ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ৫ জুন, ২০১৮

সবিনয় জিজ্ঞাসা !! জামায়াত-শিবির ধরতে তো প্রমাণ লাগে না, বদির বেলায় কেন?

জামায়াত-শিবির ধরতে তো প্রমাণ লাগে না, বদির বেলায় কেন?
দলীয় সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে একাধিক গোয়েন্দা রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাচ্ছেন না আওয়ামী লীগ নেতারা। বরং বদিকে ইয়াবার গডফাদার বলায় আরও প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে সম্প্রতি বদির বিষয়ে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশের পরও ওবায়দুল কাদের আজ রেগে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, বদি ইয়াবার গডফাদার এর প্রমাণ কি? বদির ইয়াবা ব্যবসা নিয়ে তথ্য সম্বলিত সুনির্দিষ্ট প্রতিবেদনের পরও এগুলোকে যথেষ্ট মনে করছেন না ওবায়দুল কাদের।
সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও সরকারদলীয় নেতাদের এসব বক্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবে জনমনে প্রশ্ন জাগে- আজ পর্যন্ত কোনো মাদক বিরোধী, অস্ত্র উদ্ধার ও জঙ্গি দমন অভিযানেতো জামায়াত-শিবিরের কোনো নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়নি। দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতেও মাদক সেবন, মাদক ও রাখার অভিযোগে ছাত্রশিবিরের কোনো নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে এমন রেকর্ড বাংলাদেশে নেই। টেন্ডার বাজি কিংবা কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জামায়াত-শিবিরের কোনো নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে এমন রেকর্ডও নেই।
অথচ কোনো অপরাধে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই জামায়াত-শিবির, মহিলা জামায়াত ও ছাত্রীসংস্থার নিরপরাধ নেতাকর্মীদেরকে পুলিশ অন্যায়ভাবে বাসা বাড়ি থেকে রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে আসছে।
জামায়াত-শিবির দেশের বৈধ রাজনীতিক দল হওয়া সত্ত্বেও সরকার তাদেরকে কোথাও বসে সাংগঠনিক কার্যক্রম করতে দিচ্ছে না। মিলাদ মাহফিল, মৃত্যুর জন্য দোয়া অনুষ্ঠান, পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠান, এমনকি জানাযার নামাজ থেকেও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদেরকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে পুলিশ। শুধু গ্রেফতার করেই ক্ষ্যান্ত থাকেনি। থানায় নিয়ে তাদের ওপর চালানো হচ্ছে অমানবিক নির্যাতন। কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে, কাউকে পঙ্গু করে দেয়া হচ্ছে।
আর সরকার দলীয় এমপি বদি শুধু একজন ইয়াবার গডফাদারই নয়, তিনি একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী হিসেবেও পরিচিত। বদির ইশারাতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাউন্সিলর একরামকে ধরে এনে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে।
অথচ, তাকে গ্রেফতার করতে তার বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো প্রমাণ পাচ্ছে না আওয়ামী লীগ নেতারা!
রাজনীতিক বিশ্লেষক ও সচেতন মানুষ মনে করছেন, ক্ষমতার পরিবর্তন হলে শুধু সন্ত্রাসী বদিকেই আদালতের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে না, যাদের আশ্রয়ে থেকে দীর্ঘদিন ধরে বদি অপকর্ম করে আসছে তাদেরকেও কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এত অপকর্মের পরও যারা তাকে রক্ষার চেষ্টা করছেন, সেই ওবায়দুল কাদেরদেরকেও একদিন আইনের মুখোমুখি হতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন