ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৪

ফিরিয়ে দাও আমাদের সেই দুঃসাহসী বীর বিডিআর...

২০০১ সাল... রাত ৩টার দিকে ভারতীয় কমান্ডো, সেনা ও বিএসএফ-এর প্রায় চারশত সদস্যের যৌথ-বাহিনী ধানক্ষেতের মাঝ দিয়ে চুপিচুপি ঢুকে পড়ে কুড়িগ্রামের বড়াইবাড়ী গ্রামে। উদ্দেশ্য দখল করে নেওয়া।
কিন্তু ধানক্ষেতে সেচ দিতে গিয়ে তাদের ঢুকে পড়ার দৃশ্যটি দেখে ফেলে ঐ গ্রামের একজন লোক। তখনই সে দৌড়ে খবর দেয় বড়াইবাড়ী বিডিআর ক্যাম্পে। ক্যাম্পে ছিল মাত্র ১০ জনের মত বিডিআর সদস্য।
ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পূর্বদিক থেকে বিএসএফ যখন গুলীবর্ষণ শুরু করে তখন প্রথম ১০ মিনিট বিডিআররা ছিল নিশ্চুপ। ভারতীয় বাহিনী মনে করেছিল বিডিআররা ভয়ে ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়েছে।

এরপর বিএসএফ অসতর্কভাবে এগুতে শুরু করলে বড়াইবাড়ী ক্যাম্প থেকে বিডিআররা চারটি মেশিনগান থেকে একযোগে গুলীবর্ষণ শুরু করে। ঐ মেশিনগানগুলো থেকে মিনিটে সাতশ গুলী বের হত। হঠাৎ এ আক্রমণে ভারতীয় বাহিনী হতচকিত হয়ে পরে।
এদিক থেকে বিডিআর এর অন্য ক্যাম্পের ১৬ জনের আরেকটা ছোট গ্রুপ অন্য দিক থেকে তাদের উপর আক্রমণ শুরু করে। ফলে ভারতীয় বাহিনি ভাবে যে তারা ফাঁদে পড়েছে এবং দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করে। এদিকে গ্রামবাসিরাও সবাই এক হয়ে লাঠি-দা বটি নিয়ে বের হয়।

ভারতীয় বাহিনী সকাল ১০টা পর্যন্ত বাংলাদেশের সীমানায় ছিল। পরে ৩৩ রাইফেল ব্যাটেলিয়ান-এর অতিরিক্ত বিডিআর বড়াইবাড়ীতে পৌঁছার পর ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশের সীমানা ছেড়ে ওপারে পালিয়ে যায়।
এই সংঘর্ষে বিডিআর এর মাত্র তিনজন শহীদ হয়... অপরপক্ষে ভারতের বিএসএফ অফিসারসহ মারা যায় প্রায় ১৩৭ জন!
সে সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি কি করেছিলেন জানেন? ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর সাথে আধাঘণ্টা ধরে ফোনে কথা বলে বাংলাদেশের বিডিআরের এই অশিষ্টমুলক (?) আচরনের জন্য ৩ বার ক্ষমা চান এবং সকল দোষ চাপিয়ে দেন এককভাবে বিডিআর প্রধানের উপর।
যে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআর এর নাম শুনলে প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলত, তারাই দুদিন আগে গুলি করে হত্যা করে এক বিজিবি সদস্যকে এবং লাশটাও নিয়ে চলে যায়।। তবুও ভাল, তারা দয়া করে অবশেষে লাশ টা ফেরত দিয়েছে গতকাল।
আসলে ষড়যন্ত্র করে বিডিআর ধ্বংস করে নপুংসক বিজিবি তৈরি করারই ফল এটা। এই বিজিবি হল সীমান্তে অস্ত্রধারী বিদেশীদের কাছে ভেড়া, আর হরতালের সময় নিরীহ দেশি ভাইদের বিরুদ্ধে হয়ে উঠে সিংহ।

এগুলো হল সশস্ত্র বাহিনীকে রাজনৈতিক ব্যবহারের কুফল। এই কারণেই র‍্যাবের মটত এলিট বাহিনীর সদস্যারাও চাঁদাবাজি কিংবা টাকার বিনিময়ে কন্ট্রাক্ট কিলিং এর মত কাজে লিপ্ত...
অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যার হয়তো ঠিকই বলেছেন- "একজন অসৎ মানুষ যখন অশুভ উদ্দেস্য নিয়ে কোন কাজ শুরু করলে, তাকে ঠেকানো যে কত কঠিন তা এদেশে বোঝা যায়"

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন