বাংলাদেশ বার্তাঃ মুফতী সাইফুল ইসলামসহ আহত প্রায় ৩০, হামলাকারীদের শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসীর চকবাজার থানা ঘেরাও।
জামিয়া হোসাইনিয়া আশরাফুল উলুম বড়কাটারা মাদরাসায় সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আজ শনিবার রাত নয়টায় মাদরাসার মসজিদে এশার নামায চলাকালীন অবস্থায় রহমতগঞ্জ নিবাসী রশিদ আহমদ ও তার ছেলে শরীফের নেতৃত্বে একটি পেশাদার সন্ত্রাসী গ্রুপ এই হামলা চালায়। সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হন বড়কাটারা মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতী সাইফুল ইসলাম।
মসজিদে নামাযরত অবস্থায় তাকে আঘাত করা হয়। রক্তাক্ত হয় আল্লাহর পবিত্র ঘর মসজিদ। এছাড়াও সন্ত্রাসী হামলায় মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আযহারুল ইসলাম, মাওলানা হেমায়েতুল্লাহ, ছাত্র ইমরান, কাউসার, তানজীমসহ ২০/২৫জন ছাত্র, মাদরাসার প্রহরী আব্দল মান্নান ও এলাকার কয়েকজন আহত হন।
হামলায় আহত মাদরাসার হেদায়েতুন্নাহু জামাতের ছাত্র কাউসার জানান, রাত নয়টায় প্রায় ৫০জনের একটি সন্ত্রাসী দল মাদরাসায় অতর্কিতভাবে প্রবেশ করে প্রথমেই দায়িত্বরত দারোয়ান আব্দুল মান্নানকে মারধর করে বাইরে বের করে দিয়ে ভেতরে গেট লাগিয়ে মাদরাসার দখল নেয়। এরপর আমাকেসহ মাদরাসায় অবস্থানরত ছাত্র-শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোনগুলো ছিনিয়ে নেয়। এরপর সন্ত্রাসীরা কয়েকটি উপদলে ভাগ হয়ে একটি গ্রুপ মসজিদে আর বাকী গ্রুপগুলো রুমে রুমে গিয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের খুঁজতে থাকে। এখবর মহল্লায় ছড়িয়ে পড়লে মহল্লাবাসী ও মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা সম্মিলিতভাবে সন্ত্রাসীদের রুখে দাঁড়ান।
জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয় হামলার মূল হোতা রশিদ ও তার ছেলে শরীফসহ বেশ কয়েকজন হামলাকারী। জনতা মারধর শেষে চকবাজার থানায় পুলিশের কাছে হামলাকারীদের সোপর্দ করে। এসময় মহল্লাবাসী চকবাজার থানা ঘেরাও করে হামলাকারীদের শাস্তির দাবীতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। ঈদের সময়ে এই ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মাদরাসার মুতাওয়াল্লী মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী। তিনি জানান, এ ঘটনায় আমরা ক্ষুদ্ধ, শঙ্কিত। আমি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। মাদরাসার পক্ষ থেকে চকবাজার থানায় রশিদকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
©Osman Kasemi
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন