বাংলাদেশ বার্তা: সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাওলানা রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতারের ২২ দিন পরে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানায় সোপর্দ করার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ গতকাল শুক্রবার দেয়া বিবৃতিতে বলেন, গ্রেফতারের ২২ দিন পরে অধ্যাপক মাওলানা রফিকুল ইসলামকে চৌদ্দগ্রাম থানায় সোপর্দ করে পুলিশ দেশের আইন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।
তিনি বলেন, পুলিশ অধ্যাপক মাওলানা রফিকুল ইসলামকে গত ১ অক্টোবর ঢাকায় আসার পথে সাভার থেকে অন্যায়ভাবে আটক করে নিয়ে যায়। তাকে আটক করার পরে পুলিশ কর্তৃপক্ষ তাকে গ্রেফতার করার কথা অস্বীকার করে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার কথা অস্বীকার করে তার স্ত্রী, পরিবার-পরিজন এবং আত্মীয়-স্বজনকে ২২ দিন পর্যন্ত উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রেখে তাদেরকে মানসিকভাবে দারুণ কষ্ট দিয়েছে। মাওলানা রফিকুল ইসলামের কোন খোঁজ না পেয়ে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিল।
তিনি বলেন, কাউকে গ্রেফতার করার পরে গ্রেফতার করার কথা অস্বীকার করা দেশের আইন, সংবিধান এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। কাউকে গ্রেফতার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে সোপর্দ করার আইন থাকলেও পুলিশ তা লঙ্ঘন করে মাওলানা রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করার কথা গোপন রেখেছিল। পুলিশ আইন লঙ্ঘন করে যে আচরণ করেছে দেশবাসী তার ব্যাখ্যা জানতে চায়। পুলিশের এই ন্যক্কারজনক ভূমিকা নিন্দনীয়। পুলিশ প্রশাসনের এ ধরনের আচরণের প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য তিনি দেশের জনগণ এবং দেশী-বিদেশী সকল মানবাধিকার সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান।
সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাওলানা রফিকুল ইসলামকে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিয়ে তার পরিবার-পরিজনের কাছে ফেরত দেয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন