২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে আয়োজিত কুমিল্লা টাউন হলের শনিবারের জনসভা সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জামায়াত-শিবির।
তবে লক্ষাধিকেরও বেশি নেতা-কর্মীর সমাগম ঘটানোর টার্গেট নিয়ে তারা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
জামায়াতের নেতৃবৃন্দ জানান, জনসভার সিদ্ধান্তের পর পরই তারা কুমিল্লা অঞ্চলের সকল জেলা, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সকল নেতা-কর্মীকে জনসভায় উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জামায়াত নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদ-ের রায় প্রদান করে। এছাড়া দলটির সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল কামারুজ্জামানের চূড়ান্ত রায়ে ফাঁসি বহাল রাখায় দলের নেতা-কর্মীরা ক্ষোপ প্রকাশ করে। এজন্য কুমিল্লার ২০ জোটের জনসভায় তারা ব্যাপক সংখ্যাক নেতা-কর্মীর শোডাউনের মাধ্যমে সরকারকে একটা শক্ত জবাব দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে।
জনসভার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আমির কাজী দীন মোহাম্মদ শীর্ষ নিউজ বলেন, জোটের জনসভা সফল করতে আমাদের প্রস্তুতি ব্যাপক। জামায়াত-শিবিরের লক্ষাধিকেরও বেশি নেতা-কর্মী উপস্থিত হবে বলে আমরা আশাবাদী।
তিনি বলেন, জনসভার মঞ্চ টাউন হল হলেও এর বিস্তৃতি হবে পুরো শহর। জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে। ২০ দলীয় জোটের কুমিল্লার জনসভা হবে স্মরণকালের জনসভা। সরকারের অপকর্ম ও দু:শাসনের জবাব দিতে এদিন কুমিল্লাবাসী রাজপথে নেমে আসবে।
তবে নিজেদের ঘাটি হিসেবে পরিচিত জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ছাত্রশিবিরও বসে নেই। জনসসভা সফল করতে তারাও নিয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
কুমিল্লা মহানগর শিবির সভাপতি মো. শাহ আলম তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে শীর্ষ নিউজকে বলেন, শিক্ষানগরী হিসেবে কুমিল্লার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা এখন জনসভার অপেক্ষায় আছে। কুমিল্লা অঞ্চলের আমাদের প্রতিটি ওয়ার্ডে জনসভা বাস্তবায়নের কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। শনিবার সকাল ৯ টার পর থেকেই আমাদের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে জনসভায় আসতে শুরু করবে।
জনসভায় শিবিরের ৫০ হাজার নেতা-কর্মীর সমাগম ঘটবে বলেও জানান তিনি।
সউজন্যেঃ শীর্ষ নিউজ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন