ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৪

বিপুল ভোটে বিজয়ী জনপ্রতিনিধিদের ওপর মামলা-বরখাস্তের খড়গ এবারের টার্গেট বিরোধীজোট সমর্থিত মেয়র-চেয়ারম্যানরা!

সরদার আবদুর রহমান : এবার কি বিরোধীজোটের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা টার্গেট! জনগণের বিপুল ভোটে বিজয়ী দেশের বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের ওপর মামলা চাপিয়ে এবং তাদের ওপর বরখাস্তের খড়গ ঝুলিয়ে অকেজো করে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েক সপ্তাহে বিরোধীজোট সমর্থিত বেশ কিছু সংখ্যক জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত, গ্রেফতার এবং কারো কারো বিরুদ্ধে মামলার চার্জশিট দেয়া হয়েছে। এর ফলে নানা সন্দেহ দানা বেঁধেছে।
গত বছর জুনে অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশন ও চলতি বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চ-এপ্রিল মাসজুড়ে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সরকারবিরোধী জোট বিপুল সাফল্য লাভ করে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত পৌরসভার বেশ ক’টিতে তারা বিজয়ী হন। বিশেষ করে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচনে বিরোধীজোটের বিপুল বিজয় ঘটে। বর্তমানে দুই ডিসিসি ও রংপুর ছাড়া দেশের সবক’টি সিটি কর্পোরেশনেই বিএনপি প্রতিনিধিরা মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন। বেশ ক’টি পৌরসভায় মেয়র পদেও রয়েছেন তারা। অন্যদিকে সাড়ে চার শতাধিক উপজেলার মধ্যে ২০ দলীয় জোট সমর্থিত চেয়ারম্যানের সংখ্যা প্রায় ২শ’ এবং ভাইস চেয়ারম্যান তার দ্বিগুণ।
সাময়িক বরখাস্তের হিড়িক
মামলার বিচারে পরবর্তী পরিণতি যাই হোক- অভিযোগের সূত্রে এসব জনপ্রতিনিধি আদালতের ঘানি টানতে বাধ্য হচ্ছেন। এর প্রথম খড়গ আসছে ‘সাময়িক বরখাস্ত’ হবার মধ্য দিয়ে। প্রকাশিত খবরে এ পর্যন্ত বেশ ক’জন জনপ্রতিনিধির বরখাস্ত হবার কথা জানা গেছে। গত ১১ নবেম্বর বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডলকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তার বিরুদ্ধে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগসহ থানায় দায়ের করা চারটি ‘নাশকতা’ মামলার আসামী হিসেবে পুলিশের দেয়া চার্জশিটের প্রেক্ষিতে তাকে বরখাস্ত করা হয় বলে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে। নুরুল ইসলাম মন্ডল স্থানীয় জামায়াতের একজন দায়িত্বশীল। গত ১৮ নবেম্বর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান আবু সোলায়মান সরকার সাজুকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান উভয়েই বরখাস্ত হবার প্রেক্ষিতে আদেশ অনুসারে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেজিয়া বেগম ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। উল্লেখ্য, উপজেলা চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমান জেলা জামায়াতের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান আবু সোলাইমান সরকার সাজু সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সহ-সাধারণ সম্পাদক। গত ১ অক্টোবর সুন্দরগঞ্জ পৌর মেয়র জামায়াত নেতা নুরুন্নবী প্রামানিক সাজুকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার কথা জানায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তাকে ১১টি নাশকতার ঘটনার মামলার আসামী করা হয়। তিনি জামিনের জন্য আদালতে হাজির হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতেও পাঠায়। গত ২ অক্টোবর গাইবান্ধা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল করিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে এই বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়। চিঠির বরাত দিয়ে জানানো হয়, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা দুইটি মামলার অভিযোগপত্র গাইবান্ধা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালত ও গাইবান্ধা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত গ্রহণ করেছে। এর প্রেক্ষিতে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর বগুড়ার শেরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান দবিবর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তিনি উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি। নাশকতামূলক কর্মকা-ের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার কারণে তাকে বরখাস্ত করা হয় বলে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান। গত ২ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ চৌধুরীকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন জানান, উখিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ চৌধুরী উখিয়ার বৌদ্ধ মন্দিরে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামী। ইতোমধ্যে এ মামলার চার্জ গঠন করেছেন আদালত। এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রামুর বৌদ্ধ মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এর পরের দিন ৩০ সেপ্টেম্বর উখিয়া উপজেলায়ও একই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় উখিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান ও উখিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার জাহান চৌধুরী, এবং ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরী চার্জশিটভুক্ত আসামী। ঝালকাঠির বিএনপি নেতা ও নলছিটি পৌর মেয়র মজিবুর রহমানকে তার দায়িত্ব পালনে আ’লীগের পরিকল্পিত বাধা সৃষ্টির অভিযোগ উঠে। ‘অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে গত বছর ৩১ জুলাই তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলে উচ্চ আদালত তার বষ্কিার আদেশকে অবৈধ ঘোষণা করেন। এ নিয়ে স্থানীয় আ’লীগের সঙ্গে আইনী লড়াই বাধে। এতে সর্বশেষ দফায় বিজয়ী হয়ে মজিবুর রহমান মেয়রের দায়িত্ব পালন অব্যাহত রেখেছেন বলে জানা গেছে। গত ১১ জুন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু সাঈদ চাঁদকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, চাঁদের বিরুদ্ধে চারটি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পুলিশ। আদালত অভিযোগপত্রটি গ্রহণও করেন। এরই প্রেক্ষিতে তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
মামলার পাহাড়ে মেয়ররা
গুরুতর ‘অপরাধ’ বিষয়ক মামলায় জড়িত করে বরখাস্ত করার প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়তে যাচ্ছেন বেশ কয়েকজন মেয়রও। এদের মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের মেয়ররাও রয়েছেন। সর্বশেষ সিলেটে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশিটে সিলেটের মেয়র আরিফুল হককে জড়ানো হয়েছে। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি শাহ এএমএস কিবরিয়া খুন হন। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সিআইডি মুফতি হান্নানসহ ১১ হরকাতুল জিহাদ ক্যাডারকে অভিযুক্ত করে। গত ১৩ নবেম্বর এই মামলায় সিলেটের মেয়র আরিফুল হক, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিকে গাউছসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে সম্পুরক চার্জশিট দেয়া হয়। অতঃপর হয়তো তার ওপর বরখাস্তের খড়গ নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাজশাহীতে পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ হত্যা মামলায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর আদালতে দাখিলকৃত চার্জশিটে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনুসহ বিএনপি-জামায়াতের ৮৮ জন নেতাকর্মীর সঙ্গে রাজশাহী সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মামলা থেকে রেহাই পাননি খুলনা সিটি মেয়র মনিরুজ্জামান মনিও। গত ৮ নবেম্বর রাতে একটি ইজিবাইক পোড়ানোর মামলায় খুলনার বিএনপি ও জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু, মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, জামায়াতের মহানগরী নায়েবে আমীর মাস্টার শফিকুল আলম, খুলনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম শফিকুল আলম মনা, মহানগরী বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমসহ ৭৪ জনকে আসামী করা হয়। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আহসান হাবিব কামালের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা করা হয়েছে। গত ১৯ নবেম্বর বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে এ মামলা দু’টি দায়ের করা হয়। গাজীপুর সিটিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের হামলার পরের দিন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানকে আসামী করে একটি মামলা করে পুলিশ। এতে ৫ ওয়ার্ড কাউন্সিলরকেও আসামী করা হয়। এই মামলায় বেআইনি জনসমাবেশ করে রাস্তা বন্ধ ও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ আনা হয়। এদিকে পবিত্র হজ্ব ও মহানবী হযরত মুহম্মদ (সঃ)কে নিয়ে লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের প্রতিবাদে ১ অক্টোবর যশোরে অরাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করা হয়। কিন্তু পুলিশ এই কর্মসূচিতে গুলীবর্ষণ করে তা পন্ড করে দেয়। এই ঘটনায় আবার দু’টি মামলা হয়। এতে যশোর পৌরসভার মেয়র মারুফুল ইসলাম, কেশবপুর পৌরসভার মেয়র আবদুস সামাদ বিশ্বাস, মনিরামপুর পৌরসভার মেয়র শহীদ ইকবাল, বাঘারপাড়া পৌরসভার মেয়র আবদুর রহিম মনা, কাউন্সিলর হাজি আনিসুর রহমান মুকুল প্রমুখকে আসামী করা হয়। 
গ্রেফতার ও কারাবাস
সাময়িক বরখাস্ত ও নিত্যনতুন মামলা দেয়ার পাশাপাশি এসব জনপ্রতিনিধিকে একের পর এক গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়াও অব্যাহত আছে। এসব মেয়র ও চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন কারাগারে কাটিয়ে কেউ কেউ উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভে সমর্থ হন। কিন্তু এজন্য যে হয়রানি ও নির্যাতন পোহাতে হয় তা কোনভাবেই মেটানো যায় না। সর্ব সাম্প্রতিক ঘটনায় গত ২০ নবেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফারুক কবিরসহ বিএনপির ২০ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ৫ জানুয়ারি নিবার্চনকালে সংঘটিত আন্দোলনের সময় দায়েরকৃত একটি মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আসামীরা আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাদেরকে জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২০ অক্টোবর সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের সহসভাপতি আব্দুর রউফকে শহরের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী কার্যকলাপ ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ অন্তত পাঁচটি মামলা করে। এছাড়া লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মাস্টার একটি মামলার হাজিরা দিতে গিয়ে আদালতে আটক হন। তার বিরুদ্ধে দোকানপাট ভাংচুরের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করে আ’লীগ ও কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। গত ২৭ মার্চ রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে শপথ নিতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তিন উপজেলা চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস-চেয়ারম্যান। এরা হলেন, পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারি থানার উপজেলা চেয়্যারম্যান আবদুর রহমান আবদার, ভাইস চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান, বোদা উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল আলম শফি, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম রাব্বানি ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর বাসেত সাজ্জান। সারাদেশে প্রথম দফা উপজেলা নির্বাচনে তারা জয়লাভ করেন। এদের মধ্যে গোলাম রাব্বানি ও আবদুর বাসেত উপজেলা জামায়াত নেতা। তাদের বিরুদ্ধে মোট ৯টি মামলা রয়েছে। বাকি তিনজন বিএনপি নেতা। গত ২৪ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান মোরাদ আলী নাশকতার একটি মামলায় আদালতে জামিন আবেদন করতে গেলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে তিনি এই মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। মেয়াদ শেষে তিনি মেহেরপুর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে। ২২ এপ্রিল ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা আব্দুল হাই ঝিনাইদহের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তার বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা ও নাশকতামূলক কর্মকান্ডের ৫টি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এভাবে দেশের অধিকাংশ বিজয়ী বিরোধীজোট সমর্থিত মেয়র ও চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা অসংখ্য মামলা দায়ের করেছে এবং এসব মামলায় তাদেরকে থানা-আদালত-কারাগারের হাজতে টানাটানি করে নিয়ে বেড়াচ্ছে।
এ ব্যাপারে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, সরকার রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার হীন উদ্দেশ্যেই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে অন্যায়ভাবে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করছে এবং মামলা দিয়ে অবিরাম নির্যাতন করছে। তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে জনগণকে সেবা করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে। এটা জনগণের রায়ের প্রতি অবজ্ঞার প্রকাশ করেও তারা উল্লেখ করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন