বাংলাদেশ বার্তাঃ এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। মুক্ত হাওয়ায় নিঃশ্বাস নেব বলেই না আমাদের অগ্রজরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমি বরাবরই গর্ববোধ করেছি। কিন্তু কিছু সংখ্যক রাজনীতিবিদদের কলুষতাপুর্ন মনোভাব ও তাদের লেজুড়বৃত্তি করা ছাত্র সংগঠনগুলোর পরস্পর ভিন্ন মতাবলম্বীদের প্রতি প্রতিশোধ প্রবণতা তথা কারনে অকারনে সহিংস হয়ে উঠার যে সংস্কৃতি চালু হয়েছে এ দেশে তা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ও আশঙ্কাপুর্ন। এটি আমি মনে করি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সরকারী চাকুরীতে কোটা সংস্কারের পক্ষে অবস্থানরত সাধারন ছাত্রদের একটি সংবাদ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে যে সহিংসতা হয়েছে তা ন্যাক্কারজনক। এটি টেররিজমেরই নামান্তর। প্রকৃত অর্থে কোন ছাত্র বা ছাত্র সংগঠনের কাছ থেকে এটি আশা করা যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক এবং ছেলেমেয়েদের একজন অভিভাবক হিসেবে আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এই ঘটনায় দোষীদের সনাক্ত করে শাস্তির আওতায় না আনা গেলে আইনের শাসনের প্রতি মানুষের আস্থা সাঙ্ঘাতিকভাবে কমে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
ইদানিং মনে হচ্ছে, কেনো জানি এই দেশের সাধারন নাগরিকদের মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাসের দেয়াল উঁচু থেকে উঁচুতর হচ্ছে। একে কমিয়ে আনা বা এর নিরসন করা অত্যন্ত জরুরী। তা না হলে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
আরা মন্তব্যঃ হাজারো কথা বলতে মন চায় কিন্তু বলবো কাকে? কস্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে...
কালেক্টেড
ভিডিও দেখার এখানে ক্লিক করুন
আরা মন্তব্যঃ হাজারো কথা বলতে মন চায় কিন্তু বলবো কাকে? কস্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে...
মারধরের এক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক ড. জাভেদ আহমেদের পা জড়িয়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করেন কোটা আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নুরুল হক নূর।
ড. জাভেদ আহমেদ বলেন, ‘আমি নিজেকে শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দেওয়ার পরও তারা আমার ওপরও চড়াও হয়েছে। আমার হাতের তালু কেটে গেছে। মানুষ মানুষকে এভাবে মারতে পারে না। রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরেও তোমরা সবাই ছাত্র। সহপাঠী সহপাঠীর ওপর এভাবে হামলা করতে পারে না।কালেক্টেড
ভিডিও দেখার এখানে ক্লিক করুন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন