রাষ্ট্রের কাছে ৮০ বছর বয়সী দেশবরেণ্য একজন কারাবন্দী মাওলানা যিনি আবার এক্স এমপি, তিনি ডিভিশন চেয়েছেন, ফার্স্ট ক্লাস ডিভিশনও না, সেকেন্ড ক্লাস ডিভিশন। আপনি যদি বর্তমান বা সাবেক পার্লামেন্ট মেম্বার হন অথবা রাষ্ট্রের কোনো সম্মানিত নাগরিক হন, তাহলে এই ডিভিশন আদালতের মাধ্যমে চাইতে হয় না, জেল কর্তৃপক্ষ এমনিতেই দেয়। এর বাইরে চট্টগ্রাম মহানগরীর সদ্য বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক, চাঁদাবাজি আর অস্ত্র মামলায় যে নিজ সরকারের আমলেই গ্রেফতার হয়ে কারাগারে দফায় দফায় গেছে, সে নিজেও কিন্তু ডিভিশন পেয়েছিল, অথচ সে কোনো ভিআইপি না, ছাত্রনেতা (পড়ুন কলঙ্কিত অছাত্র নেতা)।
এভাবে দূর্নীতি আর খুনের মামলায় সাজা হয়ে যাওয়া অনেক ভিআইপিরাও কিন্তু কারাগারে ডিভিশন সেলে আছে (কারো নাম উল্লেখ করলাম না)। কিন্তু এই মাওলানাকে কেন ডিভিশন দিল না, তাও সেকেন্ড ক্লাস ডিভিশন, তা বোধগম্য হচ্ছে না, হয়তো উনি আলেম বলে, ওনার টুপি-দাঁড়ি আছে বলে।
তো যে সেকেন্ড ক্লাস ডিভিশন উনি চেয়েছেন, সেখানে কিন্তু রাষ্ট্রের কাছে উনি এয়ার কন্ডিশন, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন এইসব চাননি, চেয়েছেন একটা চৌকি, একটা মশারি, একটা চেয়ার, একটা টেবিল আর পত্রিকা। হ্যাঁ ডিভিশন-২ এর খাবার একটু ভালো হয়, কিন্তু তা কেমন ভালো তা আশা করি সবাই জানেন। আমার মতে, সেই খাবার একটা তৃতীয় শ্রেণীর হোটেলের সমমানের হবে কিনা সন্দেহ আছে।
আসলে রাষ্ট্র যখন ক্রমাগত জুলুম করতে থাকে, তখন মানুষের চাওয়া-পাওয়ার ন্যূনতম কোনো মূল্য তার কাছে থাকে না। সে শুধু জুলুম করার নতুন নতুন ফন্দি-ফিকির খুঁজতে থাকে।
-Abdullah Russel
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন