পঞ্চগড়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কমলা চাষ বাড়ছে
আট বছর ধরে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ের সর্বত্র বাগান ও বসতবাড়িভিত্তিক কমলা চাষ শুরু হয়েছে। বর্তমানে এ জেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কমলা চাষ করা হচ্ছে।
আট বছর ধরে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ের সর্বত্র বাগান ও বসতবাড়িভিত্তিক কমলা চাষ শুরু হয়েছে। বর্তমানে এ জেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কমলা চাষ করা হচ্ছে। গড়ে উঠেছে ছোট-বড় শতাধিক বাগান। ফলনও হয়েছে বাম্পার। চাষিরা কমলা চাষে পেয়েছেন ব্যাপক সাফল্য। কমলা চাষে চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। এরই মধ্যে কমলা বিক্রি শুরু করেছেন পঞ্চগড়ের কমলাচাষিরা। এখানকার উৎপাদিত কমলার আকার, রং ও স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়।
চাষি, কৃষি বিভাগ ও বিশেষজ্ঞরা পঞ্চগড়ের কমলাকে ভারতের দার্জিলিংয়ের সঙ্গে তুলনা করছেন। প্রতিটি বাগান ও বসতবাড়ির কমলা গাছ পাকা কমলায় ভরে গেছে। ২০০ থেকে ৫০০ পর্যন্ত কমলা ধরেছে একেকটি গাছে। কমলার রঙে রঙিন হয়ে আছে বাগানগুলো। কেউ কেউ কমলা বিক্রিও করেছেন। স্বল্প পরিশ্রমে ভালো ফলন ও মূল্য পাওয়ায় চাষিদের ভাগ্য বদলেছে। কমলার ফলনে চাষিরা খুশি হলেও কমলা উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নানা রোগে কমলা বাগান আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্কে আছেন চাষিরা।
পঞ্চগড়ের মাটি ও জলবায়ু কমলা চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এখানকার কমলা স্বাদে ও গন্ধে ভারতের কমলার বা বাজারের অন্যান্য কমলার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। অন্য ফসলের পাশাপাশি কৃষকরা এখন কমলা চাষে এগিয়ে এসেছেন। স্বল্প খরচ ও পরিশ্রমে অধিক মুনাফা হওয়ায় কমলা চাষের পরিধি দিন দিন বেড়েই চলেছে। চাষিরা প্রতিবছর লাখ লাখ টাকার কমলা বিক্রি করে আসছেন। পঞ্চগড় জেলার পাঁচ উপজেলায় ৭৩ হেক্টর জমিতে কমলার চাষ করা হয়েছে। গড়ে উঠেছে ছোট, বড় ও মাঝারি ধরনের শতাধিক বাগান। কেউবা বাড়ির আঙিনার খোলা জায়গায় কমলার বাগান করেছেন। এসব বাগানে কমলাগাছের সংখ্যা প্রায় ৪১ হাজার। প্রতিটি গাছে ২০০ থেকে আড়াইশ কমলা ধরেছে। সূত্রঃ ঢাকার নিউজ- ১৯ নভেম্বর ২০১৪:
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন