২০০৩ সালে তিনি ক্ষমতায় আসেনন। এর পূর্বে মেয়েরা বিকিনি পরিধান করে উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় ঘুরাফিরা করত।
বর্তমানে সেই সব মহিলাদের অধিকাংশই পা থেকে মাথা পর্যন্ত ঢেকে রাস্তায় বের হন। এরদোগান ক্ষমতায় আসার পূর্বে তুরস্কের সমস্ত সরকারী প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ব ছিল। সেনাবাহিনীতে নামাজ পড়ায় নিষেধাজ্ঞা ছিল।
তিনি পর্যায়ক্রমে সেই সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন।
বর্তমানে তুরস্কে হিজাবের বিপ্লব চলছে। যা দুই দশক আগে কল্পনাও করা যেত না। এত কিছুর পরেও তুরস্ক এখনো সম্পূর্ন ইসলামীকরন হয়ে যায়নি।
তুরস্কের পুরোপুরী ইসলামীকরনের জন্য আরো সময়ের প্রয়োজন।
২০০৩ সালে যখন এরদোগান প্রথম ক্ষমতায় আসেন।
তখন তাঁর স্ত্রী হিজাব পরিধান করে একটি অনুষ্ঠানে আসার কারনে তুরস্কের তৎকালীন সেনাপ্রধান প্রকাশ্যে বিরোধীতা করেন।
তখন তাঁর স্ত্রী হিজাব পরিধান করে একটি অনুষ্ঠানে আসার কারনে তুরস্কের তৎকালীন সেনাপ্রধান প্রকাশ্যে বিরোধীতা করেন।
এবং সেই অনুষ্ঠান বর্জন করেছিলেন।
তুরস্কে একসময় আজান নিষিদ্ধ ছিল। ১৯৫০সালে প্রধানমন্ত্রী আদনান মেন্দেরেস আজানের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিলেন।
একারনে সেনাবাহিনী তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এবং তাঁকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল। ৯০এর দশকে প্রধানমন্ত্রী এরবাকান একটি ইফতার মাহফিল করায় সেনাবাহিনী তাকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেয়।
সেই তুরস্কে এরদোগান ক্ষমতায় এসে একসাথে সবকিছু করেননি। ধীর স্থীরভাবে ঠান্ডা মাথায় কাজ করছেন।
সর্বপ্রথম তিনি প্রভাবশালী সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণে আনেন। দেশে দৃশ্যমান উন্নয়নের জুয়ার বইয়ে দিয়েছেন।
সাধারণ পোশাক পড়ে তিনি কৌশলে স্যাকুলার তুরস্ককে পুরোপুরি ইসলামীকরনের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।
এসব সংস্কার তার জন্য এতো সহজ ছিল না। কারন তিনি নির্বাচিত প্রতিনিধি।
সময়ে সময়ে তাকে নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে হয়েছে। তুরস্কে স্যাকুলারদের অভাব নেই। একটু ভুল করলেই ক্ষমতা নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে।
তাই তাকে খুব কৌশল করে এগুতে হচ্ছে।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি তুরস্কে প্রায় ৮হাজার মসজিদ নির্মান করেছেন। ইউরোপের অধিকাংশ দেশে তুরস্কের সরকারী অর্থায়নে মসজিদ নির্মান করে দিয়েছেন।
তাদের বেতন ও তুরস্ক সরকার বহন করে থাকে। তার সময়ে তুরস্কের সমস্ত কলেজ ভার্সিটি ও স্কুলে মসজিদ নির্মান করা হয়েছে। তিনি প্রত্যেক স্কুল কলেজ ও ভার্সিটিতে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছেন।
এমনকি নাস্তিকদের ছেলে মেয়েরাও এখন সেখানে কোরআনের আয়াত মুখস্ত ও ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক শিখতে হচ্ছে।
এরদোগান ঘোষণা দিয়েছেন: আমরা কখনো নাস্তিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারি না। এটা আমাদের মিশন হতে পারে না। আমরা একটি ধার্মিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে চাই।
জেরুজালেম ইস্যুতে সবচেয়ে সোচ্চার ভুমিকা পালন করছেন তিনি। বাইতুল মুকাদ্দাসকে রক্ষার জন্য ৫৭টি মুসলিম দেশকে নিয়ে ইসলামী সেনাবাহিনী গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। ৩০লাখ সিরীয় মুসলিম শরনার্থীকে তার দেশে আশ্রয় তো দিয়েছেন।
এবং তাদের উচ্চ শিক্ষাও নিশ্চিত করছেন। পৃথিবীর নির্যাতিত মুসলিমদের দান খয়রাতে নজির সৃস্টি করেছেন।
এই মুহুর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে দানশীল দেশ তুরস্ক। এছাড়াও রুহিঙ্গা ইস্যু সহ মুসলিমদের প্রায় সব ইস্যুতে তিনি সোচ্চার রয়েছেন। ৫৭টি মুসলিম দেশের সংগঠন ওআইসির বর্তমান প্রেসিডেন্ট হলেন এরদোগান ।
আজ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন। স্যাকুলার দলগুলো উঠে পড়ে লেগেছে তাকে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য।
পশ্চিমা ষড়যন্ত্রকারীরা তো আছেই। এত এত ষড়যন্ত্রের পরও ঠেকাতে পারেনি সত্যের বিজয়ের।
গো এহেড এরদোগান , উইথ রব,উইথ পিপলস লাভ।
হে আল্লাহ এই মানুষটির হায়াতে তায়্যিবাহ বৃদ্ধি করে দিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন