ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৪

ফ্ল্যাশব্যাক - আমাতুল্লাহ শারমিন

২০১১ সালের ৮/৯ তারিখ আব্বু আমাদের সবাইকে নিয়ে মিটিং এ বসলেন । বললেন, দেশের অবস্থা ভাল না । নিজামি ভাই মুজাহিদ ভাই অ্যারেস্ট হয়েছেন আব্বুও যেকোনো সময় অ্যারেস্ট হতে পারেন। আমাদের সবাই কে কোরআন , হাদিস বেশি বেশি পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে বললেন। অবাক করা বিষয় হল আব্বু আমাদের দাদা বাড়ির জমি জমা বিষয় বা সম্পত্তির কোন জটিলতার বিষয় নিয়ে কোন কথা সেদিন বলেন নি। আমরা দেশের একচুয়াল অবস্থা জানতে চাইলে তিনি খুলে বললেন । তারপর বললেন যদি আব্বু এরেস্ট হন আর সরকার বলে প্রানভিক্ষা চাইতে তাহলে আমরা যেন তা না চাই। আমরা অবাক হলাম, বললাম আমরা কেন প্রান ভিক্ষা চাবো ?????????? আব্বু আরেকবার জোর দিয়ে একই কথা বললেন । এখন অবাক লাগে ভাবতে আব্বু কেন সেদিন আর কোন কথা না বলে শুধু এই একটি কথাই বলেছিলেন । তারপর আমরা সবাই ২/৩ দিন বাসায় ছিলাম । কিন্তু কোন কিছু হল না । তাই আমি আমার শ্বশুর বাড়ি ফেরত চলে গেলাম । এরপর ৩/৪ দিন পর ১৩ ই জুলাই ২০১0 সাল । আমি ঘরের কাজে ব্যস্ত । হঠাৎ বাসা থেকে ফোন আসলো , আব্বু অ্যারেস্ট হয়েছেন। দ্রুত টেলিভিশন খুলে দেখলাম , হাইকোর্টের ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা । আদালত প্রাঙ্গন থেকে আব্বুকে ওরা টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে । রাগ, দুঃখ , কষ্ট অদ্ভুদ অনুভুতি। সেদিন আব্বু আর কামারুযযামান চাচা একই সাথে ছিলেন ।আদালত যখন পুলিশ ঘিরে ফেলেছেন , তখন আব্বুরা বুঝেছিলেন, বের হলেই অ্যারেস্ট হবেন । আব্বু চাচাকে বললেন , আমরা একসাথে না বের হই। আগে আমি যাই টেস্ট কেস হিসাবে। তারপর আপনি বের হন । এই কথা বলে আব্বু আগে বের হয়েছিলেন । তারপর থেকে কেন যেন সব কিছুতেই আব্বু আগে রয়ে গেলেন । আব্বু শহীদ হবার পর চাচা অনেক কান্না করে বলেছিলেন, মোল্লা ভাইয়ের জায়গায় আজকে আমি থাকতাম,টেস্ট কেস হিসাবে উনি সব জায়গায় অগ্রগামী থাকলেন । 
আব্বুর সাথে থাকা মিন্টু ভাই আব্বু শহীদ হবার পর বলেছিলেন, আব্বু সেদিন হাইকোর্টে যাবার আগে সবার থেকে বিদায় নিয়ে লিফটে উঠে চলে জাচ্ছিলেন, হঠাৎ কি মনে করে বললেন, মিন্টু লিফট একটু ধর, আমি আসছি । বলে তিনি আবার বাসার দরজার কাছে এসে ভিতরে আর একবার উকি দিয়ে পুরো বাসার দিকে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে ছিলেন । তারপর ছলে যান । খুব জানতে ইচ্ছে করে আব্বু সেদিন কি দেখছিলেন ?? আব্বুর অবচেতন মন কি তাকে বলেছিল তিনি তার ছোট সাজানো ভালবাসার সংসারে আর কক্ষনো ফেরত আসবেন না .....................।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন