বাংলাদেশ বার্তাঃ বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতি (ল্যাব) নির্বাচন ২০১৭ উপলক্ষে ড. নাসির উদ্দিন মিতুল-অহিদুজ্জামান লিটন-মহিউদ্দিন পরিষদের প্যানেল পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা জেলা পরিষদ মিলনায়তন চট্টগ্রাম এ ১৭ নভেম্বর সকাল ১০:০০ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এম. নাসির উদ্দিন মুন্সির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্যানেল পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার জনাব মোঃ আবদুল মান্নান।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম এর প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সমিতির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। পুরো অডিটোরিয়ামটি কানায় কানায় ভরে অনেকে দাঁড়িয়ে থেকে অনুষ্ঠান উপখোগ করেছেন এবং বক্তব্য শুনেছেন। ড. নাসির উদ্দিন মিতুল নিজের ফেইজবুক স্ট্যাটাসে অনুষ্ঠান সম্পর্কে তার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন নিম্নরূপ ভাষায়। ড. নাসির উদ্দিন মিতুল এর অনুভূতি হুবহু তুলেধরা হলোঃ
”শপথ নিয়েছি এ পেশাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবো আমি। তারপর হবো ইতিহাস। কেউ আমাকে আটকাতে পারবে না। কারণ মায়ের মতো করেই যে আমি আমার এ পেশাকে ভালবাসি। মেয়ের বায়নার মতোই যে আমি কানে নিই আমার অবহেলিত পেশাজিবীদের কথা। আর তাইতো যে ভালবাসা আপনারা আমার ও আমার প্যানেলের প্রতি দেখিয়েছেন, তার মুল্য আমি দিবই ইনশাল্লাহ। ভোটের মারপ্যাচ আমি বুঝি না। বুঝতেও চাইনা। জিতলেই রাজা, না জিতলে সব ছেড়ে ছুড়ে বসে থাকবো- এমনটি আমায় ভাববেন না। আপনি কিংবা আপনারা (অন্য পেশার)- আমার এ বঞ্চিত পেশাজিবীদের যতই অবজ্ঞা অবহেলা করুন না কেনো- আজ যখন চট্টগ্রামের প্রায় ১৬ টি স্বনামধন্য কলেজের অধ্যক্ষগন একযোগে স্বীকার করলেন যে ডীন মহোদয় না ডাকলে জীবনে হয়তো অজানাই থেকে যেতো যে লাইব্রেরিয়ান তথা তথ্য পেশাজীবীদের এরকম সুসংগঠিত একটি পেশাজীবী সংগঠন আছে! আমিতো এটুকুনই আপনাদের শুনিয়ে অধ্যক্ষ মহোদয়গনের কানে পৌছাতে চেয়েছিলাম।
এটাইতো ছিল আমার মুল ম্যাসেজ। প্রিয় পেশাজীবীগন, আপনাদের অনেকের অনেক কষ্ট, সীমাবদ্ধতা আমি জানি। তা সত্ত্বেও কি আশ্চর্য এক আত্মবিশ্বাস সকলের আমার প্রতি। পুরো অডিটোরিয়ামটি কানায় কানায় ভরে অত:পর দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে আপনারা শুনেছেন আমার কথা, আমাদের কথা। এমনকি বিকেল গড়িয়ে গেলেও হাতিয়া, সন্দীপ, কুতুবদিয়া, রাংগুনিয়া সহ প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা আপনারা একটুকুও ক্লান্তির লেশ মাত্র দেখাননি। আপনাদের এ স্বপ্ন পুরণে সদা কাজ করতে পারি, সে দোয়া করবেন। ধন্যবাদ আনোয়ার ও তার টিমকে। ধন্যবাদ উপস্থিত সকল অধ্যক্ষ মহোদয়গনকে। প্রানঢালা শুভেচ্ছা চট্টগ্রামের মাননীয় বিভাগীয় কমিশনার স্যারকে যার মেহমান হয়ে আমি ও আমার প্যানেল সার্কিট হাউজ থেকে শুরু করে ভেন্যু সহ সকল সুবিধা পেয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আমার বাল্যবন্ধু বাংলাদেশ নেভী কমান্ডার আশরাফকে যিনি পতেঙ্গা নেভাল একাডেমিতে নিয়ে গিয়ে আমাদের সকলকে সমুদ্র দেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সবশেষে বোটক্লাবে আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শেষ হলে বিদায় নিয়ে রাত ৯টায় USBangla ফ্লাইটে ঢাকা রওয়ানা হই। উল্লেখ্য, আজ সকালে এই একই ফ্লাইটে চট্টগ্রামে আসি। মনে রাখার মতো একটি প্রোগ্রাম করলাম। ভালো থাকবেন সকলে।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন