ইতোমধ্যে সবাই জেনে গেছেন, একদলীয় নির্বাচন পাহারা দিতে জনগনের বিরুদ্ধে
সেনাবাহিনী নামবে না। তবে হ্যা, আজ দিনের বেলায় নির্বাচন কমিশনে অনুষ্ঠিত
সভায় সেনাবাহিনীর প্রতিনিধির অফিসিয়াল ল্যঙ্গুয়েজ হলো, “সেনাবাহিনী
সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে তৈরী!” এটাই বলার কথা। বিরোধী দলের রাজনৈতিক
কর্মসূচি ভাঙ্গায় ব্যবহার হওয়া সেনাবাহিনীর সাংবিধানিক দায়িত্ব নয়।
নির্বাচন কমিশেনের সভায় সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি গিয়েছিলেন সশস্ত্রবাহিনী
বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জে. আবু বেলাল মো. শফিকুল হক। এটা
হচ্ছে বিখ্যাত আওয়ামী এডভোকেট আনিসুল হকের (শেখ মজিব হত্যা মামলার
প্রসিকিউটর) ছোট ভাই। হাসিনা খুব আশা করে শফিকুল হককে ওখানে বসিয়েছে। তাতে
কি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসওর কোনো কমান্ড নাই,এ পদটি প্রধানমন্ত্রীর
একটা ষ্টাফ অফিসার, এটা অন্য মন্ত্রনালয়ের সচিবের মত পদ। তিনি
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে সব যায়গায় যাবেন, এটাই স্বাভাবিক। সেনাবাহিনী
প্রধান বা এডজুটেন্ট জেনারেল গেলে গোটা সেনাবাহিনীর মতামত তুলে ধরতে পারত।
সুত্র ও তথ্য মতে, বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান থাকতে রাজনৈতিক দমন পীড়নে
সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা যাবে না, এটা হলো বটম লাইন। আর দেশে অরাজক
পরিস্থিতি (মানে দেশে যখন আর কোনো বৈধ রাজ থাকবে না), তখন সেনাবাহিনী এগিয়ে
আসবে, এটাই স্বাভাবিক।
সেনাবাহিনীর দেশপ্রেম নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই আমার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন