প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স কোনও ভ্যাট বা কর বসানো হয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। বুধবার (১৩ জুন) বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি এই তথ্য জানান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের ওপর ভ্যাট বা কর বসানো হচ্ছে বলে যে অপপ্রচার করা হচ্ছে সেই তথ্য সঠিক নয়।’
এনবিআরের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মুমেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের ওপর ভ্যাট বা কর বসানোর বিষয়টি গুজব। এ কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের স্টেটমেন্ট হলো, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপপ্রচারে কোনও বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না।’
এদিকে বিকালে সৈয়দ এ মুমেন গনমাধ্যমে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিটেন্সের উপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আরোপিত হয়েছে মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব। দেশের বৈধ রেমিটেন্স প্রবাহ বন্ধ করে হুন্ডির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর অপপ্রয়াস হিসাবে এই প্রচারণা চালানো হতে পারে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মনে করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মূল্য সংযোজন কর আরোপিত হয় পণ্য বা সেবা সরবরাহের ওপর। বাংলাদেশের প্রবাসীরা দেশের বাইরে কঠোর শ্রমের মাধ্যমে যে সেবা দিয়ে থাকেন তার বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রা আসে। এ সম্পূর্ণ কার্যক্রম মূল্য সংযোজন কর আইন- ১৯৯১ এর ধারা ৩ এর উপধারা ২(ক) মোতাবেক সেবা রফতানি হিসাবে বিবেচিত। সুতরাং এ রফতানি কার্যক্রম ভ্যাটের আওতা বহির্ভূত। অর্থাৎ রেমিটেন্স সীমা নির্বিশেষে এ খাতের ওপর কোনও ভ্যাট প্রযোজ্য নয়। তাই প্রবাসীরা বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে যে কোনও পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিটেন্স পাঠাতে পারেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অবৈধ চ্যানেল বা হুন্ডির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিটেন্স পাঠাতে হলে তা জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারে না। তাই হুন্ডির মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানো থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড হুন্ডি বা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের বিষয়ে সবসময় সতর্ক রয়েছে।
সুত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন