাত খুনের মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সাখাওয়াত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির একটি কমিটির সাধারণ সম্পাদক। তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি।
এদিকে দলভিত্তিক এ নির্বাচনে সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে কোনো বিষয়কে আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে আমলে নিতে নারাজ নির্বাচন কর্মকর্তারা।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার জানান, সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের কাছ থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাননি এখন পর্যন্ত পান নি।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মেয়র পদের কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। সবকিছুই হতে হবে নির্বাচনী আইন-বিধি মেনেই। প্রার্থীরা কী পারবে, কী পারবে না-তা স্পষ্ট বলা রয়েছে’।
কোন বিষয়টি আচরণবিধির লঙ্ঘন ঘটিয়েছে, তা উল্লেখ করে অভিযোগ দিতে প্রার্থীদের প্রতি পরামর্শ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
ইতোমধ্যে মতবিনিময়ের প্রচেষ্টা চালানোয় কাউন্সিলর পদে সম্ভাব্য এক প্রার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই রিটার্নিং কর্মকর্তা।
উৎসঃ আরটিএনএন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন