ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৫

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে শিক্ষক হিসাবে আমি লজ্জিত, আল্লাহ তাকে শুভবুদ্ধি দিক: এমাজউদ্দীন

শিক্ষকদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমালোচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মূলত শিক্ষক সমাজকে নিয়ে হাসি, ঠাট্টা, মশকরা করেছেন। তাই তার বক্তব্য শুনে একজন শিক্ষক হিসাবে আমি লজ্জিত। তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদকে আমি বলেছিলাম, শিক্ষার জন্য জাতীয় বাজেটের ১৮ থেকে ২০ শতাংশ টাকা বরাদ্দ করুন। তাহলেই শিক্ষাখাতে উন্নয়ন সম্ভব। তিনি আমাকে বলেছিলেন, আমি চেষ্টা করবো। কিন্তু আজ শিক্ষকদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যর পর স্পষ্ট হয়েছে যে, শিক্ষামন্ত্রী কোনো চেষ্টাই করেননি। সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে শিক্ষক কর্মচারি ঐক্যজোট আয়োজিত ‘৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে মনে হয় তিনি তথাকথিত একজন শিক্ষিত ব্যক্তি। তিনি কতটুকু শিক্ষা গ্রহণ করেছেন তা তার বক্তব্যের মধ্যেই স্পষ্ট হয়েছে। মূলত তার বক্তব্য গ্লানিকর, লজ্জাজনক ও ভুলে ভরা। শিক্ষকদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা প্রধানমন্ত্রীকে শুভবুদ্ধি দিক’। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, শিক্ষকরা আপনার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে না। তাই আপনি তাদেরকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাববেন না। শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে এমাজউদ্দীন আরো বলেন, ‘পুলিশ, র‌্যাবসহ সব সরকারি প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করুন। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আল্লাহর ওয়াস্তে শিক্ষকদের দলীয়করণ করবেন না।’ দুই বিদেশি নাগরিককে হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, এই হত্যার ফলে জাতি হিসাবে আমরা বহির্বিশ্বের কাছে লজ্জিত হয়েছি। এতে বহির্বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও নষ্ট হয়েছে। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দুই বিদেশি হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে বিচারপতিদের নেতৃত্বে জুডিশিয়াল কমিটি গঠন করুন। এই কমিটির কাজ হবে কিভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে এবং কারা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তাদের খুঁজে বের করা। দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াতের মদত আছে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এমাজউদ্দীন বলেন, সঠিক তথ্য ব্যতীত কারো উপর দোষ চাপানো উচিত নয়। আর মিথ্যাভাবে দোষারোপ করা হলেও মূল সমস্যার সমাধান কখনো হবে না। আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য তোফাজ্জল হোসেন বাবু, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন