ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ১৭ জুন, ২০১৮

সোনালী ব্যাংকের ৭ বস্তা টাকা চুরির সময় ২ কর্মচারী হাতেনাতে আটক

এবার শবেকদরের ছুটিতে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৭ বস্তা নতুন টাকা বের করে নেয়ার চেষ্টা করেছে ব্যাংকটির দুই কর্মচারী। তবে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসাররা টাকার বস্তাসহ ওই দুই কর্মচারীকে আটক করে।
জানা যায়, ব্যাংকের সামনে নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন আনসারের নিরাপত্তা প্রহরীরা। হঠাৎ তারা দেখতে পান সাত বস্তা নতুন টাকাসহ একটি পিকঅ্যাপ ভ্যান বের হচ্ছে। আনসারের প্রহরীরা পিকঅ্যাপ ভ্যানকে আটকান। পিকঅ্যাপ ভ্যানে থাকা দুইজনের কাছে নতুন টাকা বের করে নেয়ার বৈধ ছাড়পত্র চান। তারা প্রথমে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা। আবার বলেন, ভল্টে সমপরিমাণ পুরনো নোট রেখে নতুন টাকা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই আনসারের নিরাপত্তা প্রহরীদের ম্যানেজ করতে পারেননি সাথে থাকা লোকজন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে টাকা আবার ভল্টে রাখা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ে।

ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, এ রকম একটি ঘটনা তিনি শুনেছেন। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঈদের ছুটির পর প্রকৃত ঘটনা জানানো যাবে।জানা গেছে, এ ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং অধিকতর তদন্তের জন্য ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের ভল্টের চাবি ছিল সোনালী ব্যাংকের ক্যাশের যুগ্ম জিম্মাদার গোলাম মোস্তফা ও সাধারণ শাখার যুগ্ম জিম্মাদার বাবুল সিদ্দিকীর কাছে। এর মধ্যে বাবুল সিদ্দিকী কিছু দিন আগে এ শাখায় যোগ দিয়েছেন। আর গোলাম মোস্তফা আগে থেকেই এ শাখায় ছিলেন। বুধবার শবে কদরের ছুটি থাকায় ব্যাংক বন্ধ ছিল। এ সময়ে তারা ভল্ট থেকে ৭ বস্তা ২ টাকা ও ৫ টাকা নোটের নতুন টাকা পিকঅ্যাপ ভ্যানে করে বের করে নিচ্ছিলেন। কিন্তু বাদ সাধে ব্যাংকের সামনে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা আনসারের নিরাপত্তা প্রহরীরা।

সাধারণত ব্যাংক থেকে কোনো বস্তা বা কোনো যন্ত্রপাতি বের হলে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র থাকে। ওই ছাড়পত্র দেখে নিরাপত্তায় নিয়োজিত সদস্যারা সংশ্লিষ্ট পণ্য ব্যাংক হতে বের হতে দেন। তাই সাত বস্তা নতুন টাকা বের হওয়ার সময় নিরাপত্তা প্রহরীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র দেখতে চান। কিন্তু ছাড়পত্র না থাকায় টাকাকারবারিরা নানা টালবাহানা করতে থাকে। পরে আনসারের সদস্যদের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে নতুন টাকার বস্তা আর বের হতে দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে গতকাল ব্যাংক খোলার সাথে সাথে হইচই পড়ে যায়। ব্যাংকপাড়ার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে সোনালী ব্যাংকের সাত বস্তা নতুন টাকা পাচারের চেষ্টার ঘটনা। সোনালী ব্যাংকের দায়িত্বশীল এক সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে সোনালী ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী সোনালী ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন টাকা না দিয়ে কালোবাজারিদের কাছে বিক্রি করে দেন।
বিশেষ করে ঈদকেন্দ্রিক এ তৎপরতা বেশি বেড়ে যায়। তারা ভল্টে পুরনো টাকা রেখে বস্তায় বস্তায় নতুন টাকা কালোবাজারিদের কাছে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করেন। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাত বস্তায় কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা ছিল। এ টাকা তারা তিন লাখ টাকা থেকে চার লাখ টাকা বেশি দরে বিক্রি করেছিল কালোবাজারিদের কাছে। কিন্তু আনসার সদস্যদের সতর্কতার কারণে ও ছুটির দিন থাকায় এ যাত্রায় তারা রেহাই পায়নি। সূত্র : শীর্ষ নিউজ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন