রাজশাহী মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক ড: আবুল হাসেমকে ২৫ অক্টোবর তার বাসা থেকে এবং গাইবান্ধা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ আবদুর রহীমসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদেরকে পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ২৫ অক্টোবর প্রদত্ত এক বিবৃতি বলেন, “সরকার বিরোধী দলকে দমণ করে একদলীয় শাসন কায়েমের লক্ষ্যে সারা দেশে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদেরকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে।
রাজশাহী মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক ড: আবুল হাসেমকে ২৫ অক্টোবর এবং গাইবান্ধা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ আবদুর রহীমকে ২৪ অক্টোবর, গত ২৩ অক্টোবর বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জামায়াত নেতা ডা. ইউনুস আলীকে এবং বান্দরবান পৌরসভা জামায়াতের আমীর জনাব রেজাউল করিম, স্থানীয় জামায়াত নেতা প্রভাষক হামিদ হাসান, নওগাঁ পৌরসভা জামায়াতের আমীরসহ ৪জন নেতা-কর্মীকে, বগুড়া পূর্ব সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের বায়তুলমাল সেক্রেটারী জনাব হাসান আলী মন্ডলসহ ২জন কর্মীকে, বগুড়া পশ্চিম জেলা জামায়াতের ৩জন কর্মী, সাভার থেকে জামায়াত-শিবিরের ৪জন কর্মীকে ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বান্দরবান জেলা সভাপতি ইমরানুল হককে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। কোন কারণ ছাড়াই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে তাদের প্রতি জুলুম করেছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরও সরকার অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে তাদের সেবা থেকে এলাকার জনগণকে বঞ্চিত করছে। এ ঘটনার মাধ্যমে সরকারের একদলীয় ফ্যাসিবাদী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। এভাবে জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতে যেমন কোন সরকারই ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, তেমনি বর্তমান সরকারও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
রাজশাহী মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক ড: আবুল হাসেম এবং গাইবান্ধা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ আবদুর রহীমসহ সারা দেশে জামায়াতের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন