ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৭

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতির বীরত্বগাঁথার জনক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

বাংলাদেশ বার্তাঃ প্রকৃত গণতন্ত্র কখন কার হাত ধরে পেয়েছে বাংলাদেশ? সবার কাছে শুনতে খারাপ লাগলেও বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের নাম মুছে ফেলা সম্ভব ; তবু এ সত্য মুছে ফেলার সাধ্য কারো নাই, যা পৃথিবীর ইতিহাসে জামায়াতে ইসলামীর নামটা স্বর্নক্ষরে লেখা থাকবে।
স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিলো কে, জাতির জনক যাকে বলা হয়, তিনি নিজেই যুদ্ধকালীন কোন সময় দেশে ছিলেন না, ছিলেন পাকিস্তানের কারাগারে, দেশ স্বাধীনের পরর তিনি হয়ে গেলেন মহা রাষ্ট্র নয়ক, তাকে ঘীরেই বাকশাল ক্বায়েমসহ মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নেয়া, ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ, যার ফলে দেশের ইসলাম প্রিয় বিরাট একটি গৌষ্ঠী গনতান্ত্রিক রাজনীতি ও প্রার্থীতা থেকে বঞ্চিত হয়, ফলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিটা পাঁচ মিশালী তন্ত্রের সাথে প্রতিপক্ষ বাম রাজনৈতিক দলগুলো নিয়েই ইলেকশন হতো, তাতেও কত রক্তপাত এবং এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অপকৌশল, যার ফলে পঁচাত্তরে মুজিব নামক অধ্যায়েরও পরিসমাপ্তি ঘটে।
এরপর ক্ষমতা দখলের বিভিন্ন অপকৌশলের অংশ হিসেবে এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীরই এক আভ্যন্তরীন শক্তি ক্ষমতায় আসে জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে,ইতিবাচক রাজনীতির অনেকগুলো প্রভাব থাকলেও জিয়া তো কখনোই গনতান্ত্রিক শক্তি ছিলেন না, কোন রাজনৈতিক দল গড়েও ক্ষমতায় আসেন নি,যদিও তিনি ইসলামী রাজনীতিসহ বহুদলীয় রাজনীতির দার উন্মোচন করেছিলেন,এক পর্যায়ে জিয়াউর রহমান হত্যাকান্ড ঘটলেও তাকে সেনাবাহিনীরই একটি শক্তি ধরা হতো, যেভাবে এদেশের ইতিহাসে ক্যান্টেনমেন্ট থেকে অনেকেই ক্ষমতায় এসেছেন।
জিয়াউর রহমানকে হটিয়ে হত্যা কিংবা সংকটময় পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আরেকটি সেনাবাহিনীর ক্যান্টেনমেন্ট শক্তি এরশাদ সাহেব,যার হাত ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তার খাতায় নাম লিখিয়ে মুজিবের বাকশালের পতনের কালো অধ্যায়ের পর আরেকটি সৈরাচারী অধ্যায়ের সুচনা করে, সবার উপরে টেক্কা খাটিয়ে ৯ বছর মেয়াদ কালের দীর্ঘ সময় পাড়ি দেয়া এরশাদকে ক্ষমতা থেকে কেউ নামাতে পারছিলো না,যেখানে সকল প্রকার আন্দোলন ও রক্ত ঝরিয়েও সবাই ব্যর্থ।
এরপরই ভাষা সেনাপতি ও তৎকালীন সময়ের জামায়াতের আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম স্যারের থেকে আসে সেই পৃথিবী নন্দিত একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের ঐতিহাসিক কেয়ার টেকার সরকার ফর্মুলা, আর যা মেনে নিয়ে দেশের রামবামসহ সকল প্রকারের রাজনৈতিক দলগুলো,সেই দিন আর কেউ জামায়াতে ইসলামীর বিরোধীতা করেন নি, পরিশেষে ৯১ সালে পতন হয় সৈরাচারী এরশাদের এবং প্রথমবারের মতো সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহনে জাতি একটি নির্বাচিত সরকার হিসেবে বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখতে পায়।
এভাবে একটানা ২০০৬ সাল পর্যন্ত জামায়াত ক্ষমতায় না এলেও তাদেরই ইনসাফের গনতান্ত্রিক ভোটের কেয়ার টেকার পদ্ধতিতে চলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস,এরপর মঈন ইউ ফখরুদ্দীনের জরুরী অবস্থার শাসন আসলে ও সেই কেয়ার টেকারের ভয়ে লেজগুটিয়ে পালায়,বর্তমানে অগনতান্ত্রিক ভাবে আওয়ামী অপশাসন চললেও আজো তাদেরকে সত্যও ন্যায়ের গনতান্ত্রিক ভোটের পদ্ধতির ক্যায়ার টেকার ফর্মুলাই তাড়িয়ে বেড়ায়। আজ আমাদের দেশ সেই কাঙ্খিত কেয়ার টেকারের অধীনে ইলেকশন হওয়ার অভিশাপে রক্তাক্ত ভাবে কলঙ্কিত হচ্ছে।
আল্লাহ যেন আমাদের মাঝে দেশ ও জাতির কান্ডারী আরেকজন গোলাম আযমের মতো রাজনৈতিক সেনাপতি দান করেন,যার আহবানে ঐকবদ্ধ আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিবে দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের দুর্বার প্রতিরোধ,মৃত্যু হবে অপশাসনের,মুক্তি পাবে গনতন্ত্র, প্রতিষ্ঠিত হবে জনতার সরকার, আমীন।
কপি পোষ্ট--Abul Bayan Helali

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন