বাংলাদেশ বার্তাঃ শহীদ আলী আহসান মুহহাম্মদ মুজাহিদ। একটি জীবন একটি ইতিহাস। যিনি বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক উজ্জল নক্ষত্র। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন,কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তিনি ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন। ২০০১ সালে চারদলীয় জোট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মাধ্যমে সরকার গঠন করলে তিনিও সরকারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন নীতির প্রশ্নে কঠোর,আবার ব্যক্তি হিসেবে সদালাপী, পরোপকারী ও অল্পেতুষ্ট। আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশতঃ আওয়ামীলীগ সরকার হত্যা করলেও এ দেশের ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতার হৃদয়ে তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
শহীদ আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতা এক সময় পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। তিনিও একজন সম্ভ্রান্ত ও গুণীজন ছিলেন। যার সেই সুনামের পরিচয় এখনো তার এলাকায় পাওয়া যায়। শহীদ আলী আহসান মুজাহিদ ও বাবার যোগ্য সন্তান হিসেবে ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি ইসলামী আদর্শ সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সংগ্রাম করে গিয়েছেন। তিনি আল্লাহ ছাড়া কাউকে পরোয়া করতেন না। যে কারণে তিনি ইসলাম বিদ্বেষীদের চক্ষুশূলে পরিণত হন।
তিনি স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তিনি ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন। কেয়ার টেকার আন্দোলনের রূপকার অধ্যাপক গোলাম আযমের ফর্মূলা বাস্তবায়নের অন্যতম সিপাহসালার হিসেবে তিনি রাজপথে ঐতিহাসিক অবদান রেখেছেন।
২০০১ সালের নির্বাচনের পর আলী আহসান মুজাহিদকে সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পলন করতে হয়েছিল। তিনি তার দপ্তরের কাজে অংশগ্রহনের পূর্বে বলেছিলেন যে,আমার এই পেটে হারাম ঢুকবেনা। পাশে যেখানে সুদ ঘুষ ও উপঢৌকনের নামে রাষ্ট্রের কর্ণধারদের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারকে খালি করার তীব্র প্রতিযোগীতা চলছে সেখানে মজবুত সততা ও দক্ষতার মাধ্যমে তিনি তার মন্ত্রণালয়কে পরিচালনা করেছেন। ২০০৬ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশে যখন বিভিন্ন দলের নেতাদেরকে দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করেছিলেন। ফখরুদ্দীন ও মইনউদ্দীন এর আমলে আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ও দলের আমীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন শত চেষ্টা করেও লেশমাত্র দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করতে না পেরে দুর্নীতিমুক্ত হিসাবেই দুর্নীতি কমিশন স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। যে স্বীকৃতি ইসলাম বিদ্বেষীদের জন্য প্রচন্ড চপেটাঘাত ছিল। অন্যদিকে দেশের আপামর জনসাধারণের মধ্যে ইসলামী নেতৃত্বের এবং দেশে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সমূহ সম্ভাবনার ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস জন্ম নেয়। জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাসে এই সময়কালটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরবর্তীতে ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই নির্বাচন একটি টেষ্ট কেইস ছিল।
জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন আমীর শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর কৃষিমন্ত্রনালয় ও শিল্পমন্ত্রনালয় এবং শহীদ আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ এর সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অভাবনীয় উন্নয়ন সাধন ও সুনাম-সুখ্যাতি বাতিলদের হৃদয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্রের বীজ বপন করে। এভাবে ধীরে ধীরে সংগঠনের পরিধি বাড়তে থাকে। একটি দলের এ ধরনের উন্নয়ন ইসলাম বিদ্বেষীরা সহ্য করতে না পেরে ২০১০ সালের শুরুর দিকে যুদ্ধপরাধ বিচারের নামে ধুয়া তুলে একে একে জামায়াত নেতৃবৃন্দদেরকে গ্রেফতার করা হয়। মিথ্যা মামলায় সাজানো সাক্ষ্যের মাধ্যমে পৃথিবীর সবচেয়ে ঘৃন্যতর মিথ্যাচারের মাধ্যমে জামায়াতের অন্যান্য নেতৃত্বের মত আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকেও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আওয়ামী সরকার নির্মমভাবে হত্যা করে। কমান্ড রেসপনসিবিলিটির নামে ও সাজানো ডকুমেন্ট তৈরীর মাধ্যমে এ ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ। অথচ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে কতিথ “ঘাদানিক” নামে যুদ্ধাপরাধ বিচারের প্রথম দাবী করে। শাহরিয়ার কবির ও মুনতাসির মামুন গংরা পরিকল্পিত ইতিহাস রক্ষার নামে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে কথিত রাজাকার তকমা লাগিয়ে পুস্তক রচনা করে। সেসব বই সমূহের রেফারেন্সকে তাদের ফাঁসি নিশ্চিত করার জন্য দলিল প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করেছে। যা জঘন্য মিথ্যাচার,ইতিহাস বিকৃতি ও হাস্যকর নোংরামী ছাড়া কি বলা চলে!
তিনি সরকারের মন্ত্রী থাকাকালে কোন দুর্নীতি ও রাষ্ট্রের অর্থ অপচয়কে প্রশ্রয় দেননি। যে কারণে তিনি দুর্নীতিবাজ আমলাদের নিকট বিরাগভাজনে হয়েছিলেন। সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল হিসাবেও তিনি সংগঠনের শৃংখলা প্রতিষ্ঠায় সংগঠন কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দক্ষতার সাথে বাস্তবায়ন করতেন। তার সাংগঠনিক কঠোরতার কারণে সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে অনেকে তাকে কড়া মানুষ মনে করতেন। অথচ তিনি কত সহজ সরল মনের মানুষ কেবলমাত্র তার কাছের মানুষ মাত্রই জানেন।
২০০৯ সালের কথা। আমি ছাত্রশিবিরের পরিষদ সদস্য হিসাবে চট্টগ্রাম মহানগরীর দক্ষিণ শাখার সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলাম। এর মধ্যে রাঙামাটি জেলা জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের কিছু বিষয় মতোবিরোধের মিমাংসার জন্য তিনি চট্টগ্রামে আসেন। ছাত্রশিবির সভাপতি হিসাবে আমাকেও সেই প্রোগ্রামে দাওয়াত দেয়া হয়েছিল।
রাঙ্গামাটি জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নিজেদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভাইয়েরা মন খুলে কথা বলছিলেন। শহীদ আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে তাদের প্রত্যেকের কথা শুনছিলেন। আমার কাছে খুব অস্বাভাবিক লাগছিল আবার খুব ভাল লাগছিল যে দলের একজন শীর্ষ নেতা অধঃস্তন শাখার সমস্যা অত্যন্ত যত্নের সাথে সমাধানের চেষ্টা করছেন। আমার সাংগঠনিক জীবনে এ যাবৎ কালে দেখা শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যে এত সময় নিয়ে ধীর স্থিরভাবে কথা শুনতে কাউকে দেখিনি। আমরা যারা প্রোগ্রামে হাজির ছিলাম আমাদের মতামতও তিনি নিতে থাকলেন। এর মধ্যে সালাতুল যোহরের পর দুপুরের খাবার গ্রহন করার পর উনি আমাদের জনশক্তিদের জীবনে ত্যাগ কুরবানীর কথা বলতে গিয়ে খুলনার ঘটনা বললেন। তিনি বলেন,খুলনাতে আমাদের অনেক রুকন ভাই আছেন তারা খুব সামান্য বেতনে চাকুরী করেন। কল কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকে চাকুরী হারান। আমাদের এসব জনশক্তিরা আত্মসম্মানবোধের কারণে কাউকে তাদের অভাব অভিযোগের কথা বলেন না। এদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা শুধু সাদা ভাত ডালের পানি দিয়ে খান। একথা বলতে গিয়ে তিনি কেঁদে উঠলেন। উনার জনশক্তির প্রতি দরদ দেখে আমার খুব ভাল লাগছিল। প্রকৃতপক্ষে জনশক্তিদের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের অনুভব করতে পারা সংগঠনের জন্য অত্যন্ত হিতকর বিষয়।
সেদিনকার প্রোগ্রামে তিনি আমাদের সবার বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়েছিলেন। সেই দেখাটি ছিল আমার সর্বশেষ সরাসরি দেখা। তিনি কারাগারে থাকাকালীন সময়েও আমাদের জন্য বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়েছেন, পরামর্শ পাঠিয়েছেন। আমি ওনার প্রতি কৃতজ্ঞ। ফাঁসির আসামী হয়েও এভাবে নিঃস্বার্থ ভাবে সংগঠনের খোঁজ-খবর রাখা, পরামর্শ দেওয়া প্রকৃত বীর মুজাহিদ ছাড়া সম্ভব নয়। সরকার দেশ, জাতি ও দেশে ইসলামী হুকুমাত প্রতিষ্ঠার একজন স্বপ্নদ্রষ্টাকে এভাবেই শেষ করে দিল?
আরেক বারের ঘটনা। ২০০৫ সালের দিকের ঘটনা। তখন আমি চট্টগ্রাম কলেজ শাখার ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী। আমরা কলেজ প্রিন্সিপাল অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন স্যারসহ সিদ্ধান্ত নিলাম সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে নবীন বরণ এ দাওয়াত করব। তিনি সরকারী সফরে চট্টগ্রাম আসলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আমাদের কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক অধ্যাপক ফজলুল করিম, কলেজ শাখার তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুর রহমান ভাইসহ আমরা সাক্ষাৎ করতে যাই। তিনি আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন এবং বললেন ছাত্রদের এ ধরণের অনুষ্ঠানে আসতে তিনি তেমন পছন্দ করেন না। আর আমরা যে সময়টি প্রোগ্রামের জন্য ধার্য্য করেছিলাম তখন ওনার জন্য সময় করে নেয়া সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছিলেন, আমরা তখন সাময়িকভাবে একটু মন খারাপ করে ছিলাম। তিনি আমাদের দাওয়াত নিলেন না। পরে অবশ্য তিনি তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ ওসমান ফারুককে আমাদের অনুষ্ঠানের মেহমান হিসাবে ঠিক করে দিয়েছিলেন।
২৬ মে ২০১৭ ইং গ্রেপ্তার হবার পর কেন্দ্রীয় কারাগারের ঢুকলে বকুল ৩/২২ আমাদের লকাপ ছিল। এখানে আসার পর শুনলাম সাতক্ষীরার জেলা জামায়াতের আমীর মুহাদ্দীস আব্দুল খালেক চম্পাকলি (ডিভিশন প্রাপ্ত) তে আছেন। এরপর ক’জন ভাইকে নিয়ে ওনার সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলাম। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তাঁর প্রিয় নেতা শহীদ আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের কথা বললেন। তিনি বলেন শহীদ আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ছিলেন, নির্ভীক সাহসী ও জান্নাতের পথযাত্রী। তাঁর ফাঁসির আগে একদিন কোর্টে ওনার সাথে সামনা সামনি সাক্ষাৎ হয়। তিনি হাস্যজ্জ্বল ভাবে আমার খোঁজ খবর নিলেন। ওনার সাথে যারা ছিলেন সবার সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিলেন। ওনাকে সে সময়ে খুবই প্রফুল্ল দেখাচ্ছিল। আপাত দৃষ্টিতে মনে হল,উনি কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন। আমি সাতক্ষীরার এম.পি ছিলাম বলেও পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন সবাইকে। তাঁর মনে কোন ভয় শঙ্কা আছে বলে মনে হয়নি। কি অদ্ভুত ব্যাপার। জান্নাতের মেহমানরা এমনই হয়ে থাকেন। যারা পৃথিবীর সকল মায়াকে তুচ্ছ করে আল্লাহর দিদারকেই সর্বাগ্রে প্রধান্য দিয়ে থাকেন। ফাঁসির দড়ির নিশ্চিত শঙ্কাকে তুচ্ছ করে আল্লাহর উপর ভরসা করে যারা সম্মুখ চলতে পারে এরাইতো প্রকৃত দ্বীনি আন্দোলনের নেতা। আবেগতাড়িত হয়ে এভাবেই তিনি আমাদেরকে ওনার বিষয়ে বলছিলেন। আমরা তন্ময় হয়ে ওনার কথা শুনছিলান। আর মনে মনে শহীদ সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ মুজাহিদ ভাইয়ের জন্য আল্লাহর দরবারে শাহাদাতের সর্বোচ্চ কামনা করছিলাম।
তিনি সংগঠনের মজবুতি অর্জনে ও রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে দেশের অভ্যন্তরে ভূমিকা রেখেছেন। জামায়াতের এই শীর্ষনেতা ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের সম্মান অক্ষুন্ন রেখে দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও সহমর্মিতাকে লাগসই করার জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি দেশে ইসলামী কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন। তিনি রাষ্ট্রীয় ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করার সময় দক্ষতা ও সততার এক বিরল নজির স্থাপন করেছেন। শহীদ আলী আহসান মুজাহিদ দেশের তরুণ প্রজন্মকে সৎ,দক্ষ ও দেশ প্রেমিক নাগরিক হিসাবে নিজেদেরকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতেন। বিশেষ করে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে আগামী দিনের যোগ্য নেতৃত্ব সরবরাহ কেন্দ্র হিসাবে আাখ্যা দিতেন এবং ছাত্রশিবিরকে আগামী দিনের বিপ্লবের সূতিকাগার হিসেবে ভূমিকা রাখতে তাগাদা দিতেন। নানা কারণে কখনো ওনার বাসায় যাওয়া হয়ে উঠেনি। ওনার শাহাদাতের শেষ সময়গুলো স্মৃতি আমাকে অনেক বেশি আন্দোলিত করে তোলে। ওনার ছেলেদের মধ্যে একজনের সাথে আমার যোগাযোগ ছিল। তাই খোঁজ খবর নেয়ার চেষ্টা করতাম। ওনার শাহাদাতের ঘটনার কিছুদিন পর ওনার বাসায় গেলাম। খালাম্মার সাথে কথা হল। আমরা ওনার কাছ দোয়া চাইলাম, উনিও আমাদের কাছ থেকে দোয়া চাইলেন। বিদায় বেলায় ওনার পরিহিত একটি ফতুয়া ওনার স্মৃতি হিসেবে খালাম্মা আমাকে দিলেন। এতে আমি খুব গর্বিত হয়েছিলাম। এখনও সর্বদা ওনার ত্যাগ-কুরবানীকে আল্লাহর দরবারে কবুলিয়াতের জন্য দোয়া করি। ওনার শাহাদাতের পর ওনার মেঝ ছেলে চাকুরী হারান। যিনি টেলিকমিউনিকেশন এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন।
কায়োমনোবাক্যে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি,আল্লাহ যেন শহীদ আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে (র) কবুল করেন এবং তার পরিবার-পরিজনের নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করেন। তাঁর রেখে যাওয়া কাজকে আমরা যেন যথাযথভাবে অব্যহত রাখতে পারি এই কামনাই করছি।
লেখক: সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন