ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৪

শীর্ষ আলেমদের নিন্দা ও গ্রেফতার করে শাস্তি দাবি: ঢাকায় ফিরেছেন লতিফ সিদ্দিকী


মন্ত্রিসভা ও দল থেকে বরখাস্ত হওয়া আবদুল লতিফ সিদ্দিকী দেশে ফিরেছেন। গতকাল রোববার রাতে তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে সেখানেই অপেক্ষা করছেন।
আবদুল লতিফ সিদ্দিকী তাবলিগ জামাত, পবিত্র হজ্জসহ নানা বিষয়ে কটাক্ষ করায় তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এই পরোয়ানা মাথায় নিয়েই তিনি দেশে ফিরলেন। সরকারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা গেছে, আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করা হতে পারে।
আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকেও বহিষ্কৃত এই নেতা কোন দেশ থেকে ফিরলেন তা বিস্তারিত জানা যায়নি। এ ব্যাপারে তার ব্যক্তিগত ফোনে গতরাতে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরলেও পরিচয় জানার পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
আবদুল লতিফ সিদ্দিকী নিউইয়র্কে তাবলিগ জামাত, পবিত্র হজ্জ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েন। তার বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে তাকে মন্ত্রিসভা এবং আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। তিনি নিউইয়র্ক থেকে সরাসরি কলকাতা গিয়েছিলেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ভারত থেকেই ঢাকায় ফিরেছেন আওয়ামী লীগ ও মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃত আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে। ইসলাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় দেশের বিভিন্ন আদালতে দায়ের করা মামলায় তার বিরুদ্ধে একাধিক গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে কটূক্তি করায় ১২ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে লতিফ সিদ্দিকীকে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২৪ অক্টোবর আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন।
একাধিক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্তকৃত এই মন্ত্রী ঢাকায় ফিরলেও এখনই তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে উত্তরা জোনের ডিসি ইকবাল হোসেন লতিফ সিদ্দিকীর ঢাকা আসার কথা স্বীকার করে বলেন, তাকে গ্রেফতারের কোনো কাগজ আমাদের কাছে নেই। তাই তাকে গ্রেফতার করার কোনো সুযোগ নেই।
শীর্ষ আলেমদের নিন্দা ও গ্রেফতার করে শাস্তি দাবি :
মহানবী (সা.), ইসলাম ও পবিত্র হজ্জ সম্পর্কে কটূক্তিকারী আত্মস্বীকৃত নাস্তিক ও মুরতাদ আব্দুল লফিত সিদ্দিকীর দেশে ফেরার দুঃসাহসের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শীর্ষ ইসলামী নেতৃবৃন্দ।
গতকাল রোববার রাতে দেয়া এক বিবৃতিতে শীর্ষ ওলামা নেতৃবৃন্দ বলেন, আত্মস্বীকৃত নাস্তিক ও মুরতাদ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে দেশের সচেতন তৌহিদী জনতা যখন সোচ্চার এবং গোটা দেশ যখন উত্তাল হয়ে উঠেছে তখন সরকার গণদাবি উপেক্ষা করে এই স্বঘোষিত মুরতাদকে দেশে আসার সুযোগ করে দিয়ে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চিন্তা-চেতনা, বোধ-বিশ্বাস, আবেগ-অনুভূতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তৌহিদী জনতা সরকারের এই ন্যক্কারজনক ষড়যন্ত্র কোনভাবেই মেনে নেয়নি এবং নেবেও না। তারা সরকারি সহায়তায় আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী দেশে ফেরার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং টালবাহানা পরিহার করে এই অর্বাচীনকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার আহ্বান জানান। অন্যথায় হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দিয়ে সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করা হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন