আজকে সন্ধ্যার সময় শাহবাগ ইঞ্জিনিয়ারস ইন্সটিটিউটের বাস পুড়ানোর ঘটনার
তদন্তে সাংঘাতিক কিছু তথ্য পেয়েছে যেড ফোর্স। আমাদের কয়েকজন ডিএমসি এবং
ঘটনাস্থলে যেয়ে এসব তথ্য পেয়েছেন।
বিহঙ্গ পরিবহনের বাসটি
গুলিস্তান থেকে মিরপুরের দিকে যাচ্ছিল। মত্স্য ভবন থেকে যাত্রী নামিয়ে
শাহবাগ মোড়ে যাওয়ার আগেই শিশুপার্কের কাছে কয়েক যুবক পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে
মারে। গেটের কাছেই সেটি বিস্ফোরিত হয়ে গাড়ির ভেতরে আগুন ধরে যায়। এই
অবস্থায় চালক গাড়ি চালিয়ে সামনে এগুনোর চেষ্টা করলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক
বিভাজনের সঙ্গে ধাক্কা খায়।এসময় ভিতরেও তরল জাতীয় দাহ্য পদার্থ দেখেন
যাত্রীরা।
বাসে আনুমানিক ৩০ জন যাত্রী ছিল। প্রেসক্লাবের সামনে
থেকে দুই-তিন জন যুবক বাসে উঠে। তাদের হাতে প্লাষ্টিকের বোতল ও একটি
পুঁটলা ছিল। বাসটি শিশুপার্কের সামনে আসামাত্র বিকট একটি শব্দে গেটের কাছে
বিস্ফোরণ ঘটে। এক যুবক বাসের মধ্যে তখন পেট্রোল ঢেলে ককটেল বিস্ফোরণ
ঘটায়। এতেই আগুন ধরে যায়। তবে বাস হেলপার রফিকুল ইসলাম জানান, চলন্ত বাসে
পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এই সময় গেটের কাছে বিস্ফোরণের পর
দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। প্রথমে চালক মাহবুব টের পাননি। পরে চিৎকার
শুনে বাস থামিয়ে ফেলেন তিনি। তার অবস্থাও বেশি ভালো না বলে জানান হেলপার।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন জানান, শিশুপার্কের সামনে
তারা হঠাৎ করেই বাসের সামনে আগুন দেখতে পান। সেই আগুন ক্রমশ ভেতরের দিকে
ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার লাইটপোস্ট ভেঙে সড়ক
বিভাজকের ওপর উঠে যায়। অন্য যাত্রী রাহাদুল জানান, জানালার পাশের সিটে বসা
ছিলাম। হঠাত্ আগুন দেখে চিত্কার দিয়ে উঠি। কুলকিনারা না পেয়ে জানালার গ্লাস
ভেঙ্গে নিচে লাফ দেই। অর্থাৎ ভিতরের আগুন একাধিক যাত্রী স্বীকার করেছেন।
অর্থাৎ দুটি টিম ছিল এই কাজে, অন্তত ৩ জন বাসের ভিতরেই ছিল, এবং বাকিরা
শিশু পার্কে অপেক্ষা করছিল। উল্লেখ্য প্রেসক্লাব থেকে যেখান থেকে যাত্রী
উঠানো হয় সেখানেই পুলিশ থাকে সারাক্ষন। তাই সন্দেহজনক পোটলা ও বোতল নিয়ে
কিছু যুবক বাসের জন্য অপেক্ষা করলেও কেন পুলিশ তাদের চ্যালেঞ্জ করে নাই ?
প্রেসক্লাব থেকে শিশু পার্ক হয়ে শাহবাগ মোড় পর্যন্ত সেসময় ৮টি পয়েন্টে পুলিশ ছিল। তারা ছিলঃ
১. প্রেসক্লাবের সামনে
২. ঈদ্গাহ ময়দানের সামনের গলচত্তরে
৩. পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সামনে (মৎস্য ভবন সংলগ্ন)
৪. রমনা পার্কের মৎস্য ভবন সংলগ্ন গেটে
৫. ইঞ্জিনিয়ারস ইন্সটিটিউটের সামনে
৬. শিশু পার্কের সামনে
৭. পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে
৮. শাহবাগ মোড়ে
৯. শাহবাগ থানায়
বাসটিতে আগুন লেগে যায় ভিতর থেকে এবং বাইরে ছোড়া বোমা থেকে। ৩০ জন যাত্রী
বের হন যাদের মধ্য ১৯জন অগ্নিদগ্ধ হন। সাথে সাথে বাসটিতে আগুনও দেয়া হয়। সব
ব্যপার সিমুলেশন করলে সম্পূর্ণ ঘটনা ঘটাতে অন্তত ২ মিনিট সময় লাগবে বলে
প্রতীয়মান হয়।
পায়ে হেঁটে কোনও পুলিশ উপরের ৫,৬ ও ৭ নং জায়গা থেকে
২ মিনিটের মধ্যে বাসের কাছে আসতে পারতেন, হাতেনাতে ধরতে পারতেন। টহল গাড়ি
ছিল ৩ ও ৮ নং জায়গায়, যেখান থেকে গাড়িতে আসতে ৩০ সেকেন্ড লাগে। এতো পুলিশ
পুরা জায়গা ঘেরাও করে সার্চ করলে অবশ্যই দোষীদের ধরা যেত, কিন্তু কেউ ধরা
পড়েনি।
অন্যদিকে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সুত্রে শহিদুল্লাহ হলের
কুখ্যাত ছাত্রলীগ নেতা জহির অরফে টাকলা জহির এবং এস এম হলের নেতা দীদারের
দ্বারা শিশুপার্কের সামনে বাসে অগ্নিকান্ডের জন্য জড়িত থাকার সম্ভাবনা জানা
গেছে তাদের অন্যগ্রুপের সহকর্মী বেশ কয়েকজন নেতার কাছ থেকে।
ইতিমধ্যে, সামন্ত লাল সেনের (সাচিপ নেতা ও কট্টর আওয়ামী পন্থী ) ঢাকা
মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের অগ্নিদগ্ধ ১৯ জনের মধ্যে নাহিদ নামে একজনের
মৃত্যু।বাকিদের দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে না নিলে হয়ত সকাল হতে হতে আরও
কয়েকজনের কপালে লেখা থাকতে পারে সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
আর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার এই ঘটনা স্ক্রলে আসতে থাকে ৬-৪০ মিনিট থেকেই।
এই পুরা ঘটনাকেই যেড ফোর্স আন্দোলন সেল ঘৃণ্য সাজানো ঘটনা হিসেবে দাবী
করছে এবং এই ব্যাপারটি সবার কাছে ছড়িয়ে দেবার অনুরোধ জানিয়েছে। (ফেসবুক তথ্যসূত্র)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন