‘সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায় বিএনপি-জামায়াত জড়িত’ বলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রমাণে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ার।
শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে হানিফ বলেন, “অতীতে দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর সব হামলার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।”
এ বক্তব্যের জেরে এক বিবৃতিতে গোলাম পরওয়ার বলেন, “আমি মাহবুব-উল-আলম হানিফের বক্তব্য চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই, অতীতে দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ কেউ দিতে পারেননি এবং ভবিষ্যতেও পারবেন না।”
সংখ্যালঘু হামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়িত অভিযোগ করে জামায়াত নেতা বলেন, “দেশবাসী ভালো করেই জানে যে, কক্সবাজারের রামুর ঘটনা থেকে শুরু করে অতীতে সংখ্যালঘুদের ওপর যতোবার হামলা হয়েছে তাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার প্রমাণই পাওয়া গেছে।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ব্যাপারেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়িত উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, “তাদের জড়িত থাকার কারণেই স্থানীয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে নিষ্ক্রিয়তা দেখিয়ে ওই ঘটনায় মদদ দিয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি-জমা, বাড়ি-ঘর দখল করার হীন উদ্দেশ্যেই প্রশাসনের ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে।”
তাদের বাঁচানোর উদ্দেশ্যেই মাহবুব-উল-আলম হানিফ সাহেবরা এখন বিএনপি ও জামায়াতকে লক্ষ্য করে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দিচ্ছেন বলেও বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়।
জামাতের সহকারী সেক্রেটারি আরো বলেন, “দেশবাসী মনে করে, গত ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরে হিন্দুদের বাড়িতে হামলা-ভাংচুর ও ৩ নভেম্বর রাতে সেখানে হিন্দুদের ছয়টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মাদরাসা ও মসজিদে তালা দেয়ার ঘটনা এবং হবিগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, বরিশালের বানারীপাড়া, ফরিদপুরের বোয়ালমারী, বগুড়ার ধুনট, যশোর এবং ঠাকুরগাঁয়ে হিন্দুদের বাড়ি-ঘর, মন্দিরে হামলার ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা।”
নাসিরনগরসহ বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির দাবিও জানানো হয় বিবৃতিতে।
নিউজবাংলাদেশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন