টুপি, জুব্বা, হিজাব পড়ে ইউনিভার্সিটিতে ঢুকতে দেয় নি (IUBAT) কর্তৃপক্ষ। তাদের একমাত্র অপরাধ রাসূলের সুন্নতের অনুসরণ করা, আল্লাহর আদেশ অমান্য না করা। জীঁ, আমি ফ্রান্সের কথা বলছিনা। ৯০% মুসলিম বাংলাদেশের কথা বলছি।
(IUBAT)-এর ফাউন্ডার আলিমুল্লাহ মিয়ান নামটা কি ইহুদী-খৃষ্টানের মনে হচ্ছে? না ভাই, উনি ইহুদী-খৃষ্টান কেউ নন। তাহলে উনার ধর্মীয় পোশাকে সমস্যা কি? এমনও তো নয় যে, ইউনিভার্সিটিতে ড্রেস কোড আছে। একজন মেয়ের জিন্স পড়ে আসার স্বাধীনতা থাকলে কেন হিজাব করে আসার স্বাধীনতা থাকবে না? একজন ছেলের টি-শার্ট পড়ে আসার অধিকার থাকলে কেন জুব্বা পড়ে আসার অধিকার থাকবে না?
ভিডিওতে দেখুন, এক দ্বীনি ভাই ইসলামী লেবাস পড়ার কারণে তাকে ইউনিভার্সিটিতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আমি জানিনা ফেরাউন মুসা (আঃ)-এর বিরোধীতা করলেও মিশরে ইসলামী পোশাক নিষিদ্ধ করেছিল কিনা? আমি জানিনা আবু জেহেল ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করতে চাইলেও দাড়ি-টুপি, হিজাব নিষিদ্ধ করেছিল কিনা?
(আইইউবিএটি)-এর কর্তৃপক্ষ একটা ইউনিভার্সিটির মালিক হয়ে যা করছেন, তারা সরকারের দায়িত্বশীল থাকলে কি করতেন? আপনারা কি ফুঁ দিয়ে আল্লাহর নূর নিভিয়ে দিতে চান?
“তারা ফুঁ দিয়ে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়,অথচ আল্লাহ তাঁর নূর বা জ্যোতিকে পরিপূর্ণ করবেন যদিও কাফেরদের কাছে তা পছন্দনীয় নয়।” (৯:৩২)
কাফেরদের কাছে ইসলাম, দাড়ি-টুপি, হিজাব যতই অপছুন্দ ও গাত্রদাহের কারণ হোক না কেন আল্লাহ তাঁর নূরকে জ্বালিয়ে রাখবেন।
(IUBAT)-এর ফাউন্ডার ও ভাইস চ্যন্সেলর আপনাকে মহান আল্লাহ হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলছেন-
‘তোমরা পথে-ঘাটে একারণে বসে থেকো না যে, আল্লাহ বিশ্বাসীদেরকে হুমকি দিবে, আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করবে এবং তাতে বক্রতা অনুসন্ধান করবে। স্মরণ কর, যখন তোমরা সংখ্যায় অল্প ছিলে অতঃপর আল্লাহ তোমাদেরকে অধিক করেছেন এবং লক্ষ্য কর কিরূপ অশুভ পরিণতি হয়েছে অনর্থকারীদের’ (আ‘রাফ ৭/৮৬)।
‘আর তাদের মত হয়ে যেয়ো না, যারা বেরিয়েছে নিজেদের অবস্থান থেকে গর্বিতভাবে এবং লোকদেরকে দেখানোর উদ্দেশ্যে। আর আল্লাহর পথে তারা বাধা দান করত। বস্ত্ততঃ আল্লাহর আয়ত্বে রয়েছে সে সমস্ত বিষয় যা তারা করে’ (আনফাল ৮/৪৭)।
‘বলুন, হে কিতাবধারীগণ! কেন তোমরা আল্লাহর পথে ঈমানদারদেরকে বাধা দান কর, তোমরা তাদের দ্বীনের মধ্যে বক্রতা অনুপ্রবেশ করানোর পন্থা অনুসন্ধান কর, অথচ তোমরা এ পথের সত্যতা প্রত্যক্ষ করছ। বস্ত্ততঃ আল্লাহ তোমাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অনবগত নন’ (আলে-ইমরান ৩/৯৯)।
‘যারা কুফরী অবলম্বন করেছে এবং আল্লাহর পথে বাধার সৃষ্টি করেছে, তারা সুদূর বিভ্রান্তিতে পতিত হয়েছে’ (নিসা ৪/১৬৭)।
‘তারা তাদের শপথকে ঢাল করে রেখেছে, অতঃপর তারা আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বাধা প্রদান করে। অতএব তাদের জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি’ (মুজাদালাহ ৫৮/১৬)।
‘নিশ্চয়ই যারা কাফের এবং আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখে, অতঃপর কাফের অবস্থায় মারা যায়, আল্লাহ কখনোই তাদের ক্ষমা করবেন না’ (মুহাম্মাদ ৪৭/৩৪)।
‘যারা কাফের হয়েছে এবং আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করেছে, আমি তাদেরকে আযাবের পর আযাব বাড়িয়ে দেব। কারণ তারা অশান্তি সৃষ্টি করত’ (নাহল ১৬/৮৮)।
‘তোমরা স্বীয় কসম সমূহকে পারস্পরিক কলহদ্বন্দ্বের বাহানা করো না। তাহ’লে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পা ফসকে যাবে এবং তোমরা শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করবে, এ কারণে যে, তোমরা আমার পথে বাধা দান করেছ এবং তোমাদের কঠোর শাস্তি হবে’ (নাহল ১৬/৯৪)।
‘যারা কুফরী করে এবং আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে, আল্লাহ তাদের সকল কর্ম ব্যর্থ করে দেন’ (মুহাম্মাদ ৪৭/১)।
‘নিশ্চয়ই যারা কাফের এবং আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখে এবং নিজেদের জন্য সৎ পথ ব্যক্ত হওয়ার পর রাসূলের বিরোধিতা করে, তারা আল্লাহর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না এবং তিনি ব্যর্থ করে দিবেন তাদের কর্মসমূহকে’ (মুহাম্মাদ ৪৭/৩২)।
‘নিঃসন্দেহে যেসব লোক কাফের, তারা ব্যয় করে নিজেদের ধন-সম্পদ, যাতে করে বাধা দান করতে পারে আল্লাহর পথে। বস্ত্ততঃ এখন তারা আরো ব্যয় করবে। তারপর তাই তাদের জন্য আক্ষেপের কারণ হবে এবং শেষ পর্যন্ত তারা হেরে যাবে। আর যারা কাফের, তাদেরকে জাহান্নামের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে’ (আনফাল ৮/৩৬)।
ভিডিওটি ডাউনলোড করে সবাই আপলোড দেন। প্রতিবাদ করেন, নিশ্চয় শয়তানের চক্রান্ত নিতান্তই দূর্বল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন