ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৩

জনসাধারণ কর্তৃক ড্রেনগুলোকে ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করার নমুনা



বাংলাদেশে বিশেষত চট্টগ্রামে শহরের প্রায় সকল ড্রেনগুলোই উন্মুক্ত। আমাদের জনসাধারণও অসচেতন। শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে প্রায় সকলেই শহরের ড্রেন গুলোকে ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। যার ফলে ড্রেন গুলি সহজেই ময়লা- আবর্জনা দিয়ে ভরে যায়। এর ফলে ড্রেন গুলোর পানি নিষ্কাশন ক্ষমতা বা নাব্যতা কমে যায়। তাই বর্ষা মৌসুমে বিশেষ করে অতি বৃষ্টির কারনে ও পাহাড়ি ঢলে ড্রেন উপচিয়ে ময়লা পানি সড়ক-জনপথ, দোকান-পাট, এমনকি বাসাবাড়িতে ঢুকে অপরিমেয় ক্ষতি করে থাকে। এই সময় মানুষ কি বর্ণনাতীত সমস্যায় পতিত বাস্তবে না দেখলে বুঝা যাবে না। অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ২০১২ সালে সবচেয়ে বেশী পানি সড়ক ও বাসাবাড়িতে উঠে ছিল। কথিত আছে ২০১০ সালের ১৭ জুন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী হেরে যাওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে অনেকেই অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের সমস্যা সমাধানের ব্যর্থতার কথা বলে থাকেন। বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব মনজুর আলম ধীর গতিতে হলেও নগর বাসীকে অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে জলবদ্ধতার হাত থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি কতোটা সফল হবেন জানিনা। তবে আমি তার সাফল্য কামনা করি। কারণ তিনি সফল না হলে নগরবাসীর একজন হিসেবে আমিও সমস্যায় পড়ব। তবে আমি মনে করি জলবদ্ধতার হাত থেকে নগরবাসীকে মুক্ত করতে হলে সবার আগে সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হতে হবে। তারপর সমস্যার প্রকৃত কারণ খুজে বের করতে হবে এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে কাজ করতে হবে। আমরা লক্ষ্য অরে আসছি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নতুন ড্রেন তৈরি হচ্ছে, সংস্কার হচ্ছে পুরাতন ড্রেন গুলিও। এর পাশাপাশি নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা প্রয়োজন। তা না হলে যাহবার তাই হবে। অর্থাৎ সকল পরিশ্রম ব্যর্থ হবে। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জন সচেতনতা।  আমরা প্রত্যক্ষ করছি প্রতিনিয়ত শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে প্রায় সকলেই শহরের ড্রেন গুলোকে ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। যার ফলে ড্রেন গুলি সহজেই ময়লা- আবর্জনা দিয়ে ভরে যায়। এর ফলে ড্রেন গুলোর পানি নিষ্কাশন ক্ষমতা বা নাব্যতা কমে যায়। তাই বর্ষা মৌসুমে বিশেষ করে অতি বৃষ্টির কারনে ও পাহাড়ি ঢলে ড্রেন উপচিয়ে ময়লা পানি সড়ক-জনপথ, দোকান-পাট, এমনকি বাসাবাড়িতে ঢুকে অপরিমেয় ক্ষতি করে থাকে। তাই জন সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় সকল উপাদান ও মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে। মহিলা-পুরুষ সকল কাউন্সিলরসহ স্থানীয় প্রভাবশালী বিশিষ্ট ব্যক্তিগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে জন সচেতনতা বৃদ্ধিমুলক কর্মসূচীতে। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকেও কাজে লাগাতে হবে। আমি মনে করি জন সচেতনতা বৃদ্ধি ও জনসম্প্রিক্ততা বৃদ্ধি না পেলে এ কাজে সফলতা অর্জন কষ্টকর হবে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন