জনগণের আন্দোলন যতই বেগবান হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে সেই আন্দোলন সম্পর্কে
জনগণের মনে সংশয় সৃষ্টির জন্য অর্ধ সত্য এবং মিথ্যা সংবাদ ছড়ানো হচ্ছে।
তেমনি একটি সংবাদ হলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীর এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মধ্যে বৈঠকের
খবর। এই বৈঠক নিয়ে সরকারি মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। যদি
বৈঠক হয়ে থাকে তাহলে সেই বৈঠকের এজেন্ডা কি ছিল? মির্জা ফখরুল কি সেখানে চা
বিস্কুট খাওয়ার জন্য গিয়েছিলেন? যদি কোনো বৈঠক হয়েই থাকে তাহলে নিশ্চয়
বিরোধী দলের তরফ থেকে সরকারের কাছে এক বা একাধিক প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সেই
প্রস্তাবসমূহ সম্পর্কে সরকারের অবস্থান কি? সরকার কি সেগুলো মেনে নিয়েছে?
নাকি প্রত্যাখ্যান করেছে? এ ব্যপারে সরকারের তরফ থেকে কিছুই বলা হচ্ছে না।
উল্টো চলমান দুর্বার গণআন্দোলনে ভাটা সৃষ্টি করার জন্য সরকারের
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বলছেন যে, মির্জা ফখরুল এবং সৈয়দ আশরাফের মধ্যে
বৈঠক হয়েছে।
অন্য দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকীব উদ্দিন আহমেদও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। ৭টি তাজা প্রাণ ঝরে যাওয়ার পর তিনি
বলেছেন যে, সরকার এবং বিরোধী দলের মধ্যে যদি কোনো অপোষ মীমাংসা বা সমঝোতা
হয় তাহলে নির্বাচনী তফসিলের পুনর্বিন্যাস করা যেতে পারে। আন্দোলনের গতি এবং
জনগণের মারমুখী মনোভাব দেখে নির্বাচন কমিশন ভয় পেয়েছে। তাই তারা এখন
অসংলগ্ন কথা বলছেন। যদি নির্বাচনী তফসিলের পুনর্বিন্যাসের কোনো সুযোগ থেকেই
থাকে তা হলে এত তাড়াহুড়ো করে তফসিল ঘোষণা করা হলো কেন? একদিন আগেই তো তিনি
বলেছিলেন যে, সোমবার দিন তফসিল নিয়ে বৈঠক করবেন। এর পর তারা সিদ্ধান্ত
নেবেন যে, কবে তফসিল ঘোষণা করা হবে। অথচ তার পরদিনই সকাল থেকেই রেডিও এবং
টেলিভিশনের ক্রু এবং ক্যামেরাম্যানরা তার বক্তৃতা রেকর্ড করার জন্য
নির্বাচন কমিশন অফিসে হাজির হন। দুপুরের মধ্যেই রকীব উদ্দীনের ভাষণ রেকর্ড
করা হয়। এখান থেকে প্রমাণিত হয় যে, রোববার সন্ধ্যায় তিনি যখন বলেছিলেন যে,
আরো ২/৪ দিন সময় নিয়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে তখন তার এই বক্তব্যটি দেশের বড়
কর্তাদের পছন্দ হয়নি। তখন গ্রীন রুম থেকে হুকুম আসে যে যত দ্রুত সম্ভব
তফসিল ঘোষণা করতে হবে। সেই হুকমেরই পরিণতি হলো সোমবার সাত তাড়াতাড়ি করে
তফসিল ঘোষণা করা। (তথ্যসূত্রঃ ফেসবুক)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন