ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৬

ডা জাকির নায়েক এবং শহীদ মীর কাশেম আলী !!!


কতিপয় ভদ্রলোক মৃদস্বরে প্রশ্ন তুলেছেন, ডা জাকির নায়েক কেন গ্রেফতারের ভয়ে নিজের পিতার জানাজায় শরীক হলেন না। অথচ মীর কাশেম আলী মৃত্যুর ভয় না করেও দেশে ফিরে এসেছেন। বুঝাই যাচ্ছে জাকির নায়েকের ঈমানের জোড় কম !!
.
আরেক গ্রুপ সরাসরি মীর কাশেম আলী বা জামায়াতকে দোষারোপ করছেন এটা বলে যে, জামায়াত কাশেম আলীকে দেশে এনে জেনে শুনে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিয়েছে। মীর কাশেম আলীও জেনে বুঝে দেশে এসে আত্নহত্যার মতো স্বিদ্ধান্ত নিয়েছেন যেটা শরীয়াতের দৃষ্টিতে নাজায়েজ ছিলো। কি অদ্ভুধ তাদের ভাবনা !
.
প্রথমে আসা যাক শহীদ মীর কাশেম আলীর বিষয়ে।
মীর কাশেম আলী বা জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে যে অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা কেবল ব্যক্তিগত পর্যায়ে সীমিত ছিলো না। এর সাথে দেশের তৌহীদি জনতার পরীক্ষিত ঢাল (মাওলানা মহিউদ্দিন খান (রহ) সাহেবের মতে) জামায়াতের মতো একটি আদর্শবাদী ইসলামী দলের নৈতিক, আদর্শিক বিষয়ও জড়িত ছিলো। সর্বোপরি অভিযোগগুলো ছিলো প্রায় পয়তাল্লিশ বছর পুর্বেকার।
.
শহীদ মীর কাশেম আলী ভালো করে জানতেন যে, তিনি দেশে ফিরে না আসলে শুধু মাত্র অপরাধে সততা স্বিকার করার তীর তার দিকেই ধাবিত হবে না, বরং রাম বামদের সকল প্রেতাত্নরা এক যোগে কোরাস গাইতে শুরু করতো যে, কাশেম আলীর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া প্রমাণ করে সে সত্যিই অপরাধী ছিলো এবং অনান্য জামায়াত নেতারাও সুযোগ পেলে পালিয়ে যেতো! তারাই একাত্তরের যত অপরাধের মাস্টার মাইন্ড।
.
অতঃপর এই সূত্রকে পুজি করে জামায়াতের গায়ে একাত্তরের নামে ছড়িয়ে দেওয়া দুর্গন্ধকে সাংবিধানিক ভিত্তি দেওয়া হতো এবং বলা হতো জামায়াতের স্বিদ্ধান্তেই একাত্তরে সকল অপকর্ম সংগটিত হয়েচে এবং জামায়াত নেতারাই তার নেতৃত্বে ছিলো। এহেন পরিস্থিতিতে সেটা হতো জামায়াতের মতো আদর্শিক দলের সত্যিকারের পরাজয় এবং এক কথায় বলতে গেলে আদর্শিক ময়দানের তাদের দির্ঘ দিনের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দিতো। হয়তো জামায়াতে রাজনৈতিক মৃত্যও হতো যেটা কারো কাম্য হওয়ার কথা নয়।
.
পাশাপাশি নতুন প্রজন্ম বিশ্বাস করতে শুরু করতো যে, আসলেই জামায়াত একদল নর ঘাতকদের সংগঠন ছিলো যেটা মিডিয়া দির্ঘ চল্লিশ বছর ধরে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। এটা তো দেশ, জাতি সর্বোপরি মুসলিম উম্মাহর জন্য কলংক হয়ে যেতো। এদেশের বৃহত্তর একটি দল ময়দান থেকে ছিটকে যেতো। আদর্শ নেতৃত্ব তৈরির যে স্কিম এতদিন জামায়াতের দ্বারা প্রতিষ্টিত হয়ে চলেছিলো তার সব কিছুই প্রশ্নবিদ্ব হয়ে যেতো।
.
আলহামদুলিল্লাহ ! জামায়াতের নেতারা নিজেদের জীবনের বিনিময়ে সেই আশংকারকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছেন এবং জামায়াতের আদর্শিক অবস্থানকে আরো শক্ত করেছেন। বিশেষ করে শহীদ মীর কাশেম আলী প্রিয় সংগঠণকে এমন বিপর্যয়ে ফেলে দেওয়ার মতো স্বিদ্ধান্ত নেননি। সর্বোপরি তিনি আত্নবিশ্বাসী ছিলেন যে, তিনি কোন অপরাধ করেননি অতএব পালিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাদের এই সাহসী স্বিদ্ধান্তের কারনেই বিবেকবান বিশ্ববাসী দিদ্ধাহীন চিত্তে বুঝতে সক্ষম হয়েছে যে, জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে যা কিছু রটনা করা হয়েছে, সরকারের সকল রিসোর্স মিলে তার একটিও প্রমাণ করতে পারেনি। ফলে আইনের তোয়াক্কা না করে নিজেদের তৈরি নির্লজ্জ, বে আইনি, একঘেয়ে বিচার প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে জামায়াত নেতাদের হত্যা করা হয়েছে।
.
এর ফলে জামায়াতের মতো বৃহত্তর একটি আদর্শিক সংগঠণ আদর্শের ময়দানে আরো দৃঢ় হয়েছে এবং দলের অসংখ্য কর্মী বাহিনীর অন্তরে থাকা সকল সংকোচ, সন্দেহ সংশয়ের মৃত্যু ঘটিয়ে দিয়েছে। একটি প্রানের বিনিময়ে যদি ইসলামী সংগঠনে বহুমুখী আদর্শিক প্রাণ সঞ্চার হতে পারে তাহলে সেই মৃত্যু আত্নহত্যা নয়, বরং সত্যিকারের জীবন।
.
তাছাড়া নিজের নির্দোষ হওয়ার বিষয়ে কেউ যদি সর্বোচ্চ পরিমানে আত্নবিশ্বাসী হয় এবং নিজেকে বিচারের মুখোমুখি করার স্বিদ্ধান্ত নিয়ে ন্যায় বিচার প্রাপ্তীর আশা করে তাহলে সেটাকে আত্নহত্যা বলার মতো বোকামী কেন করা হচ্ছে !! কাশেম আলীর দেশে ফেরত আসার এই হচ্ছে আসল কারণ। এবার বলা হোক তার স্বিদ্ধান্ত ভুল ছিলো কিনা ?
.
অন্য দিকে ডা জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা সমকালিন কিছু বক্তৃতা বিবৃতির ওপর কাটছাট করে তৈরি করা মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ। গোটা দুনিয়ার মুসলিম উম্মাহ খুব ভালো করেই জানে এবং বুঝে যে, জাকির নায়েকের দাওয়াতী অগ্রযাত্রাকে প্রতিহত করতেই মুশরিক সরকারের এই সব কারসাজী। পুরো অভিযোগটি ব্যক্তি জাকিরকে টার্গেট করে করা হয়েছে। কেননা ডা জাকির নায়েক শুধু ব্যক্তি নন, তিনি একাই একটি প্রতিষ্টান। তার মুখ বন্ধ করে দেওয়ার মানে হলো প্রাতিষ্টানিক একটি দাওয়াতী মিশনকে বন্ধ করে দেওয়া।
.
ডা জাকির নায়েক ভালো করেই জানেন যে, দাওয়াতী ময়দানে তাকে টিকে থাকতে হবে এবং তার টিকে থাকার ওপর নির্ভর করতে হিন্দুদের চক্রান্তকে রুখে দেওয়ার ভবিষ্যত। সেই টিকে থাকার প্রয়োজনে তিনি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বিকার করতে প্রস্তুত ছিলেন পুর্বে থেকেই। এ কারনে তিনি তার পিতার জানাজায় হাজির হননি। কারন সেখানে গেলেই তার কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেওয়া হতো। তাকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হতো না বরং নিত্য নতুন অভিযোগে তাকে আটকে রাখা হতো। এ অবস্থায় তার শুন্যস্থান পুরণ করার মতো আর কেউই এখন পর্যন্ত তৈরি হননি।
.
পিতার জানাজায় অংশ নেওয়া থেকে দাওয়াতী মিশনকে অগ্রাধিকার দেওয়া ডা জাকির নায়েকের জীবনে অত্যান্ত যুক্তিযুক্ত এবং ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর একটি স্বিদ্ধান্ত হয়ে থাকবে ইতিহাসের পাতা জুড়ে। পিতার জানাজা ফরজ নয় যে তাকে সেই ফরজ আদায় করতে হবে। যে কারণে আমরা বলতে পারি, ডাসজাকির নায়েকের পিতার জানাজায় অংশ না নেওয়া ঈমানী দুর্বলতা নয়, বরং শক্তিশালী ঈমানের লক্ষন। ঈমান তো সেই জিনিসের নাম যা তাকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের প্রিয় জিনিসকে কোরবান করার সাহস জোগায়। সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বিকার করার মানসিকতা যাদের রয়েছে তারা দুর্বল নয়, সত্যিকারের ঈমানদার।
.
অতএব, ডা জাকির নায়েক এবং শহীদ মীর কাশেম আলী দুজনকে নিয়ে বিভ্রান্তীর কোন অবকাশ নেই। তারা দুজনে দুটি পরিস্থিতির ভিতর দিয়ে স্বিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মীর কাশেম আলী একাই সংগঠণ নন, তার মতো আরো মীর কাশেম ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে যে কারণে তিনি জালিমের মুখোমুখি হয়ে ‍নিজেকে এবং নিজের দলকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। অন্য দিকে ডা জাকির নায়েক একাই একটি সংগঠণ, তাকে বাহিরে থেকেই মিথ্যার মোকাবেলা করতে হবে। তিনি সেটাই করেছেন। 
copy post:অপু আহমেদ ভাইয়ের ওয়াল থেকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন