ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৭

‘ছাত্রলীগের সন্ত্রাস বন্ধে প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে শিবির আর নীরব থাকবে না’


বাংলাদেশ বার্তাঃ  ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের কর্তৃক ছাত্রশিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সোহরাওয়ার্দী হল শাখা সেক্রেটারি আরিফুল ইসলামকে পৈচাশিক নির্যাতন ও তাকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

ছাত্রশিবিরের সহকারী প্রচার সম্পাদক ওবায়েদুল্লাহ সরকার স্বাক্ষরিত এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল ড. মো: মোবারক হোসাইন বলেন, একজন নিরপরাধ মেধাবী ছাত্রের উপর কাপুরুষোচিত বর্বর হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগ আবারো তাদের বিকৃত ও নৃশংস রুপের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গত সোমবার আরিফুল ইসলামকে ক্যাম্পাস থেকে রাবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চঞ্চল কুমার অর্ক ও সাবরুন জামিল সুষ্ময়সহ ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে তার ওপর মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালানো হয়। তারা তার হাতের প্রতিটি আঙুল ভেঙ্গে দিয়েছে। পায়ের হাড় পিটিয়ে থেতলে দিয়েছে। শরীরের অসংখ্য হাড় ভেঙ্গে গেছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পুলিশও সন্ত্রাসীদের ইচ্ছামত তাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি এখন হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছেন। এ বর্বর ঘটনার পরও ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে পুলিশের সামনে সশস্ত্র জঙ্গি মিছিল করেছে। কিন্তু পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বহীন নিরবতা পালন করছে।

শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, অবৈধ সরকার, দায়িত্বহীন পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মদদে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে রেখেছে। এর আগেও অনেক নিরপরাধ ছাত্রকে নির্মম হত্যা করেছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। অনেক বার নির্যাতন করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের। নির্বিচারে লুটপাট করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের টাকা পয়সা, ল্যাপটপ, কম্পিউটাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। রাবি ক্যাম্পাসকে অস্ত্র আর মাদকের আখড়ায় পরিণত করেছে ছাত্রলীগ। সবই হয়েছে এবং হচ্ছে প্রশাসনের সামনে। প্রশাসনের দায়িত্বহীন নিরবতায় মনে হচ্ছে, ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের কাছে শিক্ষার্থীদের জান-মালকে তুলে দিয়েছে। কিন্তু ছাত্রসমাজ নিজেদের জান-মাল কোন জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত নয়। অবিলম্বে আহত শিবির নেতার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। তার কিছু হলে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের সাথে সাথে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায় বহন করতে হবে।

শিবির নেতারা এও বলেন, এখনই ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের লাগাম টেনে ধরতে হবে। হামলাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর জান-মালের নিরাপত্তার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ক্যাম্পাসে সহবস্থান ও শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় এভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ শিবির কর্মীদের উপর হামলা অব্যাহত থাকলে এবং আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হলে ছাত্রজনতা আর নীরব ভূমিকা পালন করবে না। ছাত্রশিবির সাধারণ ছাত্রদরে সাথে নিয়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে এর সমুচিত জবাব দিবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন