ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ১১ জুন, ২০১৮

ডাক্তার কেন এত লোভী!!

অসুস্থ থাকার পরও না লিখে পারলাম না। ছবির ব্যক্তি হচ্ছেন------' এম এইচ শমরিতা হাসপাতাল & মেডিকেল কলেজের' প্রফেসর "ব্রিগেডিয়ার ডাঃ হাসিনা সুলতানা(রিটায়ার্ড)-- গাইনী বিভাগ। " আজ প্রায় ১ বছর যাবত আমি ওনার কাছ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছি, কিন্তু চিকিৎসার কোন অগ্রগতি না হওয়া শর্তে ও ধর্য্য সহকারে চিকিৎসা করছি,, ওনি কয়েক মাস আগে কিছু টেস্ট দিয়েছিল, টেস্ট গুলো করিয়েছি কিন্তু কোন ভাবে ওনাকে দেখাতে পারছি না, ওনি হয় দেশের বাহিরে থাকেন, না হয় অন্য কিছু। যাই হোক, আমি গতকাল রাত থেকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরি, আজ সকালে ১১ টায় (১০/৬/১৮) হাসপাতালে যাই, আর লাইনে ধরে বর্হিবিভাগ থেকে ৪০০ টাকা দিয়ে স্লিপ কাটি তখন বাজে ১১:৪৫, স্লিপ জমা দিতে ১২ টা বেজে গেছে, বসে থাকতে ১ টা বাজল, জিজ্ঞাসা করলাম ম্যাডাম কখন আসবে, ডাক্তারের এসিস্টেন্ট বলল, ডাক্তার অটি তে আছে, বসেন ম্যাডাম আসলে আপনাকে বলব,, । যখন বিকাল ৩:৪০ তখন ডাক্তারের এসিস্টেন্ট আমাকে বলব, আসেন ম্যাডাম আসছে,,,, আমি সালাম দিলাম,সাথে আমার আম্মু ও ছিল, সাথে সাথে ডাক্তার ম্যাডাম জিজ্ঞাসা করল -আপনি কি আমার প্রাইভেট রোগী, তখন আমি ঠিক বুঝতে পারি ওনি প্রাইভেট মানি কি বলতে চাচ্ছে, তখত ডাক্তারের এসিস্টেন্ট বলল -- না, ওনারা ১২ টা থেকে অপেক্ষা করছেন, ডাঃ হাসিনা সুলতানা সাথে সাথে বলল না আমি আপনাকে দেখতে পারব না,, আমি এই সময় প্রাইভেট রোগী দেখি, হাসপাতালের জেনারেল রোগী দেখি না,,, । তখন আমি বললাম, ম্যাডাম আমি খুব অসুস্থ, রিপোর্ট নিয়ে আসছি। ডাক্তার হাসিনা বলব তাহলে ৭০০ টাকা দেন প্রাইভেট ভাবে দেখব,,, আমি বললাম- ম্যাডাম আমি ৪০০ টাকা দিয়ে আমি স্লিপ কাটছি। প্লীজ ম্যাম একটু দেখেন আমার আম্মু ও খুব রিকুয়েস্ট করছে, কিন্তু ওনি কোন ভাবে রাজি হচ্ছে না,, পরে ওনি বলল যান রিসিপশন থেকে টাকা নিয়ে আসেন,, আমি আবার রিসিপশনে গেলাম,এবার রিসিপশনে বলছে, ডাঃ হাসিনা ম্যাম কেন দেখবেনা আপনাকে, আপনার তো ১২ টার আগে স্লিপ কাটছেন, তাছাড়া টাকা ফেরত দিয়া যাবে না, টাকা একাউন্টস এ জমা হয়ে গেছে,,রিসিপশন থেকে আবার ডাক্তারের কাছে গেলাম, বললাম ম্যাডাম রিসিপশন থেকে টাকা ফেরত দিচ্ছে না,, ডাক্তার তখন বলল ৪০০ টাকা লস দিয়ে, আমাকে ৭০০ টাকা না ভিজিট দেন তাহলে আমি দেখব,,। আমি আর আমার আম্মু খুব রিকুয়েস্ট করছি, এক পর্যায়ে আমি কান্না করে দিলাম, আমি বলছি ম্যাডাম আমার শরীর টা ভাল লাগছে না, একটু রিপোর্ট গুলো দেখেন। এমন সময় ডাঃ হাসিনা সুলতানা বলছে, যতসব ছোট লোকরা আমার কাছে আসে,, টাকা না থাকতে হাসপাতালে আসছেন কেন??? ইত্যাদি। ডাক্তার আর রিপোর্ট গুলো দেখল না, চোখ মুছতে মুছতে ডাক্তারের কেবিন থেকে বের হবে গেলাম, ডাক্তারের এসিসটেন্ট ও হতভম্ভ, তার তো আর কিছু করার নাই, ডাক্তাররা এত অমানবিক হয় আজ দেখলাম, আর বোবার মত চেয়ে চেয়ে দেখলাম । এখন ভাবছি ওনার মত ডাক্তারের কাছে আর যাওয়া ঠিক হবে কিনা????
কার্টেসী: রিমি চৌধুরী (রুগি)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন