দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকার বলতে কোন কিছুই আর অবশিষ্ট নেই -ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোঃ তাহের

বাংলাদেশবার্তা: গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের কথিত এমপি জনাব মুঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের ছোড়া গুলিতে ২ অক্টোবর ভোরে সৌরভ মিয়া নামে ৮ বছরের একটি শিশু দু’পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার নৃশংস ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোঃ তাহের প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকার বলতে কোন কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। সরকারী দলের একজন কথিত এমপি এখন সরাসরি শিশুর উপর গুলি চালিয়ে তাকে আহত করে প্রমাণ করেছেন যে, সরকারী দলের মধ্যে মানবতাবোধ বলতে কিছইু নেই।

কথিত সংসদ সদস্যের ছোড়া গুলিতে শিশু সৌরভ মারাত্মকভাবে আহত হয়। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাখা হয়েছে। ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদের উক্ত কথিত সংসদ সদস্য মাঝে মাঝেই মদ্যপ অবস্থায় ফাঁকা গুলি ছুড়ে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে থাকেন বলে এলাকায় তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলে থাকেন ‘আইনের চোখে সকলেই সমান’। আওয়ামী লীগের কথিত দলীয় সংসদ সদস্য জনাব মুঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের এ ধরনের উচ্ছৃঙ্খল আচরণের মাধ্যমে কী প্রমাণিত হয় যে, আইনের চোখে সকলেই সমান? প্রধানমন্ত্রীর কথা যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে অবিলম্বে আওয়ামী লীগের কথিত দলীয় সংসদ সদস্য জনাব মুঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ করা উচিত।

গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৮ বছরের শিশু সৌরভ মিয়াকে অন্যায়ভাবে গুলি করে আহতকারী আওয়ামী লীগের কথিত দলীয় সংসদ সদস্য জনাব মুঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”