ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৩

কক্সবাজারে ত্রিমুখী সংঘর্ষে বিএনপি নেতা নিহত

কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার: কক্সবাজারে চকরিয়া উপজেলায় বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন দুই সাংবাদিকসহ আরো ৩৫ জন। নিহত বিএনপি নেতা জাকির হোসেন চকরিয়া পৌরসভা ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ছিলেন।  জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক ইউসুফ বদরী বলেন, “আওয়ামী ক্যাডারদের মিছিল থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগ  সভাপতি জাফর আলম নিজেই গুলি করেন। এতে জাকির হোসেন নামে এক বিএনপিকর্মী নিহত হন।” এ সময় ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মী ও জানাজায় অংশ নেয়া জনতা ৫০টিরও বেশি গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেল তিনটায় চকরিয়া বাস স্টেশনে জানাজা শেষে যুবদল নেতা আবদুল হালিমের লাশ দাফনের জন্য মিছিল করতে করতে নিয়ে যাচ্ছিলেন পরিবারের সদস্য এবং বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করলে পুলিশ অতর্কিত লাশবাহী ওই মিছিলে গুলি করে। এ সময় উত্তেজিত লোকজন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারা এলোপাতাড়ি গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে।
সংঘর্ষ শুরুর প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাফর আলমের নেতৃত্বে সশস্ত্র মিছিল বের করলে সংঘর্ষ ত্রিমুখী রূপ নেয়। ওই মিছিল থেকে এলোপাতাড়ি গুলি করতে করতে শহর প্রদক্ষিণ করে।
বিরোধী জোটের অবরোধ চলাকালে গত ২৬ নভেম্বর দুপুরে চকরিয়া উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হালিম কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বানিয়ারছড়া পয়েন্ট থেকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। পরে তার ওপর পুলিশি নির্যাতন হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি ও পরিবারের সদস্যরা। আহত অবস্থায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরদিন ২৭ নভেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে চকরিয়ার ডুলাহাজারা মালুমঘাট খ্রিস্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে মারা যান। আহত সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, পুলিশি হামলার ছবি তুলতে গেলে পুলিশ তার ওপর হামলা চালায়। তার দাবি, চকরিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কল্লোল চৌধুরীর নেতৃত্বে তাকে রাইফেলের বাট দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তার মাথা, পা ও গায়ে প্রচণ্ড আঘাত করা হয়। ওই সময় সাংবাদিক জহিরের ক্যামেরাও ভাঙচুর করা হয়। তিনি জানান, ওই সময় বেসরকারি টিভি চ্যানেল 
এনটিভির একটি ক্যামেরাও কেড়ে নেয়া হয়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়া জানান, জানাজা শেষে ফেরার পথে বিএনপি নেতাকর্মীরা চিরিঙ্গা স্টেশনে ভাঙচুর শুরু করলে পুলিশ নিরাপত্তার স্বার্থেই রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
সিলেটের আলাপ.কম/

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন