বাংলাদেশ বার্তাঃ মরিশাস আফ্রিকার ক্ষুদ্রতম একটি দেশ। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে (শিক্ষার) শেষ স্তর পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। এমনকি ছাত্র-ছাত্রীদের বাসা থেকে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার খরচও রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে বহন করা হয়। মরিশাসে নাগরিকদের শিক্ষাদানকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়না। সেখানে শিক্ষা বিক্রি করা হয়না। বরং রাষ্ট্র কতৃক নাগরিকদের শিক্ষাদানকে সেবা হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তা বিনা মূল্যেই প্রদান করা হয়।
• ক্ষুদ্র রাষ্ট্র মরিশাসে সকল নাগরিকদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এবং সাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়। এমনকি হার্ট সার্জারির মত ব্যয়বহুল চিকিৎসাও এর অন্তর্ভুক্ত। নাগরিকদের সাস্থ্যসেবায় ব্যাবসায়ীদের ( দৌরাত্ন) পরিলক্ষিত হয়না।
• আপনি জানেন কি? মরিশাসের মোট জনসংখ্যার ৯০% তাদের নিজস্ব মালিকানাধীন বাড়িতে বসবাস করে। কোন পরিবার কিংবা বাস্তচ্যুত নেই।এমন অভিযোগ কেউ কখনও করেনি যে জমির মূল্য এবং নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য ঊর্ধমুখি।
• মরিশাসে নাগরিকদের গড় মাথাপিছু আয় ১৯৬০০ ডলার। অবশ্য তারা এই ব্যাপারে গর্ব করেনা যে, তারা আফ্রিকার সর্বাধিক মাথাপিছু আয় সম্পন্ন দেশ।
• গণপ্রজাতন্ত্রী মরিশাস আফ্রিকা অঞ্চলের সম্পদশালী দেশ। যদিও তাদের তেল, খনিজপদার্থের মত প্রাকৃতিক সম্পদ নেই। তাদের প্রধান আয়ের উতস হল তাদের মানব সম্পদ । অতঃপর কৃষি কাজের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানী এর প্রধান আয়ের উৎস।
• বাজেটে সামরিক খাতকে গৌণ ধরে শিক্ষা, সাস্থ্য এবং নাগরিক সেবাকেই মূখ্য হিসেবে ধরা হয়েছে।
• মরিশাসের রাষ্ট্রপ্রধান ডঃ আমিনাহ জৈব রসায়নে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বলেনঃ “রাজনিতি আমাকে পছন্দ করেছে, আমি রাজনীতি করতে চাইনি”। ডঃ আমিনা গারিব ফাক্বিম বিশটির ও অধিক গ্রন্থের রচয়িতা এবং জীববিদ্যার উপর তাঁর আটটি গবেষণাপত্র রয়েছে।
মরিশাসে মুসলিমরা সংখ্যালঘু। কারণ মোট জনসংখ্যার ১৭ ভাগ মাত্র মুসলিম। এতদসত্ত্বেও দেশের জনগণ মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানই পছন্দ করেছেন। দেশের জনগণ তাদের অধিকার এবং কর্তব্য সম্পর্কে সচেতনতার ভিত্তিতে সমাজে শান্তিতে বসবাস করছে।
অনুবাদ:Muhib khan
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন