থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার মানব পাচার ক্যাম্পে থাকা মুসলিম রোহিঙ্গা নারীরা গণধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। এতে অন্তত দুই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। যারা তাদের ক্যাম্পে রাখছে তারাই ধর্ষণ করছে।
মালয়েশিয়ার সরকার পরিচালিত বার্তা সংস্থা বারনামা এ খবর প্রকাশ করে। এতে থাইল্যান্ডের পাদাং বেসার ক্যাম্প থেকে বেঁচে ফিরে আসা নুর খাইদা আবদুল শুকুর নামের এক নারীর উদ্ধৃতি তুলে ধরে বলা হয়, রাতে তরুণীদের ক্যাম্প থেকে নিয়ে যাওয়া হতো।
তিনি জানান, প্রতিরাতে গার্ডরা দুই কিংবা তিনজন রোহিঙ্গা সুন্দরী নারীকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যেতো। সেখানে তাদের গণধর্ষণ করা হতো। এতে করে দুই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
সংবাদ সংস্থাটি তার স্বামী নূরুল আমিন নবী হোসেইনের উদ্ধৃতিও তুলে ধরে। মালয়েশিয়া সীমান্তের বন্দীশিবিরেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে বলে জানান নবী হোসেইন।
উল্লেখ্য, গত মাসে প্রথমে থাইল্যান্ড পরে মালয়েশিয়ায় বেশকিছু মানব পাচার ক্যাম্প এবং গণকবরের সন্ধান মেলে। যা দক্ষিণপূর্ব এশিয়াকে স্তম্ভিত করে দেয়।
মালয়েশিয়ার আলর সেতারাম শহর থেকে নূর খাইদা আরো জানান, প্রতি রাতেই গার্ডরা কাছাকাছি কোথাও নারীদের নিয়ে যেতো। আমরা নারীদের আর্তচিৎকার ও কান্নার আওয়াজ পেতাম। কারণ আমাদের ক্যাম্পের কাছাকাছিই কোথাও তাদের ধর্ষণ করা হতো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন