প্রথম কথা হলো-বাংলাদেশে কোন যুদ্ধাপরাধীর বিচার হচ্ছে না। যা হচ্ছে তাহলো যুদ্ধাপরাধীর বিচারের নামে রাজনতৈকি প্রতিপক্ষকে ঘায়লে করা। আর বিচারের নামে প্রহসন। আবদুল কাদের মোল্লা না রাজাকার না যুদ্ধাপরাধী। তার মূল অপরাধ তিনি ইসলামী আন্দোলন করেন, তিনি বাংলাদশে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল । আর শাহবাগে যা হচ্ছে তা হলো এই প্রহসনকে বৈধতা দেয়ার এক অপচষ্টো। বাংলাদশেরে মানুষরে জন্য সবচেয়ে বড় অভিশাপ এ দেশের মস্কপন্থী কমিউনিস্ট। ১৯৪৭ সালের পর থেকে তারা তৎকালীন পাকস্তিানকে র্ব্যথ করে দিয়ে র্পূবপাকিস্কতানে সমাজতন্ত্র প্রতষ্ঠিা করার জন্য আধাজল খেয়ে লাগে। কথিত আছে তারা ভাষা আন্দোলনকে ছিনতাই করে কাজে লাগায়। অভজ্ঞিমহল বলনে, স্বাধীনতা আন্দোলনরে সময়, এই আন্দোলনকে বা যুদ্ধকে দুই কুকুরের লড়াই বলতেও ছাড়ে নি। আবার ভিতরে ভিতরে আলাদা ভাবে যুদ্ধ করে কমিউনিস্ট রাষ্ট্র প্রতিষ্তঠার জন্য এবং তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী চীনপন্থী কমিউনিস্ট মুক্তযিোদ্ধাদরে হত্যার কথাও শোনা যায়। বলা হয় তারা মনে করছেলি আওয়ামীলীগ স্বাধীনতা ঘোষনা করে ভারতে চলে গেছে। এই সুযোগরে সদ্ব্যবহার করে কমউিনষ্টি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল । কিন্তু জনগণরে ব্যাপক অংশগ্রহণে মুক্তযুদ্ধ সফল হওয়ায় দশে স্বাধীন হয় তাদরে আশার গুরে বালি পড়ে। স্বাধীনতার পর আওয়ামীলীগ ও শেখ মুজিবের ঘাড়ে চেপে তাদের
কমিউনিস্ট রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার
পথে অন্যতম বড় বাধা ইসলামী দল গুলো প্রথম সুযোগে নিষিদ্ধ করে। এরা কখনও গনতন্ত্রে বিশ্ববাসী নয়। তাই, আওয়ামীলীগকে দিয়ে সকল দল নিষিদ্ধি করে বাকশাল প্রতষ্ঠিা করে। ইন্ডাস্ট্রী-কারখানা সব জাতীয় করণ করা হয়। ফলে শুরু হয় লুটপাট। পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ। তাদের রাজত্ব চুড়ান্ত রূপ লাভ করার আগইে '৭৫ এর পট পরিবর্তন হয়। তারা প্রমাদ গুনে । ভিতরে ভিতরে তারা নানা হিসাব-নিকাষ কষে। শেষ র্পযন্ত জেনারেল জিয়ার ঘাড়ে চেপে,
আসে ঐতহিাসকি ৭ নভম্বের। কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে কমিউনিষ্টদের গণফৌজ প্রস্তুত আর্মীর পোষাক। আর তাদের নেতৃবৃন্দ
প্রস্তুত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। জেনারেল জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হবে শহীদ মিনারে । জিয়া সেখানে কমিউনিস্ট পক্ষে কমিউনিস্ট রাস্ট্রের ঘোষণা দিবেন । জিয়া রাজি না হওয়ায় ভেঙ্গে যায় কমিউনিস্কটদের স্বপ্নসাধ। এভাবে বার বার এই দেশটাকে কুটকৌশলরে মাধ্যমে কমিউনিস্ট রাষ্ট বানানোর তাদের যে স্বপ্ন তা ভেঙ্গে পরে। ঐ সময়ের ঘটনা নিয়ে লেখা বই-পুস্তক থেকে জানা যায়- কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে গণফৌজ কর্মীরা সৈনিক সৈনিক ভাই ভাই অফিসারদের রক্ত চাই বলে ঢাকা সেনানিবাসে বহু সেনা অফিসার হত্যা করে। তারা কমিউনিস্ট রাস্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে সেনাবাহিনীকে একটি বড় বাধা মনে করে। তাই সাধারণ সেনার ছদ্দবেশে সেনা অফিসারদের হত্যা করে। জিয়ার নেতৃত্বে
এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বহুদলীয় গনতন্ত্র প্রতষ্ঠিতি হয় বাংলাদশে। আবার দেশে চালূ হয় ইসলামী দলের রাজনীতি বা র্ধম ভত্তিকি রাজনতৈকি দল। বাংলাদেশে শতকরা ৯০ভাগ মানুষ মুসলমান। এদেশে ইসলামী রাজনীতি চলবে তা কখনও হতে পারে না। কিন্তু নাস্তিক-কমিউনিস্টরা ধর্মকে বলে আফীম। র্ধমীয় রাজনীতি চললে কমিউনিস্ট রাষ্ট্র প্র্রতষ্ঠিা প্রায় অসম্ভব। তাই তারা ইসলামকে নানা কৌশলে অপবাদ দেয়। ইসলাম র্ধমীয় ব্যক্তেদের চরিত্রকে নানা কৌশলে কুৎসিত ভাবে উপস্থাপন করে।
জেনারেল জিয়ার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছিল। তলাহীন
ঝুড়ির তলা লাগানোর কাজ শুরু হয়। একটি নতুন স্বপ্ন নিয়ে জিয়া বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে থাকেন । বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি যাদের পছন্দ হয় নি তারা জিয়াকে দুনিয়া থেকে সড়িয়ে দেয় । বাংলাদেশ আবার পতিত হয় একটি গর্তে। অনেকে মনে করে কমিউনিস্টদের প্রত্যাশা পুরণ না হওয়ায় এবং জিয়া তাদের কথা অনুযায়ী কাজ না করায় এবং জিয়ার কারণে তাদের অনেক ক্ষতি হওয়ায় জিয়া হত্যার সাথে তাদের সম্পর্ক থাকতে পারে। এভাবে তারা নিত্য নতুন অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে দেশ ও জাতির ক্ষতি করতে থাকে শুধুমাত্র তাদের সংকীর্ণ স্বার্থে। এরপর দীর্ঘ সময় পার হয়ে যায়। এরি মধ্যে দেশে-বিদেশে নানা পরিবর্তন আসে। বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি সোভিয়েট রাশিয়া ভেঙ্গে যায়। একক শক্তি হিসেবে আমেরিকার অভু্যদয় ঘটে। বাংলাদেশের রাজনীতিতেও আসে নানা পরিবর্তন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জোট গঠিত হয়। জামায়াতের দেয়া কেয়ার-টেকার সরকার ফরমুলা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শেষে প্রায় সকলেরই তা পছন্দ হয় এবং(চলবে)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন