বাংলাদেশ বার্তাঃ বেশি দিন বাঁচতে চাইলে পেটে ঘুমাবেন না। একদিন হযরত মুহম্মদ (সা) ইয়াসি ইবনে তিকফা নামে এক ব্যক্তিকে পেটে ভর দিয়ে উপুর হয়ে মাটিতে ঘুমাতে দেখে ডেকে তুলে বললেন, এটা ঘুমানোর সম্পূর্ণ ভুল পদ্ধতি, যেটাকে স্বয়ং আল্লাহ ঘৃণা করেন।
শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে নয়, পেটে ঘুমাতে সাবধানবাণী উচ্চারণ করছে বিজ্ঞানও। এ বিষেয়ে নিজ অভিজ্ঞতার কথা সম্প্রতি বর্ণনা করেছেন পানামার এক শিক্ষক। ওই শিক্ষক জানান, পানামাতে ইসলামী শিক্ষা ও শিষ্টাচারের উপর পাঠদানের সময় তিনি পেটে ঘুমানো প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীদের বলছিলেন। তখন শিক্ষার্থীরা তার কাছে জানতে চায়, ‘কেন উপুর হয়ে ঘুমানো যাবে না?’ শিক্ষার্থীদের ওই প্রশ্নের তাৎক্ষণিক কোন উত্তর খুঁজে পাচ্ছিলেননা ডাক্তার। যদিও তিনি শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে ধর্মীয় দৃষ্টিকোনের সাহায্য নেন। বলেন, ‘এ বিষয়ে বিশ্ব নবী বলেছেন, এটা আল্লার কাছে খুবই অপছন্দের।’
ওই ঘটনার পরই বিমানে চড়ে পানামা থেকে গায়ানা যচ্ছিলেন ওই ডাক্তার। বিমানে পাওয়া একটি ম্যাগাজিনে ‘মেরুদন্ডের সর্বশেষ উন্নত চিকিৎসা শাস্ত্রে কিভাবে একটি নষ্ট ও চূর্ণ স্পাইনালকে কোন বড় সমস্যা ছাড়াই মোকাবেলা করা যায়’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধে চোখ পড়ে তার। আর প্রবন্ধের শুরুতেই লেখা ছিলো- এখানে মেরুদন্ডের সমস্যা থেকে বাঁচতে পেটে ঘুমানো যাবে না। এর কারণ হিসেবে ডাক্তাররা ব্যাখ্যা করলেন, মেরুদন্ডের হাড় এতোটাই ভারী যে, সমগ্র শরীরকে এটা বহন করে। তাই যখন আমরা উপুর হয়ে ঘুমাই তখন পেটের অভ্যন্তরে থাকা নরম টিস্যু, নাড়িভুঁড়ি, অঙ্গ, পাকস্থলি, ফুসফুস সব সামনের দিকে চলে আসে। ফলে মেরুদন্ড একপাশে বা নিচের দিকে ঝুলে পড়ে। যেটা মানুষের দীর্ঘদিন ও সুস্থ্যভাবে বাঁচার প্রধান অন্তরায়। প্রায় ১৪০০ বছর আগে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি না ঘটলেও নবী (সা) তখন যেটা বলেছিলেন, সেটার ইতিবাচক ও পূর্ণাঙ্গ ব্যাখা দিয়েছে বিজ্ঞানীরা। এ বিষয়ে একদল চিকিৎসক মা-বাবাদের পরামর্শ দেন, শিশুদের পেটে ঘুমানোর অভ্যাস তৈরি করবেন না। প্রবন্ধের একটি পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে, যারা দিক নির্দেশনাটি অনুসরণ করেছে তাদের মধ্যে মৃত্যু হার শতকরা ৬৮ ভাগে নেমে এসেছে।
উৎস- আমাদের সময়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন