আওয়ামী নেতৃত্বাধীন বর্তমান অবৈধ সরকার জঙ্গী দমন নিয়ে যতই সফলতার ভুলি আওড়ানোর চেষ্টা করছে ততই তা সাধারণ মানুষের কাছে হাস্যরসে রুপান্তরিত হচ্ছে। কারণ তাদের লাগাম ছেড়ে দেওয়া ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম ইতিমধ্যেই জঙ্গীদের জঘন্য কার্যক্রমের চেয়েও ভয়াবহ মাত্রায় বিস্তার লাভ করেছে। ছাত্র সংগঠনটিকে প্রগতিশীল ও স্বাধীনতার চেতনাধারী হিসেবে উপস্থাপন করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও দেশের সাধারণ জনগন এ সংগঠনটিকে জঙ্গী সংগঠনের তালিকার সাথে অর্ন্তভুক্ত করে রেখেছে। বিশেষ করে স্বাধীনতার পরে জন্ম নেওয়া তরুন প্রজন্ম এ সংগঠনটিকে ইতিমধ্যেই প্রত্যাখ্যান করেছে।
কারণ বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে জঙ্গীদের চেয়েও এ সংগঠনের তৎপরতা মারাত্মক ভীতি সৃষ্টি করেছে। দেশের মানুষ জঙ্গীদেরকে যতই না ভয় পায় তার চেয়ে বেশী ভয় পায় এ সংগঠনটিকে। তথাকথিত জঙ্গীরা তাদের তৎপরতা আড়ালে আবডালে চালানোর চেষ্টা করলেও ডিজিটাল চেতনাধারী এ জঙ্গীদের তৎপরতা পুরোপুরি প্রকাশ্যে। জঙ্গীদের ঘৃণিত তৎপরতার ধারা যত শ্রেনী-পেশার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তার চেয়ে সরকারী পৃষঠপোষকতা পাওয়া এ জঙ্গীদের ধারা অনেক বেশী পরিমান শ্রেনী-পেশার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আর এ জঘন্য তৎপরতা চালানোর জন্য তারা অনেকটা সরকারী লাইসেন্স প্রাপ্ত। জঙ্গীদের কাছে অবৈধ অস্ত্র থাকলেও এদের কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বৈধ অস্ত্র। জঙ্গীদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যতটা তৎপর দেখা যায় রাষ্ট্র লালিত পালিত এ জঙ্গীদের কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে তাদের তেমন তৎপর দেখা যায়না। পরিসংখ্যান নিলে এটি স্পষ্টতই প্রমাণিত হবে আওয়ামী শাসন আমলের গত ৬ বছরে নব্য জঙ্গী সংগঠন খ্যাত ছাত্রলীগের হাতে বা তাদের অস্ত্রের আঘাতে তাদের দলীয় কর্মীসহ প্রতিপক্ষের যত ছাত্র নিহত হয়েছে তথাকথিত জঙ্গীদের দ্বারা সে রকম সাধারণ মানুষ হত্যার ঘটনা সংগটিত হয়নি।
ওরা প্রকাশ্যে জঙ্গী তৎপরতা চালাচ্ছে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বর সহ বিভিন্ন জায়গায়। তাদের জঙ্গী তৎপরতার ভয়ানক শিকার পুরান ঢাকার দর্জির দোকানী বিশ্বজিত দাসসহ প্রায় শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী। তাদের জঙ্গী তৎপরতার ধারাবাহিক শিকার হয়েছেন বা হচ্ছেন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠগুলোর বহু শিক্ষক, সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী। অপমানিত হয়েছেন বহু গুনীজন। তবুও তারা সর্বদা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।
এ জঙ্গীরা প্রকাশ্যে পুলিশের সামনে অস্ত্র বহন করে নিজ দল সহ প্রতিপক্ষের ছাত্রদেরকে গুলি চালায়। আজ পর্যন্ত জঙ্গীদের তৎপরতার রেকর্ডে পুলিশকে জিম্মী করে রাখার কোন দৃষ্টান্ত জনগন খুঁজে না পেলেও ছাত্রলীগ নামক এ জঙ্গীরা তাদের বিরুদ্ধে অপারেশন চালানোর সময় শাবিপ্রবিতে পুলিশকে রুমের মধ্যে আটকে রাখার মতো দু:সাহস দেখিয়েছে। সাধারণ জঙ্গীরা পুলিশকে ভয় করলেও এ জঙ্গীরা কিন্তু পুলিশকে বিন্দুমাত্রও ভয় পায়না। কারণ তাদের হাত অনেক উপরে। তাদেরকে কেউ গ্রেফতার করার সাহস পায়না। তাদের জঘন্য কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কেউ করতে পারেনা।
এ জঙ্গীদের সকল কিছুই বৈধ। তারা পুত:পবিত্র জঙ্গী। সুতরাং যারা দেশে জঙ্গী আছে বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন এক দৃষ্টিতে তাদের প্রচারনা সঠিক বলেই ধরে নেওয়া যায়। আর ছাত্রলীগ নামক এ জঙ্গীদের দমন না করে যারা জঙ্গী দমনের কথা বলছেন তারা জাতির সাথে অনেকটা তামাশা করে চলছেন। কারণ সাধারণ মানুষ যে জঙ্গীদের তৎপরতায় সদা সর্বদা আক্রান্ত সে জঙ্গীদের দমন না করে কিংবা উল্টো পৃষঠপোষকতা প্রদান করে যারা বায়বীয় কায়দায় জঙ্গীদের দমনের সফলতার ডুগডুগি বাজাচ্ছেন তাদের এ তামাশা বুঝতে জনগনের খুব বেশী অসুবিধা হবার কথা নয়। সুতরাং জঙ্গী দমনে সফলতা অর্জন করতে হলে সরকারকে আগেই নিজ ফ্যাক্টরী থেকে উৎপাদিত ছাত্রলীগ নামক জঙ্গীদের দমন করা জরুরী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন