ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ৩ জুন, ২০১৮

দাঁড়ি রাখার অপরাধে কাজ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হলো পুলিশ কর্মী ASI মাহম্মদ আনোয়ারকে

বাংলাদেশ বার্তাঃ বর্তমান ভারতে মুসলিম বাদে সকল ধর্মের মানুষ ধর্মীয় স্বাধীনতা পালন করতে পারে, অঘোষিত আইন চলছে দেশে !! 

দাঁড়ি রাখার অপরাধে কাজ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হলো পুলিশ কর্মী ASI মাহম্মদ আনোয়ারকে। এই ভাবে আর কত অত্যাচার চলবে ? 

মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে বীরভূম থেকে এসেছিলেন আর্মড ফোর্সের ASI মহম্মদ কে আনোয়ার। গতকাল দুপুরে উত্তরকন্যার ঠিক সামনে এসে পৌঁছান তিনি। সে সময়ে ওই পথ ধরে বাগডোগরা যাওয়ার কথাছিল মুখ্যমন্ত্রীর। উত্তরকন্যার মুখে দায়িত্ব ছিলেন নিউ জলপাইগুড়ি থানার ASI দীপঙ্কর গোস্বামী। তিনি দেখেন, এক গাল দাড়ি নিয়ে, ঠিকমতো পোশাক না পরে এক ব্যক্তি আসছেন। দীপঙ্করবাবু তাঁর পথ আটকান। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। মহম্মদ সাহেব জানান, তিনিও ASI। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, গালে দাড়ি কেন ? সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে সন্দেহ বাড়ে। এরপরে পুলিশ মেমো দেখতে চান দীপঙ্করবাবু। দেখা যায় বীরভূমের ওই ASI-এর দায়িত্ব ছিল শিলিগুড়ির জলপাই মোড়ে। মেমো দেখে তাঁকে দ্রুত ওই এলাকা থেকে সরে যেতে নির্দেশ দেন দীপঙ্করবাবু। এরপর, একপ্রকার জোর করে অটোয় চাপিয়ে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

দায়িত্বরত পুলিশকর্মীরা জানান, পুলিশ ম্যানুয়াল অনুযায়ী প্রতিদিন দাড়ি-গোঁফ কেটে পরিচ্ছন্ন থাকাই নিয়ম। কিন্তু, ওই ব্যক্তি এক গাল দাড়ি নিয়ে এসেছিলেন। তাঁর আচরণ স্বাভাবিক ছিল না বলেই তাঁকে দ্রুত এলাকা থেকে চলে যেতে বলা হয়। প্রশ্ন উঠছে, যদি সত্যিই আচরণ অস্বাভাবিক হয় তাহলে তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল না কেন ? কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা জানান, সে সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় বেরিয়ে পড়েছিল। ফলে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁরা।

পুলিশের চাকরি করলে সত্যিই কি দাড়ি রাখা যায় না ? পুলিশ ম্যানুয়াল অনুযায়ী, শিখ ধর্মাবলম্বী ছাড়া প্রত্যেক পুলিশকর্মীকে প্রতিদিন দাড়ি কাটতে হয়। পরিচ্ছন্ন থাকতে হয়। অসুস্থতা বা ছুটির সময় ছাড়া কর্তব্যরত অবস্থায় রাখা যায় না গাল ভর্তি দাড়ি। এবার প্রশ্ন, তাহলে কী করে দাড়ি রেখেই এতদিন ডিউটি করছিলেন মহম্মদ কে আনোয়ার ? আর্মড ফোর্সের মতো বাহিনীতে কেন কারও চোখে পড়ল না এই অনিয়ম ? এর উত্তর খোঁজার কাজ চলছে। ADG আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মা জানান, সাফসুতরো ও পরিচ্ছন্ন থাকাই বাহিনীর নিয়ম। কিছুক্ষেত্রে দাড়ি রাখা যেতেই পারে। কিন্তু, অনুমতি নিতে হয়। এক্ষেত্রে কি অনুমতি নিয়েছিলেন ওই পুলিশকর্মী ? অনুজবাবু জানান, খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।

দাড়ি নিয়ে এর আগেও নানা বিতর্ক হয়েছে। বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও দাড়ি রাখা নিয়ে নানা নির্দেশিকার জেরে অতীতে কম হইচই হয়নি। পুলিশের চাকরির ক্ষেত্রে দাড়ি রাখতে চেয়ে কেউ কেউ আদালতেও দৌড়েছিলেন। মহারাষ্ট্রের রিজ়ার্ভ ফোর্সের কনস্টেবল জহিরুদ্দিন সামসুদ্দিন সাময়িক অনুমতি নিয়ে দাড়ি রেখেছিলেন। কিন্তু, পরে ওই অনুমতি বাতিল করেন তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান তিনি। যদিও শীর্ষ আদালত এ নিয়ে দপ্তরের নির্দেশিকা পালনের নির্দেশ দেয়। মুম্বই সহ নানা রাজ্যের আদালতেও দাড়ি রাখার আবেদন নিয়ে নানা মামলা হয়েছিল। কিন্তু সেসব ক্ষেত্রেও ধর্ম নিরপেক্ষ ফোর্স হিসেবেই (শিখ ধর্মাবলম্বী ছাড়া) পুলিশকে চিহ্নিত করে আদালত।
লিখেছেন সাইফুদ্দিন মল্লিক

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন