ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষিত মুসলিম ছাত্রসংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়ার (সিমি) আট সদস্য আইনশৃংখলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।
রবিবার গভীর রাতে মধ্যপ্রদেশের ভোপাল জেলের একজন কারারক্ষীকে মেরে থেকে এই আট ছাত্রনেতা পালিয়ে যান বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর বেরোয়।
পরে সোমবার সকালে ভোপাল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে এন্তেখেড়ি গ্রামের কাছে পুলিশ ও কাউন্টার টেরোরিজম গ্রুপের (সিটিজি) এনকাউন্টারে আট ছাত্রনেতা নিহত হন বলে খবর প্রচারিত হয়।
এদিকে সিমির আট নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় টুইটারে বিভক্ত মত পাওয়া গেছে। অনেকেই এই ঘটনাকে সাজানো নাটক বলে অভিহিত করেছেন।
বিশেষ করে চামচ দিয়ে একজন কারারক্ষীর গলা কাটা এবং পালানোর পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে গুলি চালালে এনকানউন্টারে নিহত হওয়ার খবরের বিশ্বাসযোগ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
নিহত ছাত্র নেতারা হলেন মেহবুব গুড্ডু ওরফে মল্লিক, মোহাম্মদ খালিদ আহমাদ, আমজাদ খান, মুজিব শেখ, মোহাম্মদ আকিল খিলজি, জাকির হোসেন সাদিক, মোহাম্মদ সালিক সাল্লু এবং আবদুল মজিদ।
তাদের মধ্যে মেহবুব, আমজাদ ও জাকির তিন বছর আগে অন্য একটি জেল থেকে পালিয়েছিলেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, আনুমানিক রাত ২টার দিকে তারা একর কারারক্ষীর ওপর হামলা চালিয়ে তাকে খুন করেন। পরে বিছানার চাদরের সহায়তায় দেয়াল বেয়ে পালিয়ে যান বন্দিরা।
এরপর দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মধ্য প্রদেশ কর্তৃপক্ষকে প্রদেশজুড়ে সতর্কতা জারির নির্দেশনা দেয়। পাশাপাশি পুরো দেশেও পলাতক বন্দিদের ধরতে এই সতর্কবার্তা জারি করে ব্যাপক অভিযান শুরু করে।
নিহত বন্দিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ডাকাতির বিচার চলছিল। জেল পলাতকরা ২০১৩ সালে ভোপাল থেকে ২৮০ কিলোমিটার দূরের কান্দোয়া জেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময়ও একই পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন।
অভিযানে অংশ নেয়া আইজি যোগেশ চৌধুরী জানান, গানডা পুলিশ ফাঁড়ির নিকটবর্তী মানিখেদা এলাকায় তাদেরকে স্থানীয়রা ডাকাত ভেবে পুলিশে খবর দেয়। এ সময় পলাতক বন্দিরা স্থানীয়দের লক্ষ্য করে ইট-পাথরও ছুড়ে মারেন।
পরে পুলিশ গিয়ে তাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানালে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে বন্দিরা নিহত হয়। এ সময় দুই পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে বলে জানান জোগেশ চৌধুরী।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভির।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন