ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ২২ জুন, ২০১৮

এবার ঈদে একটা বিষয় আমার কাছে খুব দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে

Bangladesh Barta Desk: এবার ঈদে একটা বিষয় আমার কাছে খুব দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে। কয়েকজনকে দেখলাম আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে জনে জনে সালাম করতে করতে সোজা ঘরের অন্দর মহলে ঢুকে যাচ্ছে। বেডরুমে মহিলারা খোলামেলা পোশাকে থাকতেই পারেন বা মহিলাদের গোপনীয়তা থাকতে পারে, তাই বলে কোনরকমের আওয়াজ বা অনুমতি ছাড়া এভাবে ঢুকে যাওয়া কতটুকু শরীয়তসম্মত?
আমাদের ধর্ম অসৎ প্রবণতা রোধ, অশ্লীলতা দমন ও সতীত্ব সংরক্ষণের জন্য কারো ঘরে প্রবেশ করার পূর্বে তাদের অনুমতি নেয়ার বিধান চালু করেছে। এতে করে বহিরাগত ব্যক্তি গৃহমালিক ও তার বাড়ির মহিলাদের বেসামাল অবস্থায় দেখে ফেলা বা বিব্রতকর অবস্থা থেকে রেহাই পাবে।
“হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্যের গৃহে প্রবেশ করো না--যে পর্যন্ত পরিচয় প্রদান না কর এবং (প্রবেশের অনুমতি চেয়ে) গৃহবাসীদেরকে সালাম না দাও। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যাতে তোমরা স্মরণ রাখ। যদি তোমরা গৃহে কাউকে না পাও, তবু অনুমতি গ্রহণ না করা পর্যন্ত সেখানে প্রবেশ করো না। যদি তোমাদেরকে বলা হয়--ফিরে যাও, তবে ফিরে যাবে। এতে তোমাদের জন্য অনেক পবিত্রতা রয়েছে। তোমরা যা কর আল্লাহ তা‘আলা তা ভালোভাবে জানেন।” (সূরাহ নূর, আয়াত নং ২৭-২৮)
পবিত্র কুরআনের এই নির্দেশ নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য। তাইতো সাহাবায়ে কিরামের স্ত্রীগণের কর্মধারা এরকমই ছিল। হযরত উম্মে আয়াস (রা.) বলেন, আমরা চারজন মহিলা প্রায়ই হযরত আয়িশা (রা.)-এর গৃহে যেতাম এবং প্রথমে তার কাছে (সালাম দিয়ে) প্রবেশের অনুমতি চাইতাম। তিনি অনুমতি দিলে আমরা প্রবেশ করতাম।” (তাফসীরে ইবনে কাসীর)
এ প্রসঙ্গে ইমাম মালেক (রহ.) মুয়াত্তা গ্রন্থে ইবনে ইয়াসার (রা:) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলেন, “ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আমার মায়ের কাছে যাওয়ার সময়ও অনুমতি চাইব?” রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, “হ্যাঁ, চাইবে।” সাহাবী বললেন, “আমি তো সর্বদা মায়ের গৃহেই বসবাস করি।” উত্তরে নবীজী (সা.) বললেন, “তবুও অনুমতি না নিয়ে প্রবেশ করো না।” সাহাবী আবার বললেন, “আমি তো সর্বদাই তার কাছে থাকি।” রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, “তবুও অনুমতি না নিয়ে যেও না। তুমি কি তোমার মাকে অসংলঙ্গ অবস্থায় দেখা পছন্দ করবে?” সাহাবী (সা.) বললেন, “না।” নবীজী (সা.) বললেন, “তাই অনুমতি চাওয়া আবশ্যক।
আপনি প্রশ্ন করতে পারেন যে, নিজ স্ত্রীর নিকট যেতেও কি অনুমতি নিতে হবে? এক্ষেত্রে ইসলাম বলছে যে ঘরে নিজ স্ত্রী থাকে, সে ঘরে প্রবেশ করতে অনুমতি নেয়া যদিও ওয়াজিব নয়, কিন্তু মুস্তাহাব ও সুন্নাত এই যে, সেখানেও হঠাৎ বিনা খবরে যাওয়া উচিত নয়। বরং প্রবেশের পূর্বে পদধ্বনি দ্বারা অথবা গলা খাকারি দিয়ে হুঁশিয়ার করা আবশ্যক। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর স্ত্রী বলেন, “হযরত আবদুল্লাহ (রা.) যখন বাইরে থেকে আসতেন, তখন দরজায় কড়া নেড়ে আমাকে হুঁশিয়ার করে দিতেন, যেন আমাকে অপছন্দ অবস্থায় না দেখেন।” (তাফসীরে ইবনে কাসীর)
বর্তমান আধুনিক যুগে শহরাঞ্চলের বাসা-বাড়ীতে কলিংবেল থাকে। এগুলো দ্বারা সংকেত দেয়ার মাধ্যমে সাধারণত অনুমতি চাওয়া হয়ে যায় কিন্ত এতদস্ততেও ঢোকার আগে সালাম দেয়াই উত্তম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন