বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ঈদে সুবিধা বঞ্চিত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়ে বলেছেন, ঈদ আনন্দ ধনী-গরীব সবার জন্য। এখানে কোন বৈষম্য কাম্য নয়। ঈদ আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে পারলেই পূর্ণতা আসবে।
তিনি আজ রাজধানীতে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখা আয়োজিত বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কর্মজীবিদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক সালাউদ্দিন আইয়ুবি। এসময় শাখা সভাপতি শফিউল আলম, সেক্রেটারি মাসুম তারিফসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শিবির সভাপতি বলেন, খুশির বার্তা নিয়ে ঈদ সমাগত। ঈদ আনন্দ পরিপূর্ণ করতে যার যার সাধ্য মত চেষ্টা চলছে। কিন্তু দেশের জনসংখ্যার বিশাল অংশ সুবিধা বঞ্চিত। যাদেরকে বরাবরই পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়। শুধু পাশ কাটিয়ে যাওয়া নয় বরং তাদের নিয়ে এখন উপহাসও করা হচ্ছে। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী বলেছেন, দেশে এখন অভাব বলে কোন শব্দ নেই। যা অসহায় দরিদ্র মানুষদের সাথে অমানবিক তামাশা ছাড়া কিছু নয়। দেশে এখন বহু মানুষ দরিদ্র সিমার নিচে বসবাস ও মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই রমজানেও বহু দুস্থ অসহায় মানুষের খাদ্য কষ্টে থেকে রোজা থাকার করুণ চিত্র গণমাধ্যমের কল্যাণে দেশবাসী দেখেছে। এ অবস্থায় দরিদ্র মানুষদের নিয়ে সরকারের উপহাস করা চরম দায়িত্বহীনতা ও অমানবিকতার বহি:প্রকাশ। সরকারের এমন দায়িত্বহীন অবস্থানের কারণেই সামাজিক বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করছে। অসহায় গরীব মানুষদেরকে দিন দিন অসহায়ের চরম মাত্রায় পৌঁছে দিচ্ছে। অন্যদিকে ঈদে সমাজের বিত্তবানরাও তেমন দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে না। অথচ রমজান আমাদের সমাজে সাহায্য-সহযোগিতা, সমবেদনা, সহমর্মিতা প্রদর্শনের শিক্ষা দেয়। ঈদ সবার জন্য ও সার্বজনীন উৎসব। এ আনন্দে দরিদ্র মানুষগুলোকে অসহায় দর্শক বানানো নিত্যান্তই অমানবিকতা।
তিনি বলেন, সমাজের অসহায়, হতদরিদ্র, ছিন্নমূল মানুষের কষ্ট অনুধাবন করার মোক্ষম সময় হচ্ছে মাহে রমজান। মাহে রমযান আমাদের ত্যাগ-কুরবানীর প্রশিক্ষণ দেয়। সেই প্রশিক্ষণের উত্তম প্রতিফলন হবে যদি সমাজের সবাই যার যার পাশের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সাথে ঈদ আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে পারি। ইসলামের সামাজিক শিক্ষাও এটাই। দেশের অবহেলিত মানুষের প্রধান অভিভাবক রাষ্ট্র। বিত্তশালীদের উপর গরীবের হক আল্লাহ প্রদত্ত। তাদের পাশ কাটানোর প্রবণতা অমানবিক। সরকার ও বিত্তশালীরা যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে সহজেই ঈদের আনন্দ পূর্ণতা পাবে। ছাত্রশিবির সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে সাধ্য অনুযায়ী প্রতিবছরই অসহায় দুস্থ মানুষদের সহায়তা করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। সুতরাং সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। সবার মাঝে ঈদ আনন্দ যেন সমানভাবে ছড়িয়ে যায় সেজন্য সামর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে অসহায় দরিদ্র মানুষদের সহায়তা করতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন